আর্কাইভপ্রচ্ছদ রচনাপ্রবন্ধ

বাংলাদেশের মুক্তিসাধনা : অনুভবের সামগ্র্যে : আহমাদ মাযহার

মফিদুল হকের সাহিত্যকর্ম : আলোচনা

মানুষের এক স্বাভাবিক প্রবণতা এই যে, সে কেবল একেকজনের পরিচয়কে নির্দিষ্ট করে নিতে চায়। একবার কারও একটি অভিধা দাঁড়িয়ে গেলে তার অন্যতর প্রয়াসগুলোকে আর গ্রাহ্যেই আনতে চায় না। আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের চেনা মুখ মফিদুল হকের পরিচিতিও অনেকটা সেই ফাঁদে পড়েছে। তাঁকে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের নেতৃস্থানীয় কর্মী হিসেবে যতটা ভাবা হয় তাঁর লেখকসত্তাকে ততটা সামনে আনা হয় না। এর একটা কারণ হয়তো এই যে, তরুণ বয়স থেকেই তিনি প্রগতিশীল বাম রাজনীতির কর্মী। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাঙালি সংস্কৃতির মানবিকতার চর্চা সবসময়ই তাঁর হাতে সংগ্রামের শস্ত্র ছিল বলে তিনি সংস্কৃতিকর্মীর পরিচয়েও ভাস্বর। তা ছাড়া তাঁর লেখালেখিও বিবেচিত হয়েছে প্রধানত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক কর্মপ্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে। ফলে লেখালেখির পরিচয় সামনে এসেছে কম। 

একসময় বাম দৃষ্টিভঙ্গির সাহিত্য-পত্রিকার সঙ্গে উদ্যোগী ভূমিকায় যুক্ত থেকেছেন, দীর্ঘকাল ধরে সক্রিয় থেকেছেন সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের সঙ্গে, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই রয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সঙ্গে, সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে গভীরভাবে যুক্ত, রুচিমানতা ও প্রগতিশীলতার বিবেচনায় বাংলাদেশের পুস্তক প্রকাশনার জগতেও মফিদুল হক এক সম্মানিত নাম। এইসব সময়শোষণকারী বিচিত্র কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত থাকার পরও পরিমাণে এবং প্রয়োজনে তাঁর লেখালেখি অকিঞ্চিৎকর নয়। বেশ কয়েকটি বই বেরিয়েছে তাঁর। এর মধ্যে রয়েছে বিষয়ের গাম্ভীর্য ও বৈচিত্র্য। যদিও তাঁর বিচিত্র প্রবন্ধ রচনায় প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলের কর্মী হিসেবে নানা সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে তিনি আমাদের জাতীয় জীবনের যে মূল্যবোধগুলোকে অনুভব করতে পেরেছেন এবং এই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর লেখালেখিও সৃষ্টি করেছে যথেষ্ট তাৎপর্য, তা সত্ত্বেও তাঁর লেখক পরিচয় খুব একটা সামনে আসতে পারেনি। মোটকথা তাঁর রচনাবলির দিকে যে সমনোযোগ সর্বজ্ঞ সাহিত্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে তাকানো হয়নি তার কারণ আমাদের সমাজের এই পরিচয়নির্দেশী মনোভঙ্গি।  দীর্ঘকাল ধরে মফিদুল হকের লেখালেখির সঙ্গে পরিচয়ের সূত্রে এমনটিই মনে হয়েছে আমার। প্রবন্ধ-রচনার জন্য ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০১৩’ লাভ করায় তাঁর পরিচয়ের মাত্রা সম্প্রসারিত হবার হয়তো একটা সুযোগ এসেছে। প্রসঙ্গত এ কথা মনে করে আলোচনার সূত্রপাত করতে চাই!

হয়তো মানতেই হবে যে তাঁর কেবল এই বইয়ের রচনাগুলো নয়, অধিকাংশ রচনাই কোনও-না-কোনও উপলক্ষের প্রেরণায় রচিত। ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের তাগাদা যে তাঁকে লক্ষ্য করে আসে এর কারণ সামগ্রিকভাবে রাজনীতি- সমাজ-সংস্কৃতির পটভূমি-প্রাণিত এই মানুষটির অনুভবলোক বিভিন্ন সময় অনেককেই অনুপ্রাণিত করেছে। বইয়ের ভূমিকায় তিনি স্বল্প যে দু-একটি কথা বিনীতভাবে বলেছেন তার মধ্যেও অনুভব করা যায় যে, এই ধরনের প্রবন্ধ লেখায় তাঁর সামর্থ্যরে কথা সারস্বত সমাজে অনুভূত হয় বলেই তিনি প্রবন্ধকার হিসেবে উপলক্ষের কারণ হতে পারেন।

