আর্কাইভগল্প

গল্প : একটা কাটা হাত ও কামরুজ্জামানের প্রেসক্রিপশন : সাদিয়া সুলতানা

সেই কোন আদ্যিকালে কেনা মোবাইলের ঘোলা পর্দায় জনগণের ক্ষমতা দেখতে দেখতে ঝিমুনি আসে। দুই হাঁটুর ওপরে আলগোছে রাখা প্রেসক্রিপশন ঠাসা টিয়া রঙের ফাইলটা মেঝেতে পড়ে যায়। মুর্হূতের জন্য মনে হয় ফাইলটা একটা টিয়া রঙের পাখি, উড়ছে উড়ছে…। আমি পাখিটা খপ করে ধরে খাঁচায় ভরে ফেলতে চাই। কিন্তু লাল ঠোঁটের দস্যি পাখি আমার নাজুক আঙুলে ঠোকর মারতে শুরু করে। আমার আঙুল ফুলে ওঠে, একটা নখ আলগা হয়ে যায়। আমি হাত সরিয়ে নেওয়ার বদলে পাখিটার ডানা চেপে ধরি। ছোটখাটো একটা লড়াই শুরু হয়। রক্তাক্ত আঙুল দিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি ফাইলটা আঁকড়ে ধরে বিজয়ীর ভঙ্গিতে গ্রীবা উঁচু করি। দমে যেতে সময় লাগে না। চোখের সামনে ভেসে ওঠে একটা রক্তাক্ত কাটা হাত।

সন্ধ্যার সময়েই ঘটেছে ঘটনাটা। মিনিট পনেরোর মধ্যে ভিডিওতে ‘টেন কে’ রিয়েক্ট পড়েছে, ‘ওয়ান কে’র বেশি শেয়ার হয়েছে। ভাইরাল ভিডিওর শেষ দৃশ্যে দেখা গেছে মৃত ছেলেটার একটা হাত নেই। গণপিটুনির সময় ছেলেটার হাত কেটে নিয়েছে জনগণ। ছিন্ন হাত থেকে রক্ত গড়ালেও কিল-ঘুষি মারা বন্ধ করেনি। পুলকিত দুই-একজনকে দেখে মনে হচ্ছিল, তারা পরকীয়া করতে গিয়ে ধরা পড়ে যাওয়া স্ত্রীকে পিটাচ্ছে। কিছু মানুষ মারপিটে যুক্ত হয়নি, কাছাকাছি দাঁড়িয়ে থেকে উৎসাহ দিয়ে বলেছে, ‘একদম উচিত শিক্ষা হইতাছে। মাদারচোতেরা, শান্তিমতো রাস্তাঘাটে চলতে-ফিরতে দেয় না, ঘরে ফিরা রাইতে আরাম কইরা ঘুমাইতেও পারি না শুয়োরের বাচ্চাদের জ্বালায়।’ ভিড় ঠেলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুইজন সদস্য এসে ছেলেটাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতেই উত্তেজিত কেউ কেউ চিৎকার করে উঠেছে, ‘এদের কথা শুনবেন না কেউ!’ ‘হ্যাঁ… হ্যাঁ…ঠিক কথা, আমাদের কাছ থেইকা ইবলিসটারে ছাড়ায় নিজের পকেট ভইরা পরে আবার ছাইড়া দিব।’ সরকারি পোশাকধারীরা দূরে সরে দাঁড়িয়ে বাঁশি ফুঁকতে শুরু করেছে। এরই মাঝে বাজারে ছুটে গিয়ে কসাইয়ের কাছ থেকে চাপাতি নিয়ে এসেছে একজন দীর্ঘদেহী মানুষ। ঐ চকচকে চাপাতির কোপেই ছেলেটার হাত কবজি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। দৃশ্যটা মোবাইলে ধারণ করে ভিডিও ছেড়ে দিয়েছে কেউ ফেসবুকে। ভাইরাল হয়ে গেছে একটা রক্তাক্ত কাটা হাত। ঐ হাত দিয়েই উত্তরার রাজলক্ষ্মী কমপ্লেক্সের সামনে এক পথচারী নারীর ব্যাগ টেনে নিয়েছিল ছেলেটা। ব্যাগটা মাটিতে পড়ে ছিল অনেকক্ষণ। ভিড় ঠেলে এসে লাল হলুদ চেক গেঞ্জি পরিহিত এক যুবক ব্যাগটা আলগোছে তুলে নিয়ে গেছে। আর ধৃত ছিনতাইকারীকে তুলে নিয়েছে জনগণ।

