আর্কাইভগল্প

গল্প : পাণ্ডিত্যপূর্ণ : ধ্রুব এষ

টাউনের সবচেয়ে ভালো মানুষ কে?

পণ্ডিত জরিপ করে দেখেছে।

টাউনের সবচেয়ে ভালোমানুষ মান্না বাবু।

টাউনের সবচেয়ে খারাপ মানুষ কে?

পণ্ডিত জরিপ করে দেখেছে।

টাউনের সবচেয়ে খারাপ মানুষ তুষার বাবু।

অনলাইপ জরিপ। ফেসবুকে অনুষ্ঠিত হয়েছে। টাউনের ছয়শ আটচল্লিশ জন ফেসবুকার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। ৪৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে মান্না বাবু। ৪৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে তুষার বাবু। সাড়ে চার শতাংশ ভোট পেয়েছে মাকু বাবু। খারাপের কোটায়। আড়াই শতাংশ ভোট পেয়েছে ফরিদ মিয়া। ভালোর কোটায়।

অত্যন্ত নিরাশাব্যাঞ্জক ফলাফল।

ঢাকা থেকে কল দিয়েছিল পণ্ডিতকে, ‘তোরে কেউ ভোট দিয়া খারাপ বলে নাই?’

‘আমারে খারাপ বলবে? কী বলিস? আমি খারাপ?’

‘খারাপ মানে চূড়ান্ত খারাপ। পণ্ডিত! শিয়াল পণ্ডিত না বগা পণ্ডিতরে তুই? আরে! তুষারের মতো সচ্চরিত্র সজ্জন কয়টা মানুষ আছেরে টাউনে? জরিপ করে তার মতো একটা সরলসিধা মানুষরে খারাপ মানুষ ঘোষণা করে দিলেই হইলো? তোর জরিপ অনুসারে মান্না কী, ভালো! মান্না! ভালো আর মান্না এই দুটা শব্দ কখনও একসাথে যায়, না বসে? মান্নার পরে তুই ভালো বসাতে পারবি? ভালোর পরে মান্না বসাতে পারবি?’

দুর্মুখ আরও কয়েকজন এভাবে ওরাল আক্রমণ করেছে পণ্ডিতকে। পণ্ডিত জরিপের ফলাফল পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা এতদিন অনুভব করে নাই। ফেসবুকার হিসাবে ভারচুয়াল সমাজে একটা অবস্থান তার আছে। চ্যাংগা ব্যাংগার কথা শুনে কোনও সিদ্ধান্ত সে নিতে পারে না।

চ্যাংগা কী করে?

ঢাকায় থাকে।

ঢাকায় কী করে?

হ য ব র ল।

ব্যাংগা কী করে?

টাউনে থাকে।

টাউনে কী করে?

হ য ব র ল।

পণ্ডিতের বউ পণ্ডিতনি ফেসবুকে নাই। থাকলে জরিপে অংশ নিত। টাউনের সেরা ভালো মানুষের ভোটটা দিত হাসননগরের ‘ডন’ মুস্তফা ভাইকে। পণ্ডিতের বন্ধুদের মধ্যে দুইটা মানুষকে খুবই পছন্দ পণ্ডিতনির। হাসননগরের ‘ডন’ মুস্তফা ভাই ও ষোলঘরের ‘সাধু’ লিখনদা।Ñটাউনের সেরা খারাপ মানুষের ভোটটা কে জানে, পতি পরম গুরু বিবেচনা করে হয়তো পণ্ডিতকেই দিত পণ্ডিতনি।

ষোলঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পণ্ডিত। শহর প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা পণ্ডিতনি। পণ্ডিত আর এক বছর পর রিটায়ার করবে। পণ্ডিতনির চাকরি আরও ছয় বছর আছে। তাদের এক মেয়ে, এক ছেলে। মেয়ে এইচএসসি পরীক্ষা দেবে। ছেলে এ বছর এইটে উঠেছে।Ñলেট ম্যারেজ।

পান বিড়ি সিগারেটের নেশা নাই পণ্ডিতের। চায়ের নেশা নাই। পণ্ডিতনির অবস্থা তথৈবচ। চাপাতা, চিনি তাদের লাগে না। তবে পণ্ডিত স্বপ্ন দেখেছে গার্লস স্কুল রোডের ‘হেঁশেল’ রেস্তোরাঁয় বসে পণ্ডিতনি কফি পান করছে এবং মার্লবোরো লাইট সিগারেট টানছে। স্বপ্ন দেখে পরবর্তী দুই রাত এক ফোঁটা ঘুম ধরে নাই পণ্ডিতের। কফি এক মগ নব্বই টাকা রাখে ‘হেঁশেলে’, মার্লবোরো সিগারেট বিশ টাকা শলা। স্বপ্ন হলেও একশ দশ টাকা অপচয়। মেনে নেওয়া যায় না। পণ্ডিতনিও শুনে বিচলিত হয়েছিল, ‘এইরকম স্বপ্ন দেখো কেন তুমি?’

