আর্কাইভগল্প

বিবাহ একটি গ্রামের নাম

রাবেয়া রব্বানী

আ মি ইরেশকে অস্থির করতে চাই, তার স্থিরতায় আমার অস্বস্তি হয়, আমি তাকে মনিব ভাবতে শুরু করি।

আমি ইরেশকে উঠাতে চাই, যেন সে কোনও আরাম কেদারায় এক হাত ডুবে আছে। মাস্ক পরলে তা খুলতে চাই, আমার গন্ধ তো আর সে পাচ্ছে না, সে কি চাইছে না ?

নিজেকে আয়নায় দেখলে ইরেশকে আমার অসুন্দর মনে হত। সে কুকুরের মতো অস্থির অস্থির করত, আমি বেড়ালের মতো ফাঁকি দিতাম।

একদিন, অফিসের ক্যান্টিনে বসেছিলাম। ইরেশ পিকনিকে রেকর্ড করা ভিডিওগুলো আমাকে দেখাচ্ছিল। যারা আমাকে সুন্দর বলে, আমার কণ্ঠ ভালো বলে তাদের আর বিশ্বাস হচ্ছিল না। বার বার আমি চোখ কচলাচ্ছিলাম, কানের লতি ধরে ঝাঁকি দিচ্ছিলাম।

ক্যামেরার আমিকে বরাবর আমার সহ্য হয় না, ইরেশ জানত। আমার সহ্যের সীমা মাত্রা ছাড়ায়, ইরেশ বুঝত। তবু সেদিন সে বারবার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ক্লিপগুলো দেখাচ্ছিল, অস্ত্র তাক করার ভঙ্গিতে বারবার বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছিল। আমার একটা আয়নার প্রয়োজন ছিল, আমি তার চোখে নিজেকে দেখছিলাম আর মনে মনে ক্যামেরাটার দুর্নাম করছিলাম।

আমার বয়স সাতাশ পার হয়ে গেল। ঋতুচক্র চলছে পনেরো বছরে পড়ল। প্রায় একশ আশিটা ডিম্বাণুকে আমি অপদস্থ করেছি, ডিমগুলোকে ছুঁয়ে ছেনে দেখিনি পর্যন্ত। স্যানিটারি ন্যাপকিনের দিকে আমি ইচ্ছা করে তাকাই না, মাঝে মাঝে তাকাতে হয়।

বিয়ের আগে সবাইকেই গ্রামটা ঘুরে দেখতে হয়, গতকাল রাতে বাবা কথাটা বলেছিল।

আমিও দেখেছি, মা বলেছিল।

আমাকে বল তো, কি দেখেছ ? আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম।

যার যার দেখা তার তার কাছে, মা উত্তর দিয়েছিল।

মায়ের ভ্রু ওপরেই উঠে ছিল, চোখের মনি বার কয়েকবার চক্রাকার ঘুরেছিল। বাবা মাটির দিকে তাকিয়ে গোঁফে তা দিয়েছিল, তার চোখ চিকচিক করছিল।

ভোর রাতে উঠেছি। আয়নার সামনে গিয়ে নিশ্চিত হয়েছি, আমি যাকে আমি মনে করি সে আসলে আমিই। ক্যামেরার দোষ আছে, চালাকি আছে, ক্যামেরা একটা দুর্বল যন্ত্র।

বাবা মা আমাকে বিদায় জানাতে দরজা পর্যন্ত এসেছে, তারা আমাকে বলেছে শান্ত থাকতে, চুপ করে থাকতে।

আমি বাড়ির সদর দরজায় পার্ক করা ইরেশের নতুন গাড়িতে চেপে রওনা দিয়েছি।

ইরেশ ধীরে গাড়ি চালাচ্ছে। হেড লাইট জ্বালিয়ে সাবধানে মোড় ঘুরছে। বার বার গান বদলাচ্ছে। তার প্রিয় গানগুলো একদিনেই আমার মগজের ভেতর গোলানো কংক্রিটের মতো ঢালছে। আমার কানের ভেতর ভিন্ন এক ইমারত তৈরি হচ্ছে, আমি টের পাচ্ছি।

শহর পার করতেই ইরেশের মেজাজ একটু তরল হয়েছে। সে আমার দিকে হেলান দিয়ে নিজের গাল পেতে দিয়েছে, আমি চুমু খেয়েছি।

ঘাই হরিণীর বন

ইরেশ একটা জঙ্গলের মুখে গাড়ি থামিয়েছে। একটু আগেও সে গাড়ি চালাতে চালাতে আমার উরুতে হাত রাখছিল, আরও গভীরে সরে ছিল তার উত্থিত একটা আঙুল, আমি তার হাতের উপর হাত রেখে অবাধ্য খাড়া আঙুলটা বাঁকানোর চেষ্টা করছিলাম, ইরেশ না বুঝেই হয়ত এমনটা করছিল আর আমি তা বুঝেই বাধা দিচ্ছিলাম। বেশ কিছুক্ষণ এভাবে কাটাকুটি খেলার পর এখন কেমন যেন চিন্তিত দেখাচ্ছে তার চেহারা।

ভোর হয়ে যাবে, ইরা।

তাই ?