সামগ্রিক দৃষ্টিতে রাজনৈতিক- সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের কর্মী হিসেবে তাঁর ভূমিকাবলি প্রধানত নাগরিকজীবনকেন্দ্রী হলেও গ্রামচেতনার নির্যাসে তা প্রাণিত। ফলে তাঁর মানসভুবন অধিকার করে আছে আবহমান বাংলাদেশের এক অখণ্ড ভাবকল্প। মফিদুল হকের সাম্প্রতিকতম বই বাংলাদেশের মুক্তিসাধনা : টুকরো কথার ঝাঁপিতেও খানিকটা এর প্রতিফলন পাওয়া যাবে। ১৪টি প্রবন্ধে সমন্বিত হয়ে একটি সামগ্র্যে পরিণত হয়েছে এই বই; এই সামগ্র্য কোনও-না-কোনওভাবে মুক্তিসাধনাকেন্দ্রী। অন্তর্ভুক্ত প্রবন্ধগুলোর পরিচয় নেওয়া যাক। ‘বিশ শতকের বিপ্লব ধারণা’, ‘উপমহাদেশের নারী আন্দোলন ও সুফিয়া কামাল’, ‘প্রসঙ্গ : জাতীয়তাবাদ’, ‘ষাটের দশক : দেখি নাই কভু দেখি নাই’, ‘মুক্তি-সংগ্রাম এবং শিল্পী-সংস্কৃতিসমাজের ভূমিকা’, ‘আলতাফ মাহমুদ: সংগীত যখন বিদ্রোহী’, ‘ছায়ানট সংগীতবিদ্যায়তন: যাত্রাকালের কথকতা’, ‘মহাবিদ্রোহ ১৮৫৭ থেকে মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১: প্রজন্ম পরম্পরা’, ‘বঙ্গীয় রিলিফ কমিটি: আত্রাই’, ‘প্রসঙ্গ: কালুখালি- ভাটিপাড়া রেললাইন’, ‘এ.জি.স্টক: একান্ত কাছের তবু একান্ত অচেনা’, ‘পি.সি. যোশী ও আমিনুল ইসলাম বাদশা: পুরবী  রাগের যুগলবন্দি’, ‘মহাভারত থেকে মুজিব’, ‘টুকরো কথার ঝাঁপি: শাহবাগ প্রান্তর’। প্রবন্ধগুলোর নামকরণ থেকেও লেখকের অভিপ্রায়ের সামগ্র্যকে খানিকটা অনুভব করা যায়।

