
ধুলোয় ঢাকা, রক্তমাখা একটি পাহাড়ি পথ, যেখানে প্রতিটি পা ফেলে এগিয়ে চলে ক্লান্ত মানুষের কাফেলা, তারা হাঁটছে কোনও অদৃশ্য নিয়তির নিষ্ঠুর দুয়ারে। গাজার সীমান্তঘেঁষা সেই ছোট্ট গ্রামটি আজ যেন এক নীরব মৃত্যুপুরী। কোনও শব্দ নেই তবু নিস্তব্ধতায় বাজে অনন্ত বিস্ফোরণের প্রতিধ্বনি।
আকাশ ঝুঁকে আছে কান্নাভেজা মাটির দিকে। ক্ষুধার খরস্রোত, পিপাসার মরুভূমি আর আশার প্রহর গুনে বসে থাকা চোখগুলোর আর্তনাদে ভরে উঠেছে দিগন্ত। বাতাসে মিশে আছে পোড়া মাটির গন্ধ আর কাঁচা রক্তের দহন।
প্রাচীন কোনও শোকগাথার মতো, প্রতিটি বৃক্ষ নুয়ে আছে বিষণ্নতায়, প্রতিটি দেয়াল বয়ে বেড়ায় কোনও না বলা বিদায়ের দাগ। এখানে যুদ্ধ নেই কিন্তু প্রতিটি নিঃশ্বাসে লুকিয়ে আছে এক নীরব সংগ্রাম, বাঁচার, ভালোবাসার, কিংবা শুধুই কারও হাত ধরে দাঁড়িয়ে থাকার।
আমি তখন রেড ক্রিসেন্টের দূত হয়ে গাজায় পা রেখেছি। মানবতার ক্ষতবিক্ষত ভূমিতে আশার ছোট্ট বীজ নিয়ে। যুদ্ধবিরতির কটা দিন ছিল নিঃশ্বাসের অবকাশ।
যখন ভাতের বদলে বালির স্বাদ, ঘুমের বদলে বোমার স্মৃতি আর হৃদয়ের গভীরে অসীম শূন্যতা তখন জীবন এক অনন্ত অপেক্ষার নাম।
খোলা আকাশের নিচে রুক্ষ, ধূলিমাখা প্রান্তরে ছিল আমার তাঁবু। পায়ের নিচে ফাটা মাটি, ওপরে নক্ষত্রহীন রাত। চারদিকে ক্ষুধার্ত চোখ, ফাটা ঠোঁট, করুণ আর বিধ্বস্ত মুখাবয়ব। একেকটা নীরব আর্তনাদে শিশুদের চোখে ভেসে উঠত খাবারের প্রার্থনা, জলের প্রতীক্ষা।
দিনরাত ছুটে বেড়াতাম, কখনও খাবার পৌঁছে দিচ্ছি, কখনও শিশুদের মাথায় হাত বুলিয়ে বলছি, ‘ভয় পেয়ো না’। যদিও জানতাম, ভয়টিই ওদের শ্বাস-প্রশ্বাস। সকলের কাছে আমি পরিচিত ছিলাম বাংলা ইনসান। আমার শস্য নামটা ওখানে ঢাকা পড়ে গেল বাংলা ইনসানের কাছে।
হঠাৎ একদিন চোখে পড়ল অন্তহীন মুখের ভিড়ে ক্ষুধার্ত, বিধ্বস্ত, শোকবিহ্বল আট বছর বয়সী শিশুটিকে।
ওর চোখে ছিল না কোনও শিশু, ছিল এক যুগযুগান্তের নিঃশব্দ শোক, এক অলঙ্ঘ্য সাহস। যেন শতাব্দীর বিস্ময়, সহনশীলতা আর আত্মসংবরণ এক স্রোতে এসে ঠাঁই নিয়েছে ওর দুই চোখের গহ্বরে।
প্রতিদিন দুপুরের দিকে, সূর্য যখন ধুলোয় চিরকালীন অস্তগামী রক্তের মতো ছড়িয়ে পড়ত, তখন শিশুটি এসে দাঁড়াত আমার তাঁবুর সামনে। কিছু বলত না। কোনও অনুরোধ, অভিযোগ বা কান্না নয়, শুধু তাকিয়ে থাকত নিঃশব্দে।
সে চাহনিতে ছিল শুধুই এক অন্তর্জাগতিক প্রশ্ন, ছিল এক আঘ্রাণ হাওয়া, যেন আমার আত্মায় হাত রেখে জিজ্ঞেস করছিল, ‘তুমি কি সত্যিই বুঝতে পারো আমাদের যন্ত্রণা ?’