ফের ঝিমুনি আসে। এখানে এলেই ঝিমিয়ে পড়ি আর আমার হাত থেকে টিয়া রঙের ফাইলটা আলগা হয়ে মেঝেতে পড়ে যায়। ফাইলটা হাতে তুলতে তুলতে দেখি, দীর্ঘ একটা সারিতে মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। মানুষ না, রোগী। এই ডাক্তারের অনেক রোগী। হাসপাতালের ডিউটি শেষ করে দশটার পর তিনি এই ক্লিনিকে ঢোকেন, রাত বারোটা একটা পর্যন্ত রোগী দেখেন। আজ অপেক্ষমাণ রোগীরা অস্থির হয়ে আছে, নানারকম মন্তব্য করছে, কেন ডাক্তার সাহেব এত রাত অবধি রোগী দেখবেন, দেশের এমন অবস্থায় রাত করে কীভাবে বাড়ি ফিরবে সবাই ইত্যাদি ইত্যাদি। ডাক্তারের চেম্বারের সামনে টেবিল পেতে বসা অ্যাসিস্ট্যান্ট অনেকক্ষণ সহ্য করার পর মুখ খোলে, বিরক্তিভরা স্বরে বলে, ‘আপনাদের জন্যই তো এই অবস্থা। আগে আমার স্যারে দিনে পনেরোটার বেশি রোগী দেখত না। একদিন একদল পোলাপাইন আসল, স্যাররে থ্রেট দিয়া গেল, যত রোগী আসে সব দেখা লাগব। দ্যাশটা যে কেমনে চলতাছে!’

লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ঝকঝকে একটা মেয়ে গ্রীবা বাড়িয়ে বলে, ‘ও এখন অন্যদের দোষ, না ? আপনার স্যার রোগী দেখে টাকার জন্য, যত রোগী তত টাকা।’ মেয়েটার কথা শুনে অ্যাসিস্ট্যান্ট আমার মতো ঝিমিয়ে যায়।

অনেক দিন ধরেই এমন হচ্ছে, কেউ কিছু বলতে গিয়ে থেমে যাচ্ছে, কেউ থামিয়ে দিচ্ছে। সবার চোখে-মুখে ভয়, অবিশ্বাস আর অনাস্থার চিহ্নও ফুটে উঠছে। গত আগস্টের পর থেকে ফেসবুকে অনেকের স্ট্যাটাসে পড়েছি, বিপ্লব পরবর্তী সময়ে নাকি এমন হয়। অনাস্থা, অবিশ্বাস, ভাঙচুর, মব জাস্টিস ইত্যাদি ইত্যাদি ঘটনা ঘটে। কথায় কথায় মানুষ অসহিষ্ণু হয়। আইন নিজের হাতে তুলে নেয়। তবে দেশে বিপ্লব ঘটেছে তা বলতেও অনেকে নারাজ, কেউ বলছে গণঅভ্যুত্থান, কেউ বলছে স্বৈরাচারের পতন, কেউ বলছে দ্বিতীয় স্বাধীনতা।

এসব নিয়ে আমার মতো নাগরিকের পৃথক কোনও ভাষ্য নেই। আদতে আমার চোখে-মুখে অসুখের চিহ্ন ছাড়া কিছুই নেই। কী হয়েছে আমার স্পষ্টই জানিয়েছেন ডাক্তার। আজ এসেছি পরবর্তী চিকিৎসার দিন-তারিখ জানতে। আমি একা আসি বলে ডাক্তার মাঝেমধ্যে ইতস্তত বোধ করেন। এমনই হওয়ার কথা। চিকিৎসক তো আর আজরাইল না, কারও মৃত্যুর খবর আগেভাগে জানিয়ে দিয়ে স্বস্তিবোধ করবেন বা দ্বিধাহীনভাবে জান কবজ হওয়ার অপেক্ষা করবেন। রোগী নিশ্চিত মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে জেনেও চিকিৎসক জীবনের গান শোনাবেন। আমার ডাক্তারও তাই করেন। তিনি বলেছেন, প্রথম কেমোটা দেওয়া হলে আমার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বাড়বে।

