আর্কাইভগল্পপ্রচ্ছদ রচনা

শিমুল মাহমুদ : ব্রেস্ট ক্যানসার

গল্পসংখ্যা ২০২৩

ক. পরিভ্রমণদৃশ্য

সাঁচচুয়ানা ভাবতে চেষ্টা করছেন পথে দেখা বালকটিকে। বালকটির বাহুতে সরীসৃপের উল্কি আঁকা। এই বালক এই শহরে কেন, ঠিক মেলাতে পারছেন না সাঁচচুয়ানা। উত্তরাঞ্চলের আনসিবানা গোত্রের যুবকদের বাম বাহুতে এই চিহ্ন দেখা যায়। সাঁচচুয়ানা নিজের বাম বাহুতে নিজ উল্কিচিহ্নটির দিকে গভীর চোখে এক মুহূর্ত তাকিয়ে সহসা পাশের টেবিলে বসা মেয়েটিকে দেখে চমকে উঠলেন।

মেয়েটির ঊর্ধ্বাঙ্গ সিবাচ পাতার পোশাকে মোড়ানো; নিম্নাঙ্গ চাখাই সাপের চামড়া দিয়ে তৈরি ক্ষুদ্র পোশাকে ঢাকা। কালো চিকচিক চোখ ডুবে আছে ঘনশ্যাম অন্ধকার ত্বকের ভিতর। কোকড়া চুলে সাদা ছাইজাতীয় কিছু একটা মেখেছে। ঠিক তিন চন্দ্রমাস আগে সাঁচচুয়ানা ঠিক এমন একজন সুঠাম দেহের রমণীকে স্বপ্নে দেখেছিলেন।

জনপদের নাম ‘কিবাত’। গত রাতে কিবাত নগরীর এক সহস্র সৌরবৎসর পূর্ণ হয়েছে। আজ খ্রিস্টপূর্ব ৪ আগস্ট ৩০২৮। কিবাত নগর কতটা স্বাধীন তা বোঝার চেষ্টা করছেন সাঁচচুয়ানা। তিনি গত রাতে এই শহরে প্রথম এসেছেন; তিনটি সমুদ্র এবং চারটি সৌর আকাশ পাড়ি দিয়ে।

সহস্র বৎসরে সজ্জিত এই কিবাত নগরীতে সাঁচচুয়ানা একজন আগন্তুক। নগরপথে তাকে প্রথমে যা খেতে দেওয়া হলো তা সম্ভবত ছিল কোনও এক গভীর তরল কৃষ্ণকায়া পানীয়। পান করার পর থেকে এ পর্যন্ত কিছু খেতে ইচ্ছে করছে না।

সাঁচচুয়ানা পদব্রজে সর্বাপেক্ষা উঁচু পাহাড়টির পাদদেশে এসে দাঁড়ালেন। পাহাড়টির গভীর থেকে জলস্রোতের শব্দ ভেসে আসছে এবং মাঝে মাঝেই পাহাড়টি কেঁপে উঠছে। পাহাড়টির ডান পাশ ঘেঁষে এই নগরীর সর্বাপেক্ষা উঁচু অট্টালিকা দাঁড়িয়ে রয়েছে। অট্টালিকাটি মেঘেদের শরীর ছুঁয়ে একুশ ধাপে নিরানব্বইটি কক্ষে সজ্জিত।

সাঁচচুয়ানা পাহাড়টিকে ছুঁয়ে দেখার চেষ্টা করলেন। কাঁটাজাতীয় ক্ষুদ্র আগাছা উপড়ে ফেলতেই কালো মাটি কর্কশ পাথরের মতো গড়িয়ে পড়ল পায়ের কাছে। বাম দিকে লাঠা গাছের ঝোপের ভিতর থেকে গাঢ় শব্দ ভেসে আসছে। সাঁচচুয়ানা শব্দ বরাবর তাকালেন। কিছুটা অগ্রসর হলেন। হরিণজাতীয় একটা শিশু চুপ করে লাঠা বন থেকে বেরিয়ে এসে সাঁচচুয়ানার পায়ে চুমু খেয়ে চোখ তুলে তাকাল।

