স্বাধীনতার ৫১তম বর্ষে শব্দঘর-এর পক্ষ থেকে প্রিয় পাঠক, লেখক, শুভানুধ্যায়ী ও বিজ্ঞাপনদাতাদের জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।
প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে আমরা উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি এ সময়ের নবীন-প্রবীণ প্রজন্মের দশ কবির দশগুচ্ছ কবিতা। তাঁদের সৃজনশীলতা আমাদের কাব্যজগৎকে নানাভাবে রঙিন করে তুলছে।
একইসঙ্গে এই শুদ্ধ শব্দের নান্দনিক গৃহ গুরুত্বসহ স্মরণ করতে চায় মুক্তিযুদ্ধের কয়েকটি অমর আখ্যান―মফিদুল হকের ‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর : নতুন প্রজন্মের হাতে ইতিহাসের পতাকা’; আশফাকুজ্জামানের ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র―কালুরঘাট থেকে বালিগঞ্জ’ এবং সাজ্জাদ বকুলের ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ : একটি কনসার্ট, একটি বই’। এসব ঘটনার মধ্যে রয়েছে স্বাধীনতা যুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটনাপ্রবাহের উপস্থাপনা। বিষয়গুলো নানাভাবে হয়ত আমাদের জানা আছে। এখানে তিন প্রাবন্ধিক/ নিবন্ধকার ভিন্ন চোখে যত্নের সঙ্গে আলো ফেলার চেষ্টা করেছেন এসব অমর আখ্যানের ওপর। বিশেষ করে ১৯৯৬ সালে সামাজিক উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের তাৎপর্যবহ উদ্যোগ : গণহত্যা বিষয়ক গবেষণায় ‘সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অফ জেনোসাইড অ্যান্ড জাস্টিস’, ‘বাংলাদেশের গণহত্যার বাস্তবতা, এর বিভিন্ন দিক, বিচারের প্রয়াস ইত্যাদি জরুরি বিষয় অধ্যয়ন ও তা বিশ্ববাসীর কাছে মেলে ধরতে সেন্টার সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। তরুণ গবেষকদের আগ্রহী, অনুপ্রাণিত ও দক্ষ করে তুলতে প্রশিক্ষণ-অধ্যয়ন ও গবেষণার বিভিন্ন উদ্যোগ সেন্টার গ্রহণ করে আসছে। এভাবে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম গৌরব ও বেদনার অতীত ইতিহাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে শান্তি ও সৌহার্দের উন্নত সমাজ গঠনে অবদান রাখবে, সেই প্রত্যাশা আমরা করতে পারি।’
এ মহান স্বাধীনতা দিবস সংখ্যা বইকথা বিভাগে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি : আফসান চৌধুরীর সম্পাদনায় ১৯৭১ গণনির্যাতন-গণহত্যা : কাঠামো, বিবরণ ও পরিসর; মোহীত উল আলমের বঙ্গবন্ধু : বাংলাদেশ; আনিসুল হকের উপন্যাস রক্তে আঁকা ভোর; রীতা ভৌমিকের মুক্তিযুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ গ্রন্থসমূহের আলোচনা।
সাহিত্যপ্রিয় পাঠকের জন্য প্রবন্ধ বিভাগে এবার থাকছে মাহবুবুল হকের ‘উপন্যাসের রূপশ্রেণি’; কবি কাবেদুল ইসলামের ‘ফয়জুল লতিফ চৌধুরী সম্পাদিত বাংলার ত্রস্ত্র নীলিমা : সম্পাদনা সম্পর্কিত নিমকথন’ এবং খান মাহবুবের নিবন্ধ ‘নগর সংস্কৃতির স্বরূপ সন্ধানে’।
বিশ্বসাহিত্য বিভাগে বরেণ্য সাহিত্যিকের দীর্ঘ সাক্ষাৎকার থাকছে : ‘ওরহান পামুক : কল্পকাহিনির শিল্পশৈলী’―অনুবাদ করেছেন সুদেষ্ণা দাশগুপ্ত।
থাকছে অন্যান্য নিয়মিত সব বিভাগ।
সংখ্যাটির প্রচ্ছদ করেছেন চিত্রকর এবং কথাশিল্পী ধ্রুব এষ।