সম্ভাবনা শূন্য ধরে রেখে আপাতত আমি শরীরের কষ্ট কমার অপেক্ষায় আছি। গাদা গাদা ওষুধ, বিস্বাদ ধরনের ট্যালট্যালা খাবার খাচ্ছি। তেমন কোনও লাভ হচ্ছে না। শরীরের সব ব্যথা আর মনোযোগ এখন আমার গলায় এসে কেন্দ্রীভূত হয়েছে। অনেক দিন হলো, প্রায় বছর দেড়, আমি স্বাভাবিক খাবার খেতে পারি না। গলায় ধরে। প্রথম দিকে ডাক্তাররা কেউ ধরতে পারেননি কী হয়েছে। এই জানুয়ারিতে আমার বর্তমান ডাক্তার কী সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানালেন, খাদ্যনালিতে ক্যানসার ছড়িয়ে পড়েছে। আমার স্ত্রী আলপনাকে জানানো হয়েছে খবরটা কিন্তু সে শারীরিক, মানসিকভাবে এত ভঙ্গুর অবস্থায় আছে যে আমার সঙ্গে হাসপাতাল পর্যন্ত আসতে পারেনি। আলপনা নিজেও অসুস্থ। তিন মাস আগে অপরিণত ভ্রƒণের মৃত্যুর পর সে আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারছে না। এ নিয়ে তিনবার আলপনার স্বপ্নভঙ্গ হলো। বলা যায় রাজধানীর পরিজনহীন গন্ডিতে আমাদের সাংসারিক সুখ-দুঃখের হিসাব শুনতে গেলে যে কোনও মানুষই দীর্ঘশ্বাস ফেলবেন।

আমি দীর্ঘশ্বাস চেপে ডাক্তারের ডাকের অপেক্ষা করি। একসময় অপেক্ষা ফুরায়। চেকআপ শেষে কেমো দেওয়ার দিন, তারিখ ঠিক করে বাসায় ফেরার জন্য রাস্তায় নামি। গত দশ বছর ধরে মধ্য বাড্ডার নয় নম্বর রোডের একটা পুরোনো বাড়ির তৃতীয় তলায় দুই কামরার বাসায় আমি ও আমার স্ত্রী ভাড়া থাকি। বাড়িওয়ালা বিদেশে থাকে, তার ভাইয়ের ছেলেই ভাড়া তোলে, বাড়ির খোঁজখবর রাখে। এই শহরে আমাদের খোঁজখবর নেওয়ার মতো কোনও ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজন নেই। তাই কাউকে ফোন করে জানানোরও প্রয়োজন পড়ছে না যে, সামনের মাসের পনেরো তারিখে আমাকে ক্লিনিকে ভর্তি হতে হবে, ক্লিনিকের কেবিনের চার্জ, আনুষঙ্গিক খরচ বাদ দিয়ে কেমোর জন্য পঁচিশ হাজার টাকাও লাগবে। এই টাকা আমার কাছে অনেক টাকা।

টাকার সন্ধানে বা জীবিকার উদ্দেশ্যে বের হওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা এখন নেই আমার। আমি একটা জুতার দোকানে কাজ করতাম, মাসে পাঁচ হাজার টাকা পেতাম। গত ছয় আগস্ট দোকানটা লুট হয়ে যায়। এরপর থেকে আমি ঘরেই বসে আছি। সঞ্চিত অর্থ, আলপনার স্বর্ণালংকার ফুরিয়ে ফেলেছি। আলপনা দশ-বারোটা বাচ্চাকে আরবি পড়ায়, ওরা বাসায় এসেই পড়ে যায়, যৎসামান্য হাদিয়া দেয়। বাসার ভাড়া বাকি পড়লেও এই দিয়েই দুজনের ডাল-ভাতের ব্যবস্থা হচ্ছিল। আলপনা অসুস্থতাজনিত কারণে এক মাস ধরে বাচ্চাদের পড়াতে পারছে না। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত কেমো দেওয়ার খরচ জোগাড় করতে পারিনি। কারও কাছ থেকে টাকাটা ধার নেব এমন কোনও স্বজনও নেই রাজধানীতে। যদিও আজ ডাক্তারের চেম্বারে ঢোকার আগে আমার আগের দোকানের মালিকের সঙ্গে দেখা করে তিন হাজার টাকা ধার নিয়ে এসেছি। সে নিজেও বেকায়দায় আছে তবু ভালোমানুষ হওয়ায় আমাকে শূন্য হাতে ফেরায়নি। প্যান্টের পকেটে মানিব্যাগেই আছে টাকাটা।

রাস্তায় কোনও সুবিধাজনক বাহন নেই। সিএনজিতে গেলে অতিরিক্ত টাকা লাগবে। খানিকটা হেঁটে গিয়ে কোনও লেগুনা পাই কিনা দেখব। এর ভেতরে কোনও ছিনতাইকারী ধরে ফেললে কী করব জানি না। ভাবনাটা মাথায় আসতেই মুহূর্তকাল বিলম্ব হয় না, চারটা ছেলে আমাকে ঘিরে ধরে। ওদের দুজনের হাতে দুটো লম্বা চওড়া ছোরা, এটাই চাপাতি। বাজার করার সময় মাংসের দোকানে কসাইয়ের হাতে অমন অস্ত্র দেখেছি। অন্য দুজনের হাতে নেলকাটারের আকৃতির দুটো চাকু। ওরা আমাকে ‘সুলতানা বিবিয়ানা/সাহেব বাবুর বৈঠকখানা’ খেলার মতো শিকল দিয়ে বেঁধে ফেলেছে। আমাদের পাশ দিয়ে গাড়ি যাচ্ছে, মানুষ যাচ্ছে। কিন্তু আমরা অদৃশ্য হয়ে আছি, কেউ আমাদের দেখতে পাচ্ছে না। ছেলেগুলো অস্ত্র ব্যবহার করার আগেই পকেট থেকে মোবাইল আর মানিব্যাগটা বের করে রাস্তায় রাখি, বলি, ‘আর কিছু নেই আমার কাছে।’ ওরা কাজ সেরে পলকে উধাও হয়ে যায়।