ওর চোখ দুটো ছিল কুয়াশার পর্দা ভেদ করে জেগে ওঠা এক প্রাচীন ভাঙাচোরা সূর্য। যার আলো নরম কিন্তু সেই নরমতাই ধ্বংসের ভিতরেও বেঁচে থাকার শপথ নিয়ে আসে।
মনে হলো যুদ্ধভূমির বুক থেকে উঠে আসা এক নীরব প্রতীক, এক অবিনশ্বর আত্মার প্রতিফলন, সে জানে কীভাবে ভালোবাসতে হয় এমন এক পৃথিবীকে, যে তাকে কাঁদতে শেখায়।
ওর গায়ের রঙ ছিল ধুলোমাখা ধূসর আলোর মতো, যেন বালির উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শেষ বিকেলের এক অনাথ রশ্মি। চুলগুলো এলোমেলো, বাতাসও জানত না কেমন করে ছোঁবে এমন ভগ্নতা। মুখে ক্ষুধার তৃষ্ণা, ঠোঁটে চিৎকার না করা কান্নার রেখা।
ও যেন এক জীবন্ত উপাখ্যান, যুদ্ধ আর ভালোবাসার মাঝখানে আটকে থাকা এক শূন্য সময়ের সন্তান। একদিন সাহস করে ওর ছোট্ট হাতটা ধরলাম, ক্ষীণ, কাঁপা, ধূলিমাখা হাত। জিজ্ঞেস করলাম নিঃশব্দ সুরে, ‘তোমার নাম কী ?’
মেয়েটি ধীরে মুখ তুলল। ভাঙা কণ্ঠে এক অপার্থিব শান্তি নিয়ে বলল, ‘লয়ান’।
এই মৃত্যুপুরীতে, যেখানে প্রতিটি নিঃশ্বাস এক যুদ্ধ, যেখানে শিশুরা খেলে না, শুধু বাঁচার লড়াই করে, সেখানে এই নাম যেন ঈশ্বরের এক আকাশ থেকে ফেলে দেওয়া বিস্ময়।
আমি ওর কপালের বাঁদিকে একটা পুরোনো, দগদগে কাটা দাগ দেখে জিজ্ঞেস করলাম, ‘লয়ান, এটা কীভাবে হলো ?’
ওর চোখ সামান্য ঝিমিয়ে এল। এক মুহূর্তের নীরবতা। তারপর ক্ষীণ কণ্ঠে বলল, ‘ছোট ভাইটির জন্য রুটি আনতে গিয়েছিলাম। ভিড়ে পড়ে গিয়ে মাথায় লেগেছিল…’
লয়ানের ওই কথাগুলো কুড়ি হাজার বছরের বিষাদ নিয়ে আছড়ে পড়ল আমার ভেতরের দেয়ালে।
কিছু বলিনি তখন। কেবল নিজের কম্পিত হাত তুলে নিয়ে ওর ক্ষতটা ড্রেসিং করলাম, ব্যান্ডেজ বাঁধলাম যত্ন করে। সেই মুহূর্তে, ওর শুকিয়ে যাওয়া ঠোঁটে ফুটে উঠল এক টুকরো হাসি।
একটা শিশুর হাসি যা যুদ্ধ ভুলিয়ে দিতে পারে, যা পৃথিবীর সবচেয়ে করুণ দিনে আশার ফুল ফোটায়। আর লয়ানের চোখে আমি প্রথম দেখলাম একরাশ নির্ভরতা, ভরসা, আমার প্রতি।
আমি যেন এক ক্ষণিক আশ্রয় এই বিধ্বস্ত পৃথিবীর বুকে।
‘তুমি আমার আবুই হবে ?’
লয়ানের কণ্ঠে ছিল কান্নায় গলে যাওয়া এক টুকরো অনুরোধ। ক্ষীণ কিন্তু সেই কণ্ঠে জড়িয়ে ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত শৈশবের প্রার্থনা।
আবুই বাবার মতো বন্ধু। যে বুকের মাঝে যুদ্ধের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে এসে আশ্রয় নেয় ছোট্ট এক হৃদয়। আমি লয়ানকে বুকের ভিতর টেনে নিলাম। ধুলোমাখা কাঁধ, ক্ষীণ শরীর অথচ এক অলৌকিক উষ্ণতায় ভরা।
বললাম, ‘হ্যাঁ।’
কিন্তু সে ‘হ্যাঁ’ শুধু একটা শব্দ ছিল না। সেটা ছিল এক প্রতিজ্ঞা, এক প্রতিরোধ, এক শান্ত আশ্বাস যা হয়তো ওর ভিতরে একটা নতুন পৃথিবীর স্বপ্ন জাগিয়ে দিল।
প্রতিদিন লয়ান হেঁটে আসত, ধূলিঝড়, বুলডোজার, বুলেটের ভয় ভুলে এক টুকরো রুটি আর কয়েক চুমুক পানির আশায় মাইলের পর মাইল। পায়ে জুতো নেই, কাঁধে ব্যথার ভার, তবু সে হাসত। আর সেই রুটি ? নিজে না খেয়ে অর্ধেক তুলে রাখত ছোট ভাইটির জন্য।
একদিন ওর কাঁধে হাত রেখে জিজ্ঞেস করলাম, ‘তুমি এতটা শান্ত কীভাবে ?’
