আর্কাইভপ্রচ্ছদ রচনাপ্রবন্ধ

হাফেজের সমাধি পাশে রবীন্দ্রনাথ : মফিদুল হক

আবার পড়ি : মফিদুল হকের প্রবন্ধ

“প্রবীণ দেবেন্দ্রনাথ একটি জঙ্গল অতিক্রমকালে জিকির-এর তালে আকৃষ্ট হয়ে পালকি থেকে নেমে পড়েন, বৃত্তাকারে উপাসনারত সুফি-সন্তদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে যোগ দেন তাঁদের সান্ধ্য প্রার্থনায়। বেদান্তের জ্ঞান-সাধনার পরিপূরক স্ফূর্তি তিনি উপভোগ করতেন এই সুফি কাব্যে। ‘আমি-ই তিনি’ (সোহং) মন্ত্রের সার্থকতায় তিনি এইভাবে সিদ্ধিলাভ করেন। বাউলদের সংস্পর্শে এসে রবীন্দ্রনাথ এইভাবে খুঁজে পান ‘মনের মানুষ’কে, সুফিরা যার আরাধনা করেছেন ইনসান-উল-কামেল রূপে।”

 (পৃথীন্দ্র মুখোপাধ্যায় প্রণীত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর―কতক কড়ি কতক কোমল)

মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর উপনিষদের আলোকে স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে যে ঐক্য খুঁজে পেয়েছিলেন তা তাঁকে সর্বধর্মের মধ্যে মিলনের পথরেখা সন্ধানে ব্রতী করেছিল এবং তিনি পারস্যের কবি সাদি- হাফেজ-খৈয়ামের মধ্যে, তাঁদের সুফি জীবনদর্শনে, এর নানা পরিচয় খুঁজে পেয়েছিলেন। সাদি ও হাফেজের প্রতি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশেষ অনুরাগ ছিল, পুত্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সে-সম্পর্কে বিলক্ষণ অবহিত ছিলেন। কেবল অবহিত নয়, তাঁর নিজের জীবনচেতনা বিকাশ তথা জীবনদেবতার ধারণা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এই দর্শনের ছিল বিশেষ ভূমিকা। পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে উত্তরকালে পুত্র রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন :

‘বৈষ্ণব ধর্মমত ও পদাবলী আমার পিতার হৃদয়কে অধিকার করে নাই, সে আমি জানি। তাহার রসভোগের সখা ছিলেন হাফেজ। তিনি নিজে কাব্যরচনা করিতে পারেন নাই, তাহার সেই আকাক্সক্ষা মিটাইয়াছিলেন হাফেজের গানে। উপনিষদ তাহার ক্ষুধা মিটাইত, আর হাফেজ তাঁহার তৃষ্ণা দূর করিয়াছিল।’

পরিণত জীবনে ১৯৩২ সালে রবীন্দ্রনাথের কাছে এসে পৌঁছেছিল পারস্যের ডাক। তখন তাঁর বয়স সত্তর পেরিয়েছে, মন সজীব রইলেও শরীর অশক্ত, তদুপরি রয়েছে যাত্রাপথের বিড়ম্বনা। তবু তিনি যে সে ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন তার পেছনে ছিল স্বভাবের তাড়না, হেথা নয় হেথা নয় অন্য কোনওখানে সর্বদা তাঁর ধমনীতে স্পন্দন তুলেছে। আরও ছিল পশ্চিম এশিয়াকে জানবার সুযোগ গ্রহণ, তবে সবচেয়ে বড়ভাবে ছিল সাদি ও হাফেজের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, যে-হাফেজের দিওয়ান পিতা দেবেন্দ্রনাথের ছিল মুখস্থ। ফার্সি তথ্য উৎস ঘেঁটে প্রণীত আনিসুর রহমান স্বপনের গ্রন্থ পারস্যে রবীন্দ্রনাথ থেকে কবির সঙ্গে ইরানের তৎকালীন খ্যাতিমান ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব আয়াতুল্লাহ শরিয়ত সাঙ্গালজির সাক্ষাতের বিবরণ পত্রস্থ হয়েছে। সেখানে দেখা যায় আলোচনার সূচনাতে রবীন্দ্রনাথ বলেছেন যে, সীমাহীন উৎসাহ ও অধীর আগ্রহ নিয়ে এমন একদিনের অপেক্ষায় ছিলেন তিনি যেদিন ইরান পৌঁছতে পারবেন। তিনি বলেছেন : ‘বিশেষ করে আমার অসীম আকাক্সক্ষা ছিল ইরানের জ্ঞান-বিজ্ঞান জগতের স্বনামধন্য ব্যক্তিদের জানবো চিনবো। এ-কারণে শিরাজ পৌঁছামাত্র আমি গেছি হাফেজ ও সাদীর সমাধি পরিদর্শনে। …আমার পিতা ছিলেন হাফেজের অনুরাগী ভক্ত। তাঁর মুখ থেকে হাফেজের কবিতার আবৃত্তি ও তার অনুবাদ অনেক শুনেছি। সেই কবিতার মাধুর্য দিয়ে পারস্যের হৃদয় আমাদের হৃদয়ে প্রবেশ করেছিল।’

