আর্কাইভপ্রচ্ছদ রচনা

সম্পাদকীয় : একাদশ বর্ষ, প্রথম-দ্বিতীয় সংখ্যা   জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ২০২৪

আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাসাহিত্য-চর্চার আবহ তৈরি করতে পারছে শব্দঘর

শত বাধা অতিক্রম করে দশ বছরের সফল যাত্রা শেষ করল শব্দঘর। মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। বাংলা একাডেমি ও একুশে পদকপ্রাপ্ত খ্যাতিমান প্রাবন্ধিক মফিদুল হক এবং বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক মঞ্জু সরকারকে উৎসর্গ করা হলো এ সংখ্যাটি। নেপথ্যচারী, অতিসজ্জন, স্বল্পভাষী শক্তিমান এই দুই লেখককে সম্মাননা জানানোর জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে কেবল শব্দঘর-পরিবারের পক্ষ থেকে নয়, অনেক গ্রন্থসুহৃদের প্রাথমিক মতামত এবং সবশেষে বেশ কয়েকজন বোদ্ধা-সাহিত্যিকের নির্মোহ নির্বাচনে দুজনই সর্বাধিক অনুমোদন পেয়েছেন। দুই কীর্তিমান লেখককে সংখ্যাটি উৎসর্গ করার সুযোগ পেয়ে আমরা গর্বিত। অভিনন্দন উভয়কে!

কিছু তথ্য এখানে তুলে ধরতে চাই প্রাসঙ্গিকভাবে। শব্দঘর ২০১৪ সনের জানুয়ারি মাসে জন্মলাভ করে। প্রথম চার বছর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে অবলম্বন করে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সংখ্যা প্রকাশ করেছি। কিন্তু পঞ্চম জন্মদিন-সংখ্যা  উৎসর্গ করেছিলাম জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে, ষষ্ঠ জন্মদিন-সংখ্যা কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হককে, সপ্তম জন্মদিন-সংখ্যা কথাশিল্পী সেলিনা হোসেনকে ।…নবম জন্মদিন-সংখ্যা যৌথভাবে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা ও কথাশিল্পী সৈয়দ মনজুরুল ইসলামকে উৎসর্গ করেছি। আর দশম জন্মদিন-সংখ্যা উৎসর্গ করার সুযোগ পেয়েছিলাম কথাসাহিত্যিক সুব্রত বড়ুয়া এবং শিশুসাহিত্যিক আখতার হুসেনকে।

একাদশ বছরের সূচনাসংখ্যায় বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা সাহিত্যপ্রেমী, সাহিত্যবোদ্ধাদের সব ধরনের সহযোগিতার কথা আমরা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি। আপনাদের ভালোবাসায় দিনে দিনে শব্দঘর বাংলাদেশে তো বটেই, ভারতবর্ষের বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলেও পরিচিতি লাভ করছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাংলা ভাষার সাহিত্যকর্মীদের মধ্যে  অন্য রকম আগ্রহ তৈরি করতে পেরেছে বলে  প্রমাণ পাচ্ছি। আপনাদের  উৎসাহে আমাদের সাহিত্যচর্চা অক্লান্তভাবে চালিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা জোগাবে।

এই সংখ্যায় এই দুই কীর্তিমান লেখকের সাহিত্যকর্ম তুলে ধরার জন্য আমরা তাঁদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছি, নতুন লেখা ছেপেছি, ‘আবার পড়ি’ বিভাগে থাকছে অসাধারণ সব প্রবন্ধ ও গল্প। কেন জানতে হবে তাঁদের সাহিত্যকর্ম ? পড়ার পরই উত্তর পেয়ে যাবেন তরুণ কিংবা প্রবীণ পাঠক।

মফিদুল হকের বই নিয়ে আলোচনা, বিশ্লেষণ করেছেন দেশ-বিদেশের প্রাজ্ঞ লেখক-প্রাবন্ধিক-কবি- কথাসাহিত্যিকগণ। তাঁদের মধ্যে আছেন পবিত্র সরকার, রামেন্দু মজুমদার, মাহবুবুল হক, নাসির আহমেদ, বিশ্বজিৎ ঘোষ, আহমাদ মাযহার এবং স্বপন নাথ। আর দুজনেরই সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন রনজু রাইম।

মঞ্জু সরকারের সাহিত্যকর্ম নিয়ে আলোচনা করেছেন সুব্রত বড়ুয়া, শক্তিনাথ ঝা, সাধন চট্টোপাধ্যায়, সুরঞ্জন মিদ্দে, ওয়াসি আহমেদ, সাত্যকি হালদার, মোজাম্মেল হক নিয়োগী, রণজিৎ অধিকারী এবং প্রিয়দর্শী চক্রবর্তী।

সেরা বাংলা সাহিত্যের ইংরেজি অনুবাদ বিভাগে নিজের নির্বাচিত প্রবন্ধ অনুবাদ করেছেন মফিদুল হক, আর মঞ্জু সরকারের গল্প অনুবাদ করেছেন রাধা চক্রবর্তী, পারভিন ইলিয়াস এবং জুনাইদুল হক।

   প্রচ্ছদে দুজনের অনন্য প্রতিকৃতি এঁকেছেন নিউ ইয়র্কে বসবাসরত খ্যাতিমান অঙ্কনশিল্পী তাজুল ইমাম আর অলংকরণ করেছেন ধ্রুব এষ ও রজত। এগারোতম বর্ষশুরুতে সকল বিজ্ঞাপনদাতা, আড়ালে থাকা উৎসাহদাতা শুভানুধ্যায়ীগণ, লেখক-পাঠকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা জানাচ্ছি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button