হরিণজাতীয় আকাই শিশুটির শুভ্র মস্তকে হাত বুলিয়ে দিলেন সাঁচচুয়ানা। তারপর আকাই শিশুটির গভীর নীল চোখে সবুজ দৃষ্টি রাখলেন। শিশুটিকে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকলেন। ক্রমাগত কিবাত নগরের ঘণ্টাধ্বনি ক্ষীণ হয়ে আসছে। সূর্যরশ্মি মøান হয়ে হলুদ হতে হতে সাদা হবার পর কালো অন্ধকারের মধ্যে ডুবে গেল।

খ. সূর্য ডোবার পর

সাঁচচুয়ানা পদব্রজে স্বপ্নপ্রাপ্ত হলেন। স্বপ্নে গণিত শাস্ত্রের পরিচিত সংখ্যাগুলো জট পাকিয়ে যাচ্ছে। একটা বিশাল জ্যামিতিক জ্যা-এর সমান্তরাল দুটি আয়তক্ষেত্রের ভূমিতলে মাইল মাইল লম্বা দুটি সাদা ধবধবে কনফারেন্স কক্ষ। উঁচু ভীষণ উঁচুতে আয়তাকার বিল্ডিং দুটির ছাদ। ছাদের নিচে ঝুলে আছে ইস্পাত চকচকে মায়া-দর্শন এনামেল। বিশাল মেঝের সম্পূর্ণটাই কাচ দিয়ে মোড়ানো।

কনফারেন্স কক্ষের মাঝ বরাবর সাঁচচুয়ানা দেখতে পেলেন কিবাত নগরের সেই যুবতীকে। যিনি চাখাই সাপের চামড়া ও সিবাচ পাতায় সজ্জিত। সঙ্গে রয়েছে নগরপথে দেখা বালক, যার বাম বাহুতে উল্কি আঁকা। বালকটি সস্নেহে যুবতীর স্তনপানে রত।

অকস্মাৎ ট্রপিক্যাল পোশাকে সজ্জিত তিনজন পুরুষের ছবি ভেসে উঠল কাচের মেঝের ওপর। স্তন পানরত বালক চিৎকার করে উঠতেই পুরুষত্রয়ের তীক্ষè লম্বা আঙুলগুলো বালকের শ্বাস রোধ করে দিল। নরম চোখ জোড়া তীব্র ফেটে যাচ্ছে, ঠোঁট বেয়ে চিকন লাল রক্ত, সম্ভবত বালকটির মৃত্যু হচ্ছে। পুরুষত্রয় যুবতী মাতার স্তনদ্বয় খামচে নিচ্ছে, দাঁত বসে যাচ্ছে।

তীব্র চিৎকার। সাঁচচুয়ানা ছুটে যাচ্ছে দৃশ্যের দিকে। দেয়ালে হাত রাখতেই দেয়াল দু ভাগ হয়ে যায়। সাঁচচুয়ানা এগিয়ে যায়। অভিজাত পুরুষত্রয় চকচকে ইস্পাত হাতে সাঁচচুয়ানা বরাবর অগ্রসর হতে থাকে। সাঁচচুয়ানার চোখে গণিতশাস্ত্রের সংখ্যাসমূহ ক্রমশ তীব্রতা পায়, আইবল তীক্ষè হয়ে উঠল। সাঁচচুয়ানা একে একে প্রতিজন পুরুষের হাত উঁচিয়ে তার দিকে ধরে থাকা ইস্পাত-অস্ত্রের ওপর গণিতরশ্মি ছুঁড়ে দিল। প্রতিটি ইস্পাতখণ্ড সহসা অগ্নিশিখায় জ্বলে ওঠার পর মোমতুল্য তরল হয়ে ওঠে।