লয়ান মৃদু হেসে বলল, ‘আবুই, একদিন আমি ক্ষমা করে দেব এই পৃথিবীটাকে।’
আমি চুপ করে তাকিয়ে থাকি।
লয়ানের সেই হাসিতে ছিল সূর্যাস্তের মতো এক মায়াবী আলো, নরম, ধীর আর কোনও এক অন্তহীন শোকের প্রতিচ্ছবি। যেন সে হাসির গভীরে লুকিয়ে আছে বিস্মৃত কবর, হারানো মা-বাবা আর সেইসব রাত। যেখানে মানুষ শোকে নিঃশব্দ হয়ে যেত। লয়ানের সেই হাসি আমাকে শিখিয়ে দিয়েছিল ক্ষমা এক বিপ্লব। ভালোবাসা এক যুদ্ধ। আর একজন শিশু কখনও কখনও হয় এই দুইয়ের মাঝখানের একমাত্র আলো।
একদিন বিকেলের শেষ আলোয় লয়ান বলল, ‘চলো, আবুই… আমার বাড়ি চলো।’
সেই আহ্বানে ছিল না কোনও অতিথির আমন্ত্রণ, ছিল এক শিশুর কান্নাহীন আকুতি, এক নীরব ভাঙনের সাক্ষ্য দিতে চাওয়ার অনুরোধ। আমি লয়ানের ছোট্ট শুকনো হাতটা ধরলাম। সেই হাত যেখানে যুদ্ধের রেখা আঁকা ছিল খেলনার বদলে।
হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছালাম এক উপত্যকার কিনারায়। যেখানে ‘বাড়ি’ মানে ছিল কিছু ছেঁড়া ত্রিপল, কিছু ধুলোয় ঢাকা শ্বাস, আর একটুকরো বেঁচে থাকার অবিরাম চেষ্টা। ভাঙা মাটির ওপর পাতা ছিল একটি পুরোনো চাদর, রঙ প্রায় মুছে গেছে, স্মৃতির মতো। সেই চাদরের ওপর পাশাপাশি শুয়ে থাকত ওর বাবা, ভাই আর লয়ান। জীবনের চেয়েও নরম সেই জায়গায়, মৃত্যু ছিল এক চিরবাসিন্দা।
দেয়ালের সাথে খুপরি করে আটকানো ছিল একটুকরো মলিন ফুলের ছবি। হয়তো ওর মার রেখে যাওয়া একমাত্র স্মৃতিচিহ্ন, যা আজও প্রতিদিন ঝড়ে উড়ে যাওয়ার আগে থেমে থাকে এক পলক, একটা শেষ আশ্রয়ের মতো।
লয়ান চুপচাপ চোখের ইশারায় দেখিয়ে বলল, ‘আমার ছোট ভাইটা গতরাতে কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়েছিল… আজ আর ওঠেনি।’
ওর গলায় কোনও কাঁপুনি ছিল না, শুধু শব্দের মাঝে একটা ধ্বংসস্তূপ ঝরে পড়ছিল। কিছু কথা কান্না হয়ে ওঠে না শুধু ছায়ার মতো পাশে দাঁড়িয়ে থাকে। চাদরের এক প্রান্তে শুয়ে ছিল ওর বাবা। কঙ্কালসার শরীর, নিঃশেষিত যন্ত্রণা নিয়ে।
লয়ান যখন হাতে তুলে দিল একটুকরো রুটি, ধীরে চোখ খুলল লয়ানের বাবা। আর সেই চোখে আমি দেখলাম, এক অনাবিষ্কৃত শূন্যতা। যেখানে না ছিল প্রশ্ন, না ছিল উত্তর। শুধু ছিল এক দগ্ধ সময়ের নির্লজ্জ নীরবতা। আমি শব্দহীন হয়ে বসে রইলাম। ভাষা তখন মরে গেছে আমার মধ্যে, শুধু নিঃশ্বাসগুলো কাঁপছিল জানলার পর্দার মতো, যেখানে হাওয়া নেই, শুধু স্মৃতি বয়ে যায়।
তারপর… যুদ্ধ আবার শুরু হলো। আকাশ ফের আগুনে লাল হয়ে উঠল, বাতাসে ছড়িয়ে পড়ল বারুদের গন্ধ। ধ্বংসের আতঙ্ক, গুলির পর গুলি আর সেই চেনা চিৎকার।
যখন শিশুরা কাঁদে তখন ঈশ্বরও কানে হাত দিয়ে বসে পড়েন। গাজার সীমান্ত ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আর আমার সময় ফুরিয়ে আসে। চোখে লয়ানের মুখ, বুকের ভেতর ভাঙা ঘড়ির কাঁটার মতো কাঁপতে থাকে সময়।