বইয়ে অন্তর্ভুক্ত রচনাগুলোর কোনও কোনওটি রচিত হয়েছে ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে, কোনওটি লেখা হয়েছিল বই-সমালোচনা হিসেবে। ব্যক্তিসত্তার আলোচনায় কবি সুফিয়া কামালের অবস্থান নির্ণয়ে তিনি যে উপায় অবলম্বন করেছেন তা বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে। ১৭ পৃষ্ঠার নাতিদীর্ঘ রচনাটিতে তিনি সুফিয়া কামালের এমন এক জীবনী রচনা করেছেন যা একদিকে তাঁর সাহিত্যিক সত্তার অগ্রযাত্রা কিংবা সমাজকর্মীর সংগ্রামের পরিচায়ক হয়ে উঠেছে। সুফিয়া কামালের পারিবারিক পরিচয় তুলে ধরতে গিয়ে বাঙালি মুসলিম সমাজের মানসগঠনকেও তুলে এনেছেন চমৎকারভাবে। ইতিহাস-সমাজ- সংস্কৃতি-ইহজাগতিকতা-নারীচেতনা ও অসাম্প্রদায়িকতার পটভূমিতে সুফিয়া কামালের ব্যক্তিত্বকে এমনভাবে উপস্থাপন করেছেন যা আবার বাংলাদেশের মুক্তিসাধনার কেন্দ্রপ্রেরণার সংলগ্ন হয়ে উঠেছে। এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সুফিয়া কামালের জীবনীটি আর নিছক জীবনতথ্যের সমাহার হয়ে থাকেনি; হয়ে উঠেছে এক অসাধারণ নারীর মহত্ত্বর জীবন-অভিযাত্রার প্রামাণ্য ও মহৎ ইতিহাস! একইভাবে আলতাফ মাহমুদের জীবনকথাও হয়ে উঠেছে সংগীতের মধ্য দিয়ে বিদ্রোহীসত্তা বিকাশের এক ঐতিহাসিক উপকরণ। ইতিহাসের বিবেচনা, সমাজমানসে রূপান্তরাকাক্সক্ষাকে চেনা এবং সংগীতের মধ্য দিয়ে বিদ্রোহীসত্তার প্রকাশকে অনুভব করার মাধ্যমে আলতাফ মাহমুদের জীবনী-প্রতীকে যেন তিনি এক উত্তাল সময়খণ্ডের বিদ্রোহী স্বাধীনতাকামী বাংলাদেশকেই তুলে এনেছেন। ‘এ.জি.স্টক: একান্ত কাছের তবু একান্ত অচেনা’, ‘পি.সি. যোশী ও আমিনুল ইসলাম বাদশা: পুরবী  রাগের যুগলবন্দি’ শীর্ষক রচনাদুটিকে সম্পন্ন জীবনী বলা না গেলেও বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে উল্লিখিত ব্যক্তিত্বের জীবনের আলো আমরা দেখতে পাই। এ. জি. স্টক বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশের কালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। সুতরাং তাঁর অ্যান্টেনায় এমন এক বাংলাদেশের উত্থানমুখর সংগঠনের ছবি ভেসে উঠছিল যে একাকিনী স্টকের জীবনপরিচয়ে তা সীমিত হতে পারেনি। ইন্ডিয়ান লেফট রিভিউ পত্রিকার আগস্ট ১৯৭১ সংখ্যায় প্রকাশিত পি.সি. জোশীর লেখা ‘দি পাবনা আপরাইজিং: অ্যান অর্গানাইজার্স স্টোরি’ সূত্রে আমিনুল ইসলাম বাদশা ও পি সি যোশীর সখ্যের ইতিবৃত্তের মধ্যেও আমরা বাঙালির মুক্তিসাধনার টুকরো ছবি পেয়ে যাই! পাওয়া যায় ইতিহাসের আড়ালে পড়ে যাওয়া আমিনুল ইসলাম বাদশার মহিমান্বিত কর্মসাধনার পরিচয়। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের অভিমুখ দিগ্ভ্রান্ত হয়ে পড়ায় আমিনুল ইসলাম বাদশার মতো মানুষেরা যে আড়ালে পড়ে যান তার বেদনা তাঁর রচনায় এক ট্র্যাজিক আবহের সৃষ্টি করে। এখানেও জীবনী ছাপিয়ে ইতিহাস ও সংস্কৃতির সুবাসে ঋদ্ধ হয়ে ওঠে তাঁর রচনা।

‘প্রসঙ্গ: জাতীয়তাবাদ’, ‘ষাটের দশক: দেখি নাই কভু দেখি নাই’, ‘মুক্তি-সংগ্রাম এবং শিল্পী-সংস্কৃতিসমাজের ভূমিকা’, ‘ছায়ানট সংগীতবিদ্যায়তন: যাত্রাকালের কথকতা’ শীর্ষক রচনাগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের মানুষের জেগে-ওঠার অনুষঙ্গসমূহকে মূর্ত করে তুলেছেন তিনি। এই রচনাগুলো যেন একটি আরেকটির পরিপূরক! ষাটের দশকে বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশের সমান্তরালে যে সাংস্কৃতিক চেতনারও বিস্তার ঘটছিল তার পরিচয় উঠে এসেছে এই প্রবন্ধগুলোতে। রচনাগুলোর একটি মাত্রা তাদের ঐতিহাসিকতায় অন্য মাত্রা বাঙালিত্বের জাগরণসূত্রের পরিচয়ে।

