আর্কাইভবিশ্বসাহিত্য

ঢাকা লিট ফেস্ট পাওয়া, না পাওয়ার সাহিত্য আসর : সাদিয়া মাহ্জাবীন ইমাম

ঢাকা লিট ফেস্ট

১৬ বছরের তরুণ পেছনের সারির অন্ধকার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বলেছিল, আমার একটি প্রশ্ন আছে।

তখন মঞ্চে বসে আছেন সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী তানজানিয়ার ঔপন্যাসিক আবদুলরাজাক গুরনাহ, ভারতীয় ঔপন্যাসিক ও সাহিত্য সমালোচক অমিতাভ ঘোষ এবং ভারতীয় প্রবন্ধকার পঙ্কজ মিশ্র। সাহিত্য, দেশ, রাজনীতি নিয়ে গুরুগম্ভীর আলোচনার ভেতর কিশোর প্রশ্ন করে বসল, ১৬ বছর বয়সের জন্য লেখকদের পরামর্শ কী ?

শ্রোতারা হতবাক। এ কেমন খাপছাড়া কথা এই ভাবগম্ভীর মেজাজের আসরে! কিন্তু প্রশ্রয়ের হাসি দেখা গেল আলোচকদের মুখে। যেন জানতেন, এমন প্রশ্নই আসবে। সে তত্ত্ব জানতে চাইবে না।

 কিশোরের উত্তর দিতে এগিয়ে এলেন প্রথমে পঙ্কজ মিশ্র। বললেন, আমি তো নিজের ওই বয়সে পৃথিবীর কিছুই মানতে চাইতাম না। এরপর আবদুলরাজাক গুরনাহ তাঁর নিজের শৈশব নিয়ে স্মৃতিকাতর হলেন।

শ্রোতা অনুভব করলেন, বড় মানুষেরা পৃথিবীটা পাখির চোখে দেখতে শেখেন।

ঘটনাটি ঢাকা লিট ফেস্টের দশম আসরের ‘আ ওয়ার্ল্ড উইদাউট আ কান্ট্রি’ নামক আলোচনা পর্বে।

 ঢাকা লিটারারি ফেস্টিভ্যাল সংক্ষেপে লিট ফেস্টের চার দিনের এই আসরে পাঁচ মহাদেশের পাঁচ শতাধিক বক্তা, শিল্পী ও চিন্তাবিদদের উপস্থিত হওয়ার তথ্যটি আমাদের জানা। কিন্তু আয়োজনে উপস্থিত অসংখ্য দর্শক শ্রোতার অনুভবের গল্পটা মাপা যাবে না কোনও সংখ্যা দিয়ে।

১৭৫টি পর্ব আয়োজিত হওয়ার কথা ছিল। শেষ দিন দু-একটি আসর অনুষ্ঠিত হয়নি।

জানুয়ারি মাসে তখন ঢাকায় শীতের প্রকোপ ছিল। বাংলা একাডেমির চত্বরে হু হু হাওয়া দেয়। এরমধ্যে রোজ কুয়াশার ভেতরও সকাল থেকে নির্ধারিত সময়ে ঠিক মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন আলোচকেরা। ব্যত্যয়ের সুযোগ নেই কেননা উন্মুখ শ্রোতা, দর্শক উপস্থিত হয়েছেন আলোচকদের আগেই। 

জানুয়ারির ৫ তারিখ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত বাংলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া দশম ঢাকা লিট ফেস্ট আসর নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। সমালোচনাও ছিল টিকিট ব্যবস্থাসহ নানাকিছু নিয়ে। তবু সব গল্প উপেক্ষা করে জগৎবিখ্যাত এত মানুষকে নিয়ে এত বড় আয়োজন যখন হয়েছে তা বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছে।

করোনার স্মৃতি এখনও রয়েছে মানুষের মনে দাগ কেটে। কত আপনজনেক হারিয়েছি আমরা। এরমধ্যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিনোলোজির অধ্যাপক সারাহ গিলবার্ট বললেন, মহামারি তো সবসময়ই থাকবে। কিন্তু আগের চেয়ে মহামারির আশঙ্কা বাড়ছে। সচরাচর সংস্পর্শে না আসা, এমন বন্যপ্রাণীর দেহে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস থাকে। আবার বনাঞ্চল হ্রাস এবং দ্রুত নগরায়নের ফলে মানুষ ও বন্যপ্রাণীর সংস্পর্শ বেড়েছে। সেই কথা শুনে সারাহ গিলবার্টের প্রতি মুগ্ধতার সঙ্গে একটুও কি অবাক হইনি আমরা ? এভাবে কি প্রকৃতিকে দেখা যায় সাধারণ চোখে!

অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ টিকার সহ-উদ্ভাবক হিসেবে সারাহ গিলবার্ট বর্তমানে বিশ্বজুড়ে নন্দিত একজন চিকিৎসা বিজ্ঞানী।

সত্তর ও আশির দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডানহাতি ওপেনিং ব্যাটার ছিলেন গর্ডন গ্রিনিজ। বিশ্বসেরা ক্রিকেটারের পরিচয় ছাপিয়ে বাংলাদেশে তিনি পরিচিত কোচ হিসেবে। ১৯৯৭ সালে তার হাত ধরেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দল পৌঁছে যায় বিশ্বকাপ মঞ্চে। গর্ডন গ্রিনিজ বললেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ থাকার সময় যেসব বন্ধু পেয়েছি তাদের সঙ্গে দেখা হয় এখানে (বাংলাদেশে) এলে। তাই বাংলাদেশে আসা উপভোগ করি।’

আমরা উষ্ণতা পেয়েছি বন্ধুত্বের। পরবর্তী প্রজন্ম সুযোগ পেল একজন গর্ডন গ্রিনিজকে জানার।

নোবেল জয়ী আবদুলরাজাক গুরনাহ কিন্তু আমাদের নস্টালজিক করেছেন বাংলাদেশ নিয়ে তার কল্পনার কথা বলে। গুরনাহ বলছিলেন ‘লেখালেখির আনন্দ হলো ভাষার নানা সম্ভাবনা। আমার কল্পনায়, আমি যখন বাংলাদেশকে নিয়ে ভাবি তখন যে ছবি দেখি তাতে আছে নদী, বঙ্গোপসাগর, সুন্দরবন ইত্যাদি। এ যে এক ভাটি অঞ্চল তাও আসে আমার ভাবনায়।’

একজন নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক যখন খুব সাধারণ একজন পাঠকের সামনে বসে থাকেন, তাঁর কথার সুরে পাঠকের ভাবনায় দোলা লাগে তখন সেখানে এক বোঝাপড়া হয়। মৃদুভাষী গুরনাহ কিন্তু সব প্রশ্ন মন দিয়ে শুনেছিলেন। আর তরুণ লেখক কাছ থেকে জেনেছেন, একজন নোবেলজয়ীর গল্প।

পঙ্কজ মিশ্রর বক্তব্য ছিল, সংকটের পৃথিবীতে বেঁচে থাকার আখ্যান। ব্যক্তি জীবনে সংকটের সূচনা নিয়েও আলোচনা করেছেন এই ভারতীয় ঔপন্যাসিক ও প্রবন্ধকার। তাঁর সঙ্গে নিজেকে মনে মনে হয়তো তখন যুক্ত করেছেন তাঁর পাঠকেরা।

এরমাঝে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংস্কৃতি রক্ষার সুযোগ নিয়ে একটি পর্বের আলোচনা হলো। যেখান থেকে উঠে এল সাম্রাজ্যবাদী চিন্তার বিকাশ এই সাংস্কৃতিক লেনদেনের মধ্যে আরও বেশি সংঘর্ষ তৈরি করে সেই ভাবনাটি। ‘ক্ষুদ্র নৃজাতি গোষ্ঠীর সাহিত্য ও সংস্কৃতি আধিপত্যের বিরুদ্ধতায়’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তারা বললেন, শিক্ষিত মানুষের কাছ থেকেই সংস্কৃতি রক্ষার বিরুদ্ধে বেশি প্রতিবন্ধকতা আসে।

সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক আধিপত্য কতটা আগ্রাসী তা সাহিত্যে কখনও কখনও উঠে আসে তবে তা সবার কাছে পৌঁছায় না। এই পর্বে আবৃত্তি হয় কবিতা চাকমার লেখা কবিতা ‘জ্বলি না উধম কিত্তেই’।

 আলোচনায় অংশ নিলেন মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা, ভারতীয় অধ্যাপক নিখিলেশ রায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আকতার হোসেন, জিল্লুর রহমান এবং বিপম চাকমা।

