
যুদ্ধপ্রস্তুতি
তোমার শহরে সরাসরি যাই না
আগে আশপাশ ঘুরি
রেকি করি
আনারসক্ষেত-লেবুবাগান
এইসব রসাল জঙ্গল ঘুরে
তরতাজা গেরিলা হয়ে
তোমার শহরে ঢুকি;
তোমাকে জয়ের
যুদ্ধে নেমে দেখি
আমি নিজেই এখন এক
নেহায়েত ফল,
তোমার ছুরিতে
ফালি ফালি পরাজিত হয়ে
তোমার শহরের সরল শরীরে ঢুকে
পরবর্তী জটিল যুদ্ধের ঘাঁটি গাড়ছি;
টকমধু মনে, কৌশলী রসে।

হু হু
তবু কেউ সকাল সকাল
চলে গেলে হায়
আমার
গোধূলি গরিব হয়ে যায়!

যে কোনও রবিবারে
ভালোই ছিল ০১টা সাধারণ সন্ধ্যা
অতর্কিত প্রেমে ছারখার হলে
তাকে নাকি অসাধারণ বলে
মেরে ফেলে দৃশ্যের সরল
অথচ চেয়েছিলাম
ক্ষুধার্ত চোখে চাখি রঙিন রেসিপি
দুনিয়ায় কত কত কেকা ফেরদৌসী!
কিছু চলে গেলে
ফের যদি ফিরে আসে
০১টা সাধারণ সন্ধ্যা,
আসো, হায় হে চলে যাওয়া
আড়তে পচা তারার দুর্গন্ধে
তুমিই আমার প্রিয় ডার্ক ফ্যান্টাসি।

সরগম
ঝরে যাব
পলকা ও হালকা,
তোমাকে দেখতে হবে
লিটারেলি
হলুদ পাতার পাহাড়;
যতই খোঁজ করো
মেলানকলি
এ জগৎ সরল শয়তানি;
বর্ষা-বসন্ত যা হোক
চোখের আবহাওয়া রেইনি,
সব খেলা শেষ হলে,
উইপিং ইনিংস শুরু হয়।

অরূপকথা
সব গতকালই রূপকথা হয়ে যায়
কত কত বিবাহে মোড়া রূপকথার মাঠে
পড়ে থাকে ঘড়িদের লাশ
সময়ের কাঁটায় অসময়ে গজায় ঘাস
তোমাকেও কি সেখানেই দেখলাম!
গ্রামোফোনের ভিতর থেকে
এই অখণ্ডমণ্ডলে
ছিটিয়ে দিচ্ছ ভাঙা ভাঙা গান
গানের মতো গান হলে
খুন হয়ে যায় কান
রক্তভাসা রূপকথার মাঠ
মানুষের রক্ত লালে সীমাবদ্ধ
কিন্তু ০১টা দুনিয়া
অজস্র কালারের কারখানা
আমাদের ছেড়ে আসা সব গতকাল
সুন্দর অপসৃয়মান,
রঙিন রূপকথার মাঠ।
মলিন-রঙিন
আমার হাসি
আমার শোকসভার রং
——————-
সচিত্রকরণ : রজত