‘আমি না হয় স্বপ্ন দেখে ফেলছি, তাই বলে ‘হেঁশেলে’র কফি খাবা তুমি? মার্লবোরো লাইট সিগারেট টানবা? ময়না-দুলালের দোকানের চা খেতে পারতা, পাঁচ টাকা কাপ। আমি দেখো মার্লবোরো লাইটের কথায় কিন্তু যাইতেছি না। মার্লবোরো লাইট শলা বিশ টাকা, লাকি স্ট্রাইক শলা আট টাকা। এখন তোমার বিবেচনা।’

পণ্ডিত হেঁটে তার স্কুলে যায়। পণ্ডিতনি হেঁটে তার স্কুলে যায়। পণ্ডিতের বয়স পঞ্চাশ পার হয়ে গেছে আরও আট বছর আগে। পণ্ডিতনির পঞ্চাশ হবে এই বর্ষায়। এই বয়সে স্বাস্থ্যগত সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। যত হাঁটা যায় তত ভালো। টাউনের একটা মানুষের এই নিয়ে মাথাব্যাথা নাই। ব্যাংগা প্রকাশ ক্রিমিন্যাল নওশাদ মসরু। এ কবি। পণ্ডিতদা বলে ডাকে পণ্ডিতকে। ঢাকায় ফোন করে এই ব্যাংগা চ্যাংগার সঙ্গে দরবার করেছে, ‘দাদা আপনেরা কোন বয়েস থেকে রিকশায় চড়েন মনে করতে পারেন?’

‘এই তো নাইন টেন থেকে হবে মসরু।’

‘জি দাদা। আমরা তখন পড়ি ফাইভ সিক্সে। আপনে, মাকুদা, ফরিদ ভাই, শামীম ভাই, মান্না দা, তুষার দা, মুস্তফা ভাইরে রেগুলার দেখছি রিকশায় চড়তে। দেখি নাই একটা মাত্র মানুষরে। পণ্ডিতদা। সেই সময় দেখি নাই, কোনওদিন দেখি নাই, কসম। একুনে একটা হিসাব আমরা করছি। আপনেরা যখন নাইন টেনে এক টাকা দুই টাকা রিকশা ভাড়া ছিল টাউনে।’

‘আট আনা ছিল, মসরু।’

‘হইল। আট আনা। হিসাব করেন এখন। চল্লিশ বেয়াল্লিশ বছর রিকশা না চড়ে কত লাভ হইছে তবে পণ্ডিতদার? আপনাদের স্কুল লাইফে আট আনা ছিল, টাউনে সর্বনিম্ন রিকশাভাড়া এখন দশ টাকা। বিগত চল্লিশ বেয়াল্লিশ বছর রিকশা না চড়ে পণ্ডিতদা তাইলে সতেরো আঠারো লাখ টাকা ব্যাংকে জমা করছে দাদা। চিন্তা করতে পারেন?’

ঢাকাবাসী চ্যাংগা গল্পকার আবার। গল্প লিখে পত্রপত্রিকায় ছাপায়। মাগনা নিশ্চয়। তদ্বির করে নিশ্চয়। টাউনের ব্যাংগার কথা শুনে করল কী সে, ‘বগা পণ্ডিতের রিকশা যাত্রা’ নামে গল্প লিখে ছাপিয়ে দিল পত্রিকায়। কিছু হলো? পণ্ডিত যদি কবিতা বানাতে পারত!

চ্যাংগারে চ্যাংগা

তুই মানুষ না ছ্যাংগা!

তারা ‘ছ্যাংগা’ বলে বিছাকে।

ব্যাংগা চ্যাংগা ছাড়াও প্রচুর দুষ্কৃত আছে টাউনে। ফরিদ মিয়া, মাকু বাবু, তুষার বাবু, শামীম মিয়া। ফরিদ মিয়া ব্যাংগাকে বলেছে, চোখে প্রায় দেখে না পণ্ডিত, কটা টাকা খরচ হয়ে যাবে বলে চোখের ডাক্তারের কাছে যায় না। চ্যাংগা সেই কথাও লিখে দিয়েছে গল্পে। এই একটার মাথায় কোনও ঠিক নাই। তুই বেটা লেখক, যে যা বলে তুই লিখে দিবি? এখন