বিশ্বপরিব্রাজক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষ বিদেশযাত্রা ছিল পারস্য ভ্রমণ। যখন নিমন্ত্রণ পেলেন পারস্যরাজের কাছ থেকে তখন তাঁর মনে হয়েছিল এ নিমন্ত্রণ অস্বীকার করা অকর্তব্য হবে। কেন এমনটা মনে হয়েছিল সেটা অবশ্য তিনি বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেননি, তবে হাফেজ-দেবেন্দ্রনাথ সম্পর্ক-সূত্রের কথা মনে রাখলে আমরা বুঝতে পারব পিতার পক্ষ থেকে হাফেজের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের সুযোগ নেওয়া থেকে তিনি বিরত হতে চাননি। শারীরিক বিঘ্নতার কারণে স্থির হয়েছিল রবীন্দ্রনাথ বিমানে যাবেন বুশরা, তারপর শিরাজ হয়ে পৌঁছবেন তেহরান। বিমানযাত্রা এর আগে রবীন্দ্রনাথ করেছিলেন, সে ছিল ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম, তবে এবারকার অভিজ্ঞতা ছিল আলাদা এবং এর সবিস্তার বিবরণ রয়েছে তাঁর ভ্রমণবৃত্তান্ত ‘পারস্যে’। বিমানযাত্রার এক অসাধারণ উপলব্ধি অর্জন করেছিলেন কবি, কোনও ভাববাদী আকাশচারী চিন্তা নয়, আকাশ থেকে মারণের অস্ত্র ছুড়ে মানবহত্যার মধ্যে সভ্যতার পতনের যে উপাদান রয়েছে তা রবীন্দ্রনাথকে শিহরিত করেছিল। বাগদাদে ছিল ব্রিটিশদের বিমান ঘাঁটি, যুদ্ধ ও বোমারু বিমানের সমাহার। সেখানকার খ্রিস্টান ধর্মযাজক রবীন্দ্রনাথকে জানিয়েছিলেন এখানকার কোনও শেখদের গ্রামে তাঁরা প্রতিদিন বোমাবর্ষণ করছেন। এই বিবরণ রবীন্দ্রনাথকে সভ্যতা ও বিজ্ঞানের আরেক পীঠের কৃষ্ণ-বাস্তবতার চেহারা দেখিয়েছিল, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষ মানুষকে হত্যা করছে, তবে সেখানে হত্যার কোনও রক্তচিহ্ন হত্যাকারী দেখছে না, নিহত মানুষ থাকছে তার দৃষ্টিসীমার বাইরে, বস্তুত কিছুই দেখছে না হত্যাকারী এবং হত্যাকাণ্ড পরিচালনা হয়ে উঠেছে সহজ স্বাভাবিক। ঊর্ধ্বলোক থেকে বোমাবর্ষণ সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন :

‘সেখানে আবালবৃদ্ধবনিতা যারা মরছে তারা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ঊর্ধ্বলোক থেকে মার খাচ্ছে। এই সাম্রাজ্যনীতি ব্যক্তিবিশেষের সত্তাকে অস্পষ্ট করে দেয় বলেই তাদের মারা এত সহজ। উড়ো জাহাজ থেকে এইসব মরুচারীদের মারা যায় অত্যন্ত সহজে, ফিরে মার খাওয়ার আশঙ্কা এতই কম যে, মারের বাস্তবতাও তাতে ক্ষীণ হয়ে আসে। যাদের অতি নিরাপদে মারা সম্ভব মারওয়ালাদের কাছে তারা যথেষ্ট প্রতীয়মান নয়। এই কারণে পাশ্চাত্য হননবিদ্যা যারা জানে না তাদের মানবসত্তা আজ পশ্চিমের অস্ত্রীদের কাছে ক্রমশই অত্যন্ত ঝাঁপসা হয়ে আসছে।’