পুরুষত্রয় থমকে যায়, তারপর পিছিয়ে আসে। তখন বিশাল জ্যামিতিক জ্যা দুলে উঠতেই বিশাল বিল্ডিং দুটোর ছবি সাঁচচুয়ানার মস্তিষ্ক থেকে মিলিয়ে যায়। সাঁচচুয়ানা পদব্রজে প্রাপ্ত স্বপ্নটির তাৎপর্য ঠিক বুঝতে পারছেন না। ক্রমেই তিনি পর্বতশীর্ষে পৌঁছে যাচ্ছেন।

গ. শীর্ষদেশ

সূর্যোদয়ের খানিকটা আগে সাঁচচুয়ানা পাহাড়ের শীর্ষদেশ থেকে কিবাত নগরীর শতছিন্ন চিৎকার শুনতে পেলেন। নিরানব্বই কক্ষে সজ্জিত কিবাত নগরীর সর্বাপেক্ষা উঁচু অট্টালিকাতে নয়শত নিরানব্বইটি মানবশিশু মাতৃদুগ্ধের পিপাসায় ক্রন্দনরত। মাতাগণ দুধরস সৃষ্টির তাড়নায় নিজ নিজ স্তনে সিবাচ পাতা ঘষছেন।

দুগ্ধ-বন্ধ্যা মাতাগণ প্রত্যুষ-প্রার্থনায় মিলিত হলেন। অট্টালিকার ছাদে নতজানু সারি সারি সিবাচ পাতা পরিহিতা মাতাগণ নিজ নিজ সন্তানদের শুইয়ে রেখেছেন সদ্য উত্থিত প্রত্যুষ-আলোর নিচে। উন্মোচিত হতে যাচ্ছে প্রার্থনা-সংগীত।

ঘ. গণিতশাস্ত্র অধ্যয়ন

সাঁচচুয়ানা মেলাতে চেষ্টা করছেন এখন থেকে ঠিক কত সময় আগামীতে স্বপ্নে প্রাপ্ত দৃশ্যটি বাস্তবে সংঘটিত হতে চলেছে। পাথুরে মাটিতে সংখ্যাচিহ্ন আঁকছেন সাঁচচুয়ানা। বুঝে ওঠার চেষ্টা করছেন আধুনিক পুরুষগণ কখন এই গ্রহে আধুনিক সভ্যতার উদ্ভব ঘটাবে। সাঁচচুয়ানা হিসাব মেলাতে পারছেন না। যদিও তিনি স্পষ্টতই জানেন কোনও দৃশ্যেরই বিনাশ নাই।

ঙ. সহস্র বৎসর বয়স্কা যুবতীর দর্শন লাভ

তিন চন্দ্রদিবস পর সাঁচচুয়ানা পাহাড় অতিক্রম করলেন এবং সমুদ্রের পাদদেশে দণ্ডায়মান সহস্র বৎসর বয়স্কা যুবতীর দর্শন লাভ করলেন। এক্ষণে উভয়ে নিমগ্ন; উভয়ের মনছবি চেতনা প্রকাশে উভয়ে কথোপকথনে আবিষ্ট।

যুবতী : সময়শাস্ত্র অনুসারে আমার অস্তিত্ব অবাস্তব।

সাঁচচুয়ানা : আমি সময়ের রহস্য সম্পর্কে অবগত নই।

যুবতী : অথচ মানুষ সময়কে অতিক্রম করতে চায়।

সাঁচচুয়ানা : হয়তো-বা অভিজ্ঞতা বাস্তব সংখ্যা এবং সময় অবাস্তব সংখ্যা।

যুবতী : অভিজ্ঞতা আপাত বাস্তব সংখ্যা এবং সময় অতিবাস্তব সংখ্যা। এখন থেকে চার সহস্র বৎসর পর পৃথিবীর ঘূর্ণন অংকে একবিংশ শতাব্দীর গতিরেখায় সভ্যতার আপাত শীর্ষে মাতৃদুগ্ধের পাপ ক্রমশ চলমান। এহেন চলমান পাপদৃশ্যসমূহ ইতোমধ্যেই তোমার মস্তিষ্কে স্বপ্ন সৃষ্টি করেছে। বস্তুত মাতৃদুগ্ধের পাপাচার থেকেই কিবাত নগরীর দুগ্ধ-সংকট।