ফেরার আগের সন্ধ্যায় ওর ছোট্ট হাতটা নিজের হাতে নিলাম।
বললাম, ‘চলো লয়ান, বাংলাদেশে চলো। তোমাকে স্কুলে ভর্তি করাব। খাওয়াব, খেলাধুলা করবে। আর কখনও ক্ষুধা পাবে না, ভয় পাবে না…।’
লয়ান কিছুক্ষণ চুপ করে রইল। তারপর সেই অদ্ভুত শান্ত চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বলল, ‘আমি স্বার্থপর নই, আবুই। বাবা-মাকে ফেলে কীভাবে যাব ? এই ভূমি আমার… এখানেই আমার শেকড়।’
লয়ানের কণ্ঠে কান্না ছিল না। সেই কথায় এক বিশাল বিসর্জনের ধ্বনি বাজছিল।
লয়ানই যেন হয়ে উঠল স্বদেশের প্রতিচ্ছবি, ক্ষুধার মাঝেও অবিচল, ধ্বংসের মাঝেও গর্বিত। আমি ওকে জড়িয়ে ধরলাম শেষবারের মতো। জীবনের সবচেয়ে ভারী আলিঙ্গন। ওর ছোট পিঠে আমার আঙুল কেঁপে কেঁপে নাম লেখাল এক আশীর্বাদের ছায়ার । লয়ানকে একটা কাগজে আমার ঠিকানা লিখে দিলাম।
বললাম, ‘যদি কখনও ইচ্ছে হয়…, যদি তুমি মুক্ত হও… চিঠি লিখো। একদিন না একদিন হয়তো আবার দেখা হবে।’ লয়ান কিছু বলল না। শুধু আমার হাতটা শক্ত করে ধরে রাখল। সেই নীরব স্পর্শেই রয়ে গেল সব কথা, সব কান্না, সব ভালোবাসা। এক অনন্ত বন্ধনের প্রতীক হয়ে। তারপর ধুলো উঠল। বাস চলে গেল।
আর লয়ান দাঁড়িয়ে রইল একটা ছোট্ট, অটল পাথরের মতো, যে হারায় না, শুধু পাহারা দেয় ইতিহাসকে।
বাংলাদেশে ফিরে এসে জীবন আবার আগের মতো ছুটে চলল। ফাইলের পাহাড়, রিপোর্ট, সভা কিন্তু তার মাঝেও হঠাৎ হঠাৎ লয়ানের মুখটা ভেসে উঠত কুয়াশার মতো। চোখদুটো ছিল প্রশ্নে ভরা আর চিবুক যেখানে এক লড়াইয়ের ছায়া। ভাবতাম, লয়ান বেঁচে আছে তো ? খেতে পায় ? হাসে কোনওদিন ? না কি হারিয়ে গেছে কোনও ধ্বংসস্তূপে যেখানে নামও থাকে না, থাকে শুধু সংখ্যা ?
তিন মাস পর, এক ভোরবেলায় ডাকবাক্সে পেলাম এক খাম। চিঠি, কাঁপা হাতে লেখা। জীবনের শেষ কালি দিয়ে লিখেছে কেউ। খুলে পড়তে লাগলাম, চোখ ঝাপসা হয়ে আসে ঠিক যেখানে লেখা আবুই, আমি চলে যাচ্ছি। জানি না, তুমি চিঠিটা পাবে কিনা। দিন তিনেক পানি নেই, খাবারও ফুরিয়েছে। মা তো আগেই চলে গেছে, আজ বাবা-ও চলে গেলেন। এখন আমি এক বাঙ্কারে থাকি। আলো নেই, জানালার পাশে কোনও রোদ আসে না, শুধু দেয়ালের গায়ে শ্বাস ফেলে নীরবতা।
তুমি বলেছিলে, বাংলাদেশে যেতে। পারিনি, আবুই। এই মাটি আমার, এই ধুলোয় আমার মায়ের গন্ধ, এই ছায়ায় আমার শৈশব আঁকা। তবু আজ আমি চলে যাচ্ছি, এক এমন জায়গায়, যেখানে ক্ষুধা নেই, ভয় নেই আর গোলাগুলির শব্দ নেই।
যদি কোনওদিন তোমার দেশের আকাশে, এক টুকরো মেঘ ভেসে আসে, জেনে নিও, আমি সেই মেঘ। ভালোবাসি, আবুই। কিন্তু ভালোবাসা দিয়ে তো ক্ষুধা মেটে না, তাই না ?
তোমার লয়ান।
সচিত্রকরণ : ধ্রুব এষ