যেন ভোর হওয়া কাকে বলে জানতাম না, এভাবে ন্যাকামি করছি, অবাক হচ্ছি। রোজি চাচি বলেছে, রোজ একবেলা হবু স্বামীর সাথে ঢং করবি।

রাজ্যের পাখি কিচির মিচির করে ডাকছে। একটু ফর্সা হতেই ইরেশ চারটা লেমন ব্রেড আর দুকাপ ইনস্ট্যান্ট কফি বানিয়ে এনেছে। আমরা খাচ্ছি জঙ্গলে ঢোকার রাস্তার সামনে দাঁড়িয়ে। ইরেশ কথা বলছে না তার দৃষ্টি জঙ্গলের শেষ সীমায় থমকে আছে।

একটা সরু রাস্তা ধরে আমরা বনের ভেতর ঢুকেছি। সকালের প্রথম সূর্যের আলো গাছের ফাঁক গলে এখানে সেখানে পড়ে আছে। ঠিক সান্ধ্য ভোজের অনুষ্ঠানে হেলান দেওয়া কামিনী রানিদের মতো শুয়ে আছে হরিণীগুলো। তাদের প্রত্যেকের শরীরে তীরের ফলা অর্ধেকটা গেঁথে আছে এভাবে যেন অলংকার, যেন অসাধারণ এক প্রাপ্তি, যার যার স্ত্রী-সত্তার পুরস্কার।

হরিণীগুলোর গায়ে তির বিঁধল আমি তা জানি না। মা বলেছে, প্রশ্ন করবি না।

এত ভয়াবহ দৃশ্য দেখেও ইরেশের মুখ চুইয়ে মুগ্ধতা ঝরে পড়ছে। সে তার আঙুল উঁচিয়ে উঁচিয়ে পাতার ফাঁক-ফোকরে থাকা প্রতিটি হরিণী আমাকে দেখিয়ে দিচ্ছে। ইরেশের হাতে ক্যামেরা আছে। সে আমাকে দেখছে না অনেকক্ষণ হয়, অনেকক্ষণ হয় সে আমাকে পিছে ফেলে হাঁটছে। আমি ব্যথা পাওয়ার ভান করছি, ইরেশ, ইরেশ!

বাঁশ ফুল ও মেঠো ইঁদুর

বাকি পথ গাড়ি আর যাবে না। গাড়িটা একটা পরিত্যক্ত খামার বাড়িতে রেখে আমরা হাঁটছি।

গ্রামটা শুরু হয়েছে এখান থেকে। মানুষজন কম। বেশ দূরে দূরে ঘর বাড়ি গাছপালায় ঢেকে আছে। বিরাট এলাকা জুড়ে শুধু বাঁশঝাড়। মেঠো পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে আমি ইঁদুরের কিচকিচ শব্দ শুনতে পাচ্ছি, দেখতে পাচ্ছি। ইঁদুরগুলো রাস্তার ধার দিয়ে যাচ্ছে, খুব দ্রুত একজন আর একজনের শরীরের ওপর দিয়ে হুটোপুটি খাচ্ছে।

এত ইঁদুর! আমি বললাম

মনে হচ্ছে এখানে বাঁশ ফুল ফুটেছে, ইরেশ উত্তর দিল।

আমরা বাঁশ ফুল ফুটে আছে এমন ঝাড়গুলোর সামনে দাঁড়িয়ে আছি। একজন দুজন প্রৌঢ় যাচ্ছে লাঙ্গল কাঁধে নিয়ে। তারা কাঁদতে কাঁদতে চোখ মুছছে। একজন মহিলা এসে বাঁশ গাছগুলোকে অভিশাপ দিচ্ছে। বাঁশ পাতা হাল্কা তালে নড়ছে।

মেঠো ইঁদুরগুলো কাউকে পাত্তা দিচ্ছে না, গাছ বেয়ে ওপরে উঠে যাচ্ছে। কিছু ফুল মাটিতে পড়ে আছে, কিছু ইঁদুর সেগুলো খাচ্ছে। ইরেশ ব্যাগ থেকে আমাকে এক বোতল পানি ধরিয়ে দিতেই আমি বললাম, ইঁদুরগুলো মোটা।