সাঁচচুয়ানা : কিবাত নগরবাসীর করণীয় কী ?

যুবতী : সাঁচচুয়ানা, করণীয় জ্ঞান তোমা দ্বারা বোধগম্য নয়। যেমন তোমা দ্বারা বোধগম্য নয় স্থান, কাল এবং প্রস্থ। তুমি পুরুষ, তুমি বেঁচে আছো সময়ের মধ্যে। পুরুষ পিছনের হিসাব গণনা করে, অথচ সামনের দিকে তাকিয়ে সর্বদা সময়ের মধ্যে ঘৌড়দৌড়ে নিয়োজিত রাখে নিজেকে। ঘোড়দৌড়ের ময়দানে নিজেকে ছেড়ে রেখে কিবাত নগরবাসীর জন্য করণীয় কর্তব্য তোমার জন্য বোধগম্য নয়। তুমি নিজেকে ভাবছো উদ্ধারকর্তা ? অথচ পুরুষস্বভাবে ইহা সম্ভব নয়।

সাঁচচুয়ানা : মহোদয়া, তাহলে তো মনে হয় সকল অশান্তির পেছনে রয়েছে রহস্য উন্মোচনের অশান্তি, যা রয়েছে পুরুষের রক্তে। তাহলে তো বলতে হচ্ছে, আমার সমস্ত অস্থিরতার মধ্যে ক্রিয়াশীল কোথাও না কোথাও পৌঁছানোর অশান্তি, সমাধানের অশান্তি, আবিষ্কারের অশান্তি, কিছু একটা হয়ে ওঠার অশান্তি। তারপরও আমি কিবাত নগরীর মুক্তি চাইছি, পক্ষান্তরে চাইছি মানবজন্মের বংশক্রম বৃদ্ধি, যা কিনা যৌনতার পরাক্রম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

যুবতী : সাঁচচুয়ানা, তুমি ভাবছো তোমরা পুরুষ, প্রকৃতিকে জয় করে ফেলেছো ? তোমাদের স্বভাব হচ্ছে খুঁজতে থাকা, জয় করতে থাকা; অথচ প্রকৃতিকে কখনও জয় করা যায় না; প্রকৃতিকে জয়ের নেশা আসলে পাগলামি; এই পাগলামির মধ্যেই রয়ে গেছে পরাজয়। তুমি তো প্রকৃতির অংশ, তাহলে তুমি স্বয়ং নিজেকে কীভাবে জয় করতে চাও ?

শোনো, স্ত্রীস্বভাবের মূলে রয়েছে সমর্পণ, আরাধনা; আর পুরুষস্বভাবের কেন্দ্রে সর্বদা ক্রিয়াশীল রয়েছে সংকল্প, সংঘর্ষ, বিজয়, নিয়ন্ত্রণ। পুরুষঈশ^র আক্রমণকারী, আবিষ্কারকারী, ধ্বংসকারী। পক্ষান্তরে নারী ঈশ^র আরাধনাকারী। মনে রেখো, যে ঈশ^র আত্মসমর্পণ করতে পারে না সে ঈশ^র প্রকৃতির কোনও কাজে আসে না, সেই ঈশ^র শুধু হাঁটতেই থাকে এবং হাঁটতে থাকে প্রকৃতির বিপরীতে, যেমন তোমরা পুরুষবৃন্দ হাঁটছো প্রকৃতির বিপরীতে।