ঢাকা লিট ফেস্টের তৃতীয় দিন শনিবার বাংলা একাডেমি চত্বরে আয়োজিত হয় ‘বাঙালির চিন্তার ইতিহাস: দায় ও সংকট’ শীর্ষক আলোচনা। ভারতের লেখক ও অধ্যাপক তপোধীর ভট্টাচার্য এবং বাংলাদেশের লেখক ও চিন্তাবিদ সলিমুল্লাহ খান বলছিলেন, মানুষের আগে নিজের অবস্থানটা ঠিক করা দরকার। এই অবস্থানের পরিচিতি তৈরি হয় মানুষের ভাষা, জাতিগত পরিচয় থেকে। বাংলা যেমন অনেকবার ভাগ হয়েছে তেমনি বাংলা ভাষাও ভাগ হয়েছে। দেশ যেমন ভাগ হয়, সেভাবে ভাষার ভেতরও অনেক রকম ভাগ প্রবেশ করেছে। ভাবনার নিরিখে বুঝতে হবে আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে আছি।

এই ভাগের প্রসঙ্গে আসর নিয়ে অন্য এক ভাগের কথা বলতে হয়। সাহিত্য সমাজের একটি অংশ ঘোষণা দিয়ে বর্জন করেছিল ঢাকা লিট ফেস্ট। তাদের আপত্তি ছিল টিকিট ব্যবস্থা চালু করা নিয়ে। ব্যক্তিগত জায়গা থেকে আমার মন্তব্য, লেখকের সম্মানী নিয়ে যদি আমরা কথা বলি তাহলে সাহিত্যালোচনা কেন টাকা খরচ করে শোনায় আপত্তি ? তবে হ্যাঁ, টিকিটের মূল্য অবশ্যই কম রাখা উচিত ছিল। যাতে শিক্ষার্থীরা সহজে প্রবেশ করতে পারে।

আরেকটি মত অকপটে দিই। সাহিত্য নিয়ে বিদেশি সাহিত্যিকদের অধিকাংশ পর্বে উপস্থিত থেকে মনে হয়েছে, সঞ্চালকদের প্রস্তুতিতে কমতি দৃষ্টিকটুর মতো। ভাসা ভাসা জ্ঞান নিয়ে শুধু ইংরেজি ভালো জানার গুণে এত বড় মাপের লেখকদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো বের করে আনা যায় না। ফলে যতটা পাওয়ার ছিল তা পাওয়া হলো না। বাংলাদেশের সাহিত্য নিয়েও তাদের আগ্রহী করা সম্ভব হয়েছে বলে আমার মনে হয়নি। সঞ্চালনার দায়িত্বে আরও সমঝদার ব্যক্তিদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানটিকে আরও অর্থপূর্ণ করতে পারত।

তবু যতটুকুই আলোচনা হলো তাকে নিন্দে করলে ভবিষ্যতে আরও সামনে এগোবার পথটুকুও রুদ্ধ হয়। অতীতের ইতিহাস আর ভবিষ্যতের সম্ভাবনা নিয়েই বর্তমান।

ঔপন্যাসিক অমিতাভ ঘোষের উপস্থিতি ছিল অনেকের জন্য খুব বেশি কিছু পাওয়া। সাহিত্যে অতীতের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা গল্প দরকারের কথাটি বলেছিলেন তিনি।

‘হাংরি টাইড’ শীর্ষক আলোচনা পর্বে অমিতাভ ঘোষ কথা বলেন জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি, ঔপনিবেশিক আগ্রাসন ও সাহিত্যের দায়বদ্ধতা নিয়ে। পর্বটির সঞ্চালনা করেন ঢাকা লিট ফেস্টের পরিচালক সাদাত সায্। ‘হাংরি টাইড’ উপন্যাস কেন্দ্র করে আলোচনা শুরু হলেও এখানে স্থান পেয়েছে সমকালীন গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি প্রসঙ্গ।

 ‘পদ্মপুরাণ’ বা ‘মনসামঙ্গল’-এর মতো সাহিত্য শুধু একটি প্রসঙ্গে লেখা নয় বলে আগ্রহ তৈরি করলেন লেখক। যেন রহস্যের সবে শুরু। এরপর বললেন, সেইসব সাহিত্যে জীব, প্রকৃতি, অর্থনীতি ও পরিবেশের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের অনেক স্তরের কথা আছে। তাই মধ্যযুগের এসব সাহিত্য অনেকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। পাঠকেরও যেন দেখার চোখের আরেকটি জানালা খুলে দিলেন তিনি। কত রকম করেই পাঠক সমৃদ্ধ হন লেখকের কাছ থেকে!