ইরেশ বলল, বাঁশফুল পুষ্টিকর।

আমি বললাম, ফুলগুলো দেখতে সুন্দর।

ইরেশ বলল, বাঁশগাছ কখনও ফুল ফোটাতে চায় না।

যাক ইঁদুরগুলো আনন্দে আছে।

হ্যাঁ এরা এবার ফসল খাবে, ইরেশ হাসিমুখে বলল।

এখানে দুর্ভিক্ষ নেমে আসবে, আমি বিমর্ষ মুখে বললাম।

বাবা বলেছেন, এই গ্রামে যা যা মন্দ তাই তোর জন্য ভালো, ইরেশ বলল।

একটা প্রশ্ন আমার কণ্ঠনালি আর মুখবিবরের সাহায্য না পেয়ে জন্মাবার আগেই মরে গেল। বাবা মা বলেছে, প্রশ্ন করবি না।

এর মধ্যেই ইরেশ কয়েকবার প্যান্টের জিপার খুলে ঝোপঝাড়ে জল বিয়োগ করেছে, আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করেনি। আমি বলতে লজ্জা পাচ্ছি, আমার মূত্রথলি আছে।

ইঁদুর আর বাঁশফুলের পটভূমিতে আমি দাঁড়িয়ে আছি, দৃশ্যটা নিশ্চয়ই ভৌতিক। ইরেশের ক্যামেরা শব্দ করছে, ক্যামেরাকে আমি দৃশ্যটার চেয়েও বেশি ভয় পাচ্ছি। ইরেশ থামো, আমার চোখে ধুলো পড়েছে।

মাদাম তেরেসার পা, লোহার জুতায় বদলে যাওয়া পা

গ্রামের মাঝামাঝি, প্রচুর মানুষ, কোলাহল। পুরুষেরা ক্ষেতে কাজ করছে। তাদের কথা বলার সময় নেই, আমাদের বলেছে ভেতর বাড়িগুলোর দিকে যেতে।

ভেতর বাড়ির মহিলারা ঝাঁকে ঝাঁকে এগিয়ে এসেছে। সবার বুক মাংসল, ধুন্দলের মতো সরু ও নিম্নগামী, নেমে আছে উপরের পেট পর্যন্ত। কানের লতির ছিদ্র অনেক লম্বা, আমি নিশ্চিত যেকোনো সময় দুলগুলো টুপটাপ পড়ে যাবে। নাকে কোনো ফুল নেই, আধা ইঞ্চি পর্যন্ত সবার নাক চিড়ে রাখা।

একটা ইটের মেঝেতে বসে আমি জল বিয়োগ করছি। অনুভূতি ভোতা হয়ে আছে, বেগ নেই, ভেঙে ভেঙে দীর্ঘক্ষণ আমি প্রস্রাব করছি, ছোট ধারা হয়ে সেগুলো জলাটায় মিশে যাচ্ছে।

সব মহিলার গায়ের কাপড় নরম আর পাতলা, পায়ে লোহার জুতা। সবাই যে যার জুতো খুলে আমাকে তাদের পা দেখাচ্ছে। একি! পাগুলো চরম শত্রুর মতো দুই দিকে বেঁকে আছে! মাদাম তেরেসার পা, লোহার জুতোয় বদলে যাওয়া পা ।

সবচেয়ে বেঁকে যাওয়া পায়ের মহিলাটা আমাকে আশীর্বাদ করতে এসেছে। বৃদ্ধা মহিলাটার পা বাঁকা হতে হতে উল্টো দিকে মোড় নিয়েছে। উনি আর চোখে দেখেন না। উনি আমার মাথায় হাত রেখেছেন, মন্ত্রের মতো আওড়াচ্ছেন, পা বেঁকে যাক, উত্তর দক্ষিণ হয়ে যাক, পা থাকুক বন্দি।

এবার মহিলাগুলো আমার সোজা পা দেখছে। তাদের চোখগুলো বিস্ফোরণ গোলকের মতো, ললিপপের মাঝখানের ঘূর্ণির মতো, বাতাসের দিনের কাগজের ফুলের মতো ঘুরছে, ক্রমশ বড় ছোট হচ্ছে। আমি পা দুটো সামনের দিকে মেলে ধরেছি।

আফিমের সিংহ

ফুস করে বিয়ারের ক্যান খুলছে ইরেশ। চপ চপ শব্দ হচ্ছে আমার ইনস্ট্যান্ট নুডলস গেলার। কাঁটা ধানের গাদায় বসে আমরা খাচ্ছি। দুপুর মরে গেছে। সামনের দিকে ঘন জঙ্গল। কাঠুরেরা কাঠ কেটে ফিরছে।

ইরেশ চুপচাপ তার নুডলস শেষ করেছে। বলেছে, গ্রামটার শেষ ওখানে, ওখানটায় যেতেই হবে।

আমি উঠতে চাইছি না, বাবার লাশ কাঁধে নেওয়া জোয়ান ছেলের মতো ইরেশ আমাকে পাজাকোলে করে উঠিয়েছে। আমি হাত পা ছুড়ছি। বিয়ার খেলেই আমার প্রস্রাব চাপে। আমার মুত্রথলি আছে।