প্রাচ্যের মানুষদের হত্যা শক্তিমত্ত পশ্চিমের কাছে মানবিক মাত্রা নিয়ে দেখা দেয় না, কেননা তারা অনেক দূরের, প্রায় যেন ঝাঁপসা, দৃশ্যগোচর নয়, মানুষই বুঝি নয়। মনে হতে পারে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বুঝি আজকের ইরাক এবং মধ্যপ্রাচ্যের বাস্তবতা স্মরণ করে এই কথাগুলো বলছেন। আত্মঘাতী হানাহানিতে রক্তাক্ত হয়ে উঠেছে আরবভূমি, এর পেছনে আছে লোভ-লালসায় পরিপূর্ণ পাশ্চাত্য দেশসমূহ, তেলসম্পদের ওপর একচেটিয়া অধিকার কায়েমের প্রয়াস। এই প্রচেষ্টায় আকাশ থেকে নেমে আসছে মৃত্যুদূত, সেই প্রক্রিয়া আরও আধুনিক শীতল ও অদৃশ্য মারণযজ্ঞ করে তুলেছে ড্রোন প্রযুক্তির উদ্ভাবন, হত্যাকাণ্ড যখন ভিডিও গেমের মতো মামুলি হয়ে উঠেছে।

পারস্য সফরে শিরাজে হাফেজের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্য হয়েছিল স্মরণীয় অভিজ্ঞতা এবং এরও রয়েছে সমকালীন তাৎপর্য। হাফেজের সমাধিতে যাওয়ার পূর্বে স্থানীয় গভর্নরের সঙ্গে আলাপচারিতায় রবীন্দ্রনাথ জানতে চেষ্টা করেন ইরানের সামাজিক-রাষ্ট্রনৈতিক হালচাল। ইরান-অধিপতি রেজা শা একদা ছিলেন কসাক বাহিনীর সেনাপতি,  পাশ্চাত্যের শিক্ষা তিনি পাননি, এমনকি মাতৃভাষাতেও সুশিক্ষিত নন। তারপরও, ‘কেবল যে বিদেশির কবল থেকে তিনি পারস্যকে বাঁচিয়েছেন তা নয়, মোল্লাদের-আধিপত্যজালে দৃঢ়বদ্ধ পারস্যকে মুক্তি দিয়ে রাষ্ট্রতন্ত্রকে প্রবল ও অচল বাধা থেকে উদ্ধার করেছেন।’ রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন এই আলোচনাকালে তাঁর মনে পড়েছিল মোগল বাদশাহ আকবরের কথা। রবীন্দ্রনাথ যে নিছক উপনিষদে নিমজ্জিত ছিলেন না, মধ্যযুগের ভারতে স্ব-শিক্ষিত সম্রাট আকবরের সর্বধর্মবাদী সাধনা সম্পর্কেও ছিলেন সম্যকভাবে অবহিত, তার প্রতিফলন এখানে মেলে। গভর্নরের কাছে আক্ষেপ করে রবীন্দ্রনাথ জানিয়েছিলেন, ‘দুর্ভাগা ভারতবর্ষ, জটিল ধর্মের পাকে আপাদমস্তক জড়ীভূত ভারতবর্ষ। অন্ধ আচারের বোঝার তলে পঙ্গু আমাদের দেশ, বিধিনিষেধের নিরর্থকতায় শতধাবিভক্ত আমাদের সমাজ।’

গভর্নরের সঙ্গে প্রীতি-বিনিময় ও আলোচনা শেষে রবীন্দ্রনাথ যান হাফেজের সমাধি-দর্শনে। সেখানকার রীতি অনুসারে দর্শনার্থীর সামনে মেলে ধরা হয় হাফেজের দিওয়ানের চিত্রখচিত অলঙ্কৃত বিশালাকার গ্রন্থ। মনে মনে কোনও বাসনা পোষণ করে খুলতে হয় গ্রন্থের পৃষ্ঠা, উন্মোচিত সেই রচনা থেকে মিলবে ইচ্ছাপূরণের সূত্র, এমনি বিশ্বাস স্থানীয় সমাজে প্রচলিত। রবীন্দ্রনাথও মনে মনে একটি আকাক্সক্ষা পোষণ করলেন। তিনি লিখেছেন, ‘কিছু আগেই গভর্নরের সঙ্গে যে বিষয় আলোচনা করছিলুম সেইটেই মনে জাগছিল। তাই মনে মনে ইচ্ছে করলুম ধর্মনামধারী অন্ধতার প্রাণান্তিক ফাঁস থেকে ভারতবর্ষ যেন মুক্তি পায়।’

এবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর খুললেন কাব্যগ্রন্থের কোনও এক পাতা। সেখানে লেখা রয়েছে শ্লোক :

‘স্বর্গদ্বার যাবে খুলে

আর সেইসঙ্গে খুলবে আমাদের সমস্ত জটিল ব্যাপারের গ্রন্থি,

এও কি হবে সম্ভব!