দশ বছরের ব্যবধানে ভারতীয় সাবেক আমলা ও ইতিহাসবিদ নীতিশ সেনগুপ্তের লেখা দুটি ইতিহাসগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। বইদুটির নাম হিস্টরি অব দা বেঙ্গলি স্পিকিং পিপল (২০০১) এবং ল্যান্ড অব টু রিভার্স (২০১১)Ñযার উপশিরোনাম এ হিস্টরি অব বেঙ্গল: ফ্রম দা মহাভারত টু মুজিব। এই দুটি বই নিয়ে আলোচনা-সূত্রে এই নাতিদীর্ঘ রচনায় ইতিহাসের পরিপ্রেক্ষিতে শেখ মুজিবের স্থান নীতিশ সেনগুপ্ত কীভাবে নির্ণয় করতে পেরেছেন তার সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরেছেন মফিদুল হক। ‘মহাবিদ্রোহ ১৮৫৭ থেকে মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১: প্রজন্ম পরম্পরা’, ‘বঙ্গীয় রিলিফ কমিটি: আত্রাই’, ‘প্রসঙ্গ: কালুখালি-ভাটিপাড়া রেললাইন’ শীর্ষক রচনাগুলো যেন ইতিহাস ও রাজনীতির যুগলসন্ধি! এই তিন রচনার উপজীব্য ইতিহাসের নির্দিষ্ট অধ্যায়; কিন্তু এতে রয়েছে ভবিষ্যতের অভিমুখÑযেখানে ইতিহাস হয়ে-ওঠে প্রকৃত অর্থে তাৎপর্যমণ্ডিত।

বইয়ের শুরু ‘বিশ শতকের বিপ্লব-ধারণা’ প্রবন্ধটি দিয়ে এবং শেষ হয়েছে ‘টুকরো কথার ঝাঁপি: শাহবাগ প্রান্তর’ শীর্ষক রচনাটি দিয়ে। এর মধ্য দিয়ে বিশ ও একুশ শতকের বৃত্তে বাঙালির মুক্তিসাধনাকে ধারণ করতে চেয়েছেন লেখক। তাই এক অর্থে এ বই ইতিহাসের। তবে রাজ-রাজড়ার ক্ষমতার পালাবদলের ইতিহাস নয়, ইতিহাস এই অঞ্চলের মানুষের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিবর্তনের। রচনাগুলোতে ইতিহাসের কালপরিক্রমা যেমন আছে, তেমনি আছে লেখকের সংবেদনশীল ব্যক্তিসত্তারও পরিচয়। এই বইয়ের রচনাগুলোর মধ্য দিয়ে লেখক এক ধরনের নির্মোহ অবস্থান থেকে বাংলাদেশের মুক্তিসাধনাকে দেখতে চাইলেও তাঁর হৃদয়াবেগ মাঝে মাঝে সে সীমানাকে অতিক্রম করে গেছে। কিন্তু তা এ রচনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারেনি বরং সজীবতা দিয়েছে। লেখকের হৃদয়াবেগ যে এর বস্তুনিষ্ঠতাকে পাশ কাটাতে পারেনি তাতেই লেখকের উপলব্ধির স্বাতন্ত্র্য ও সৃজনশীলতা প্রকাশ পেয়েছে।

পরিশেষে বইয়ের নামকরণ ও রচনাবিন্যাস নিয়ে দুটি কথা। ‘টুকরো কথার ঝাঁপি’ শব্দত্রয় বইয়ের বিষয়বস্তুর গাম্ভীর্যকে যথাযথভাবে ধারণ করতে পারেনি, বরং খানিকটা বিভ্রান্তই করেছে। নামকরণ শুনে মনে হয়েছিল বিভিন্ন উপলক্ষে এতে বুঝি গ্রন্থিত হয়েছে টুকরো কথার কিছু লঘুরচনা। কিন্তু পাঠ করতে গিয়ে অনুভূত হয়েছে যে, যথেষ্ট গাম্ভীর্যপূর্ণ রচনার সম্ভার এই বইটি। এর রচনাবিন্যাসেও সংহতির অভাব খানিকটা এর সামগ্র্য-অনুভবে বাধার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। বিষয়ানুগ কয়েকটি পর্বে ভাগ করে নিলে বইয়ের কেন্দ্রভাব অনুধাবন সহজতর হতো বলে মনে হয়। শুরুর ‘বিশ শতকের বিপ্লব ধারণা’ ও শেষের ‘টুকরো কথার ঝাঁপি: শাহবাগ প্রান্তর’ রচনাদুটিকে বর্তমানের অনুরূপ বিন্যস্ত করে স্বতন্ত্র পর্ব হিশেবে রেখে জীবনীপ্রধান রচনাগুলোর স্থান হতে পারত একত্রে একটি পর্বে। তেমনিভাবে ইতিহাসপ্রধান রচনাগুলো স্বতন্ত্র আরেকটি পর্বে সংকলিত হলে পাঠকদের পক্ষে সুবিধাজনক হতো।

 লেখক : প্রাবন্ধিক

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button