ইরেশ আমাকে আবার নামিয়ে রেখেছে। আমি স্কার্ট উঠাতে শুরু করেছি, সে অন্যদিকে তাকিয়ে দেয়ালের মতো আমাকে আড়াল করেছে।

 আমি উদাম মাঠে সোনালি ধানের ছড়াগুলোতে উত্তপ্ত জল বিয়োগ করছি।

জঙ্গলটার ভেতরে অনেক গাছেরই মাথা কাঁটা। খর্বকায় গাছগুলোর ফাঁক দিয়ে সহজেই আলো চলাচল করছে। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি সামনের দিকে। সাইনবোর্ড আছে কিছু তিরের চিহ্ন দেওয়া।

পাখির ডাক নেই, ক্রমাগত ঝিঁঝিঁ ডেকে চলছে। দূর থেকে সিংহের হুংকার ভেসে আসছে। আমরা ভয় পাচ্ছি।

কাঠ কাটার শব্দ পেয়ে থেমে গিয়েও আমরা আবার এগিয়ে যাচ্ছি। কে যেন গলা ছেড়ে গান গাইছে।

তির চিহ্ন অনুসরণ করতে হচ্ছে, সিংহের কাছেই আমাদের যেতে হবে। এখানকার সব মন্দ ইরেশের জন্য ভালো এই তথ্য হয়ত ইরেশকে তাড়িত করছে, ইরেশকে শেয়ালের মতো ধূর্ত দেখাচ্ছে। আমি তার মুখের ভেতরে লকলক করা জিভ দেখতে পাচ্ছি, এই তো সে লালা গিলে ফেলল।

সিংহটার খুব কাছেই একজন লোক মহুয়া ফুল কুড়াচ্ছে, আমাদের অবাক করে দিয়ে লোকটা হাসছে, গান গাইছে।

আমি ইরেশের কবজি শক্ত করে ধরে আছি। কয়েক হাত দূরে বসে থাকা সিংহটা কেশর ফুলিয়ে আমাদের দেখছে, জঙ্গল কাঁপিয়ে হুংকার দিচ্ছে।

আমরা নিশ্চল দাঁড়িয়ে আছি। ইরেশের চেহারা থেকে সভ্যতার ইতিহাস গায়েব হয়ে আছে, কিংকর্তব্যবিমূঢ় বানরের মতো সে একই জায়গায় দাঁড়িয়ে লাফাচ্ছে। লোকটার ফল কুড়ানো শেষ হয়েছে।

ফিরে যাওয়ার আগে লোকটা সিংহটার শরীরে হাত বুলিয়েছে।

আমার পা কাঁপছে। ইরেশ এখন শান্ত আছে, আমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে সিংহটার কাছে। আমি গলা ছেড়ে কাঁদছি।

আমাকে জোর করে সিংহের শরীর স্পর্শ করিয়েছে ইরেশ। আমি আর ভয় পাচ্ছি না, আমার কষ্ট হচ্ছে। সিংহটার কেশরে হাত বুলাচ্ছি আর বলছি, আহা! আফিমের সিংহ! সার্কাসের স্থবির সিংহ এক।

আমরা ফিরছি। মেটালিক গানগুলো মুগুরের মতো আমার মস্তিষ্ক পেটাচ্ছে। আমার মাথাব্যথা করছে। ইরেশকে সফল মনে হচ্ছে। সে গাড়ি থামিয়ে আমার মাথা টিপে দিচ্ছে, তার চোখদুটো আগের চেয়েও স্বচ্ছ দেখাচ্ছে। আমি ভাবছি, আসলে আয়না কি ক্যামেরার চেয়েও ভালো ?

বাসায় ঢুকেই পেইন কিলার খুঁজছি। বাবা মা আমাকে গ্রামটার ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞেস করেনি। পথ্য হিসেবে তারা আমার জন্য করলার জুস নিয়ে এসেছে।

জিনিসটা বিষ-তেতো, জিনিসটা দরকারি, বাবা বলেছে।

বাবা গ্লাসটা আমার ঠোঁটের ওপর চেপে ধরে রেখেছে। আমি মুখ খুলছি না। ঠোঁটে দাঁত লাগছে, আমি ব্যথা পাচ্ছি। আমি কিছু বলতে চেষ্টা করছি। মা গাল দুটো চেপে ধরেছে, শূন্যের মতো কিছুটা ফাঁক হতেই বাবা তরলটা ঢালছে। আমি কিছু বলছে চাচ্ছি। মা বলছে, কোনও কথা না, চুপচাপ গিলে ফেল।

সচিত্রকরণ : কাব্য কারিম

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button