পুরুষের ভিতর কোনও প্রার্থনা নাই, পুরুষ জোর করে সবকিছু দখল করতে চায়; অথচ যে নিজেকে আত্মসমর্পণ করতে পারে একমাত্র সে-ই বিশালকে পায়, একমাত্র সে-ই কিবাত নগরীর রহস্য উন্মোচন করতে পারে, একমাত্র সে-ই নিজের ভিতর বিরাটকে পাওয়ার জন্য জায়গা বানাতে পারে। নিজের ভিতরের এই জায়গা এই স্পেসটুকুই সেই মহার্ঘ ‘প্রস্থ’; এই প্রস্থ প্রকাশের জন্য অনিবার্য যে নারী সেই নারীই মূলত পুরুষের জন্য ‘স্থান’; এবং ‘সময়’ বলে আসলে কিছুই হয় না, বরং নারীর প্রার্থনা অর্থাৎ আত্মসমর্পণই আসলে ‘সময়’; যা কিনা সর্বদা বর্তমানের ভিতর টিকে আছে।

তর্ক পুরুষের লক্ষণ, বিজয়-সংঘর্ষ এগুলো পুরুষস্বভাব; পক্ষান্তরে তর্কহীন আস্থা অর্থাৎ ভরসা হচ্ছে স্ত্রীস্বভাব। জেনে রাখো, প্রকৃতি মূলত স্ত্রীস্বভাবের মধ্যে ভেসে রয়েছে; ঈশ^র স্বয়ং স্ত্রীস্বভাব। তোমরা পুরুষগণ অযথাই পুরুষ-স্বভাবের প্রখরতা দিয়ে প্রকৃতিকে উলঙ্গ করার জন্য ছুটছো। সাঁচচুয়ানা, তুমি হও পুরুষস্বভাব, তুমি সমাধান চাও না, রহস্যের গভীরতাকে ছুঁয়ে দেখতে চাও না, শুধু চাও বিজয়, আবিষ্কার আর পুরস্কার। অথচ স্ত্রীস্বভাবধারী প্রকৃতি নিজেই সর্বদা মাতৃদুগ্ধে স্বয়ম্ভূ, প্রকৃতি নিজেই তোমাদের পুরস্কৃত করার তাড়নায় প্রস্তুত। পুরুষস্বভাব সেই পুরস্কারকে তিরস্কার রূপে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে, যাকে কিনা পুরুষেরা বলছে শক্তি ও বিজয়।

চ. ২৭ জুন ২০২৩

গণিতশাস্ত্র বিশারদ সচিন দেব ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর দীর্ঘ সময় চুপচাপ শুয়ে রইলেন। পাশে ঘুমিয়ে থাকা মেয়ের মুখে তাকালেন। বেশ কিছু সময় পর মেয়েকে খুব আস্তে চুমু খেলেন। সাইড টেবিলের ওপর রাখা বইয়ের পাতা উলটাতে উলটাতে এলোমেলো দাগে মেয়ের নাম লিখলেন, ‘একা’। মেয়ের মায়ের নাম লিখলেন, ‘ঐশী’ আর নিজের নাম লিখতে গিয়ে লিখলেন, ‘সাঁচচুয়ানা’।

গণিতশাস্ত্র বিশারদ ‘সাঁচচুয়ানা’ নামটার দিকে অপরিচিত চোখে তাকাচ্ছেন; ভয়ানক স্বপ্নটা মাথাটাকে ঝাপসা করে দিচ্ছে। চৌদ্দ মাসের ‘একা’-কে বুকে ঠেসে ধরলেন। ঠিক আজকের দিনে ১২ মাস আগে ‘ঐশী’ মারা গিয়েছে। ব্রেস্ট-ক্যান্সার। আজকে ২০২৩-এর ২৭ জুন ‘একা’র মায়ের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী।

সচিত্রকরণ : ধ্রুব এষ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button