অহংকৃত ধার্মিক নামধারীদের জন্যে যদি তা বন্ধই থাকে

তবে ভরসা রেখো মনে ঈশ্বরের নিমিত্তে তা যাবে খুলে।’

রবীন্দ্রনাথের অন্তরের বাসনা এবং হাফেজের শ্লোক, দুইয়ের মিল কবিচিত্তে কোন আলোড়ন তুলেছিল তা অনুমান করাও দুঃসাধ্য। দুই কালের দুই কবি মানবধর্মের সারসত্য খুঁজে ফিরেছেন স্রষ্টা ও সৃষ্টির ঐক্যমন্ত্রের মধ্যে। জীবনের সত্যরূপ সন্ধানে রবীন্দ্রনাথ জীবনদেবতাকে করেছিলেন আরাধ্য, আনন্দময় যে মিলনের মধ্যে সত্য ও সুন্দরের আবাহন তিনি দেখতে পেয়েছিলেন। অন্যদিকে পারস্যের কবি হাফেজ প্রেয়সীর সঙ্গে মিলনের মধ্যে সত্তার পরিপূর্ণতা খুঁজেছেন, সুরা ও সাকি হয়েছে যার অবলম্বন। উপনিষদের ‘সোহং’ এবং সুফিবাদের ‘আনাল হক’ এভাবে মিলেছিল এক মোহনায়। আমাদের সৌভাগ্য, হাফেজের সমাধির পাশে উপনীত কবি তাঁর মনের ভাব অসাধারণভাবে লিপিবদ্ধ করে গেছেন ভ্রমণগাথা ‘পারস্যে’। সেই কবে একেবারে শৈশবে তাঁর কানে পৌঁছেছিল হাফেজের দিওয়ানের সুর-ঝংকার, মহর্ষি পিতার কল্যাণে। আজ পরিণত বয়সে নানা ঘাট পেরিয়ে কবির তরী এসে ভিড়েছে হাফেজের চিরশয্যাপাশে, মনে হতে পারে পিতার পক্ষ থেকে পুত্র এসেছেন শ্রদ্ধার অর্ঘ্য প্রদানের জন্য। পাণ্ডুলিপিতে রয়েছে এক পঙ্ক্তি, রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘অবশেষে হাফেজের সমাধি দেখতে বেরলম, পিতার তীর্থস্থানে আমার মানস অর্ঘ্য নিবেদন করতে।’ সেই সমাধি-পাশে দাঁড়িয়ে হাফেজের শ্লোক পাঠান্তে আপনকার নিবিড় অনুভূতি মেলে ধরে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন :

‘এই সমাধির পাশে বসে আমার মনের মধ্যে একটা চমক এসে পৌঁছল, এখানকার এই বসন্তপ্রভাতে সূর্যের আলোতে দূরকালের বসন্তদিন থেকে কবির হাস্যোজ্জ্বল চোখের সংকেত। মনে হলো আমরা দুজনে একই পানশালার বন্ধু, অনেকবার নানা রসের অনেক পেয়ালা ভরতি করেছি। আমিও তো কতবার দেখেছি আচারনিষ্ঠ ধার্মিকদের কুটিল ভ্রƒকুটি। তাদের বচনজালে আমাকে বাঁধতে পারে নি; আমি পলাতক, ছুটি নিয়েছি অবাধপ্রবাহিত আনন্দের হাওয়ায়। নিশ্চিত মনে হলো আজ, কত-শত বছর পরে জীবনমৃত্যুর ব্যবধান পেরিয়ে এই কবরের পাশে এমন একজন মুসাফির এসেছে যে মানুষ হাফেজের চিরকালের জানা লোক।’

এ-যেন অন্য এক রবীন্দ্রনাথ, নিজেকে তিনি বলছেন মুসাফির, হাফেজের প্রেরণায় পানশালার রসের পেয়ালা হাতে তুলে নিয়েছেন তিনি, কয়েক শতকের ব্যবধান ঘুচে যায় নিমিষে, দুই দেশের দুই সভ্যতার কবি হয়ে পড়েন একই পানশালার বন্ধু। এমন করে রবীন্দ্রনাথ আর কখনও নিজেকে মেলে ধরেছেন কিনা সন্দেহ। হাফেজই সম্ভব করেছিল আরেক রবীন্দ্রনাথের উন্মোচন এবং উভয়ে মিলে যে-শিক্ষা আমাদের জন্য রেখে গেছেন তা ধর্মের গণ্ডি পেরিয়ে যায়, ধর্মের শিক্ষা দ্বারা প্রাণিত হয়ে, মানুষে মানুষে মিলনসূত্র রচনা করে, আজকের দিনে যে-শিক্ষা আমাদের একান্ত প্রয়োজন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button