‘লস্ট কান্ট্রি, লাস্ট ওয়ার্ডস’ শীর্ষক আলোচনা পর্বে সোমালীয় ঔপন্যাসিক নুরুদ্দিন ফারাহ ছিলেন বক্তা। তিনি জানিয়ে গেলেন,  সমাজের ভেতর থেকেই একনায়কতন্ত্রের জন্ম হয়। একনায়কতন্ত্র অন্য জায়গা থেকে আসে না।  তাই দেখতে হবে, সমাজের কোন কোন বিষয় মানুষের এই মনোভাব তৈরি করে। লেখকদের স্বাধীনতার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নিজের উদাহরণ টেনে আনলেন। ফারাহ বললেন, ‘আমি সবসময়ই একটু বেয়াড়ামতো ছিলাম। কিছু করতে হবে নির্দেশ দিলে বরং উল্টোটাই করতে পছন্দ করতাম।’

গীতাঞ্জলি শ্রীর কথা শেষ সময়ের জন্য তোলা রইল কিন্তু এরমধ্যে যে অনেক পর্বের অনেক ঘটনা ঘটে গেল লিট ফেস্টের দশম আসরে! সেসব উপেক্ষা করার সুযোগ নেই আমাদের। ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশ : স্বপ্নের আগামী’ আলোচনা পর্ব অথবা ‘জীবনের গল্প, গল্পের জীবন’ কোনওটি কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।

শিশুদের ভিজ্যুয়াল স্টোরি টেলিং কিম্বা সুফিবাদ : পারস্য ও বাংলা সাহিত্যে প্রভাব শিরোনামের আলোচনা পর্ব সবই কোনও না কোনওভাবে প্রভাব ফেলেছে আমাদের মনোজগতে।

ব্র্যাকের একটা স্টল ছিল মাঠে। সেখানে রং-তুলি রেখে দেওয়া। ওপরে আছে একটা  প্লাস্টিকের ফুল। সেটা দেখে আঁকতে হবে শিশুদের। একটি ছবিতে চোখ আঁটকে গেল। সবাই কমবেশি চেষ্টা করেছে। কারও ফুলটি চাকার মতো হয়েছে, কেউ হয়তো সূর্য এঁকে রেখেছে। কিন্তু একটা ছবি অন্যরকম। সেখানে আঁকা মাস্কমুখে দেওয়া একটা বিড়াল ছানা। নাম না জানা শিশুটি ছবি এঁকে দাবি করেছে, এটাই সে ফুল।

কে জানে হয়তো এই অচেনা শিশুটির ভেতর বড় হচ্ছে একজন ভবিষ্যতের সারাহ গিলবার্ট।

৮ জানুয়ারি রোববার সন্ধ্যায় জাঁকজমক আয়োজনে শেষ হয়েছে এ উৎসবের দশম আসর। সমাপনী অনুষ্ঠানে ছিলেন এবারের আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথিরা। পাঠক, লেখকের এই সমাবেশ সত্যিকারভাবে অর্থপূর্ণ হয়েছে বলে উল্লেখ করলেন আন্তর্জাতিক বুকারজয়ী ভারতীয় লেখক গীতাঞ্জলী শ্রী।

ঢাকা লিট ফেস্টের টাইটেল স্পন্সর ছিল ঢাকা ট্রিবিউন ও বাংলা ট্রিবিউন। ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান বললেন, এই আয়োজনে মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে সফলতা। সমাপনী অনুষ্ঠানের শুরু হয়েছিল ঢাকা লিট ফেস্টের আয়োজক প্রতিষ্ঠান যাত্রীকের প্রযোজনায় আয়োজিত নাচ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে। ৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছিল উৎসব। বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আবদুলরাজাক গুরনাহ, অমিতাভ ঘোষ, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন লিট ফেস্টের তিন পরিচালক সাদাফ সায, কাজী আনিস আহমেদ ও আহসান আকবর।

লিট ফেস্টের দশম আসরের প্লাটিনাম স্পন্সর ছিল সিটি ব্যাংক। সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সিটি ব্যাংকের সিইও মাসরুর আরেফিন। সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে বর্ধমান হাউসের মাঠে শুরু হয় কোক স্টুডিও বাংলার গান। বাংলা একাডেমির গোটা চত্বর আনন্দে ভেসেছে সেই গানের সুরে।

এমন আয়োজন থেকে আমরা যেমন বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে পারি তেমনিভাবে বিশ্বকে নিজের কাছে ধারণ করার একটা অনুভব হয় পাঠকের।

ভালো লাগার মতো কিছু দেওয়া, নতুন কিছু ভাবতে শেখানোর মতো কোনও কথা বলা; মানুষের জন্য অপরিমেয় এক উপহার।

 লেখক : সাংবাদিক, কথাশিল্পী

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button