ওরা চলে গেলেও আমার গলা চিরে শব্দ বের হয় না। হা করলে খানিকটা রক্ত বেরিয়ে আসতে পারে হয়তো। এলোমেলো পা ফেলতে ফেলতে ভারসাম্য হারিয়ে সামনে স্থির হয়ে থাকা একটা সিএনজির ওপরে আছড়ে পড়ি। হঠাৎ হৈ হৈ করে ওঠে মানুষ, ‘ধর ধর…ছিনতাইকারী ছিনতাইকারী।’ অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে দেখি অসংখ্য মানুষ ছুটে এসে আমাকে ঘিরে ধরছে। একেকজনের আগ্রহ, উল্লাস দেখে যারপরনাই ধন্দে পড়ে যাই। ‘আমি ছিনতাইকারী না’ বলতে মুখ খোলার আগেই টের পাই ওরা আমাকে মারছে। আমার পিঠে, মাথায়, বুকে সপাটে চড়, ঘুষি, কিল পড়ছে। মনে পড়ে যায়, ক্লাস সিক্সে পড়াকালীন পাশের বাড়ির বরই গাছ থেকে না বলে বরই পেড়েছিলাম বলে ঐ বাড়ির কর্তা বাবার কাছে বিচার দিয়েছিল। বাবা অফিস থেকে ফিরে হাতপাখা দিয়ে আমার পিঠে দমাদম বাড়ি মারতে মারতে বলেছিল, ‘আর কোনওদিন কারও জিনিস না বলে নিবি ? চুরি করবি আর ? চুরি করবি ? বল…বল…’ আমি ‘না’ ‘না’ বলতে বলতে গোঙাচ্ছিলাম। বাবার মার খেয়ে ভয়ে আতংকে সেদিন আমার শরীরে জ্বর এসে গিয়েছিল।

এরাও আমাকে বাবার মতো নির্দয় হাতে মারছে। আমি গোঙাচ্ছি। আমাকে শুনছে না কেউ, থামছে না কেউ। কয়েকজন এর মধ্যে দেড় হাত লম্বা লাঠিও সংগ্রহ করে ফেলেছে। পরিপাটি পোশাক পরা একজন মানুষ চিৎকার করছে, ‘কুত্তার বাচ্চাটারে মাইরা ফেল। আর কোনওদিন যেন ছিনতাই করতে বাইর না হইতে পারে। ওর পা দুইটা কাইটা নে। হাত দুইটা কাইটা নে।’

রাজধানীর রাত সাজানো রাজকীয় পিঙ্গল আলোর নিচে আমি কুত্তার বাচ্চার মতো কুই কুই করতে করতে দেখি দূরে দাঁড়ানো কিছু মানুষের হাতে চৌকো মোবাইল ঝলকাচ্ছে। ঐ তো আরেকটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হচ্ছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, উত্তেজিত জনতার মধ্য থেকে দড়ি হাতে দুজন এগিয়ে আসছে। তাদেরকে সসম্মানে পথ ছেড়ে দিচ্ছে অন্যরা। কয়েকজন ‘এইভাবে ধরেন এইভাবে বাঁধেন’ বলতে বলতে পায়ে দড়ি বেঁধে আমাকে ওপরে তুলছে। সাদা শার্ট পরিহিত লম্বামতো এক যুবক ফুটওভার ব্রিজের লোহার পিলারের সঙ্গে আমার শরীরটা উলটো করে বাঁধছে। উলটো হয়ে ঝুলে থাকা আমি নির্ভার দৃষ্টিতে দেখছি আমার হাত থেকে ছুটে যাওয়া টিয়া রঙের ফাইলের ভেতর থেকে কামরুজ্জামানের নামে লেখা প্রেসক্রিপশনগুলো বেরিয়ে এসে হাওয়ায় উড়তে উড়তে কী করে তাকে তার আসন্ন মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়ে দিচ্ছে।

সচিত্রকরণ : ধ্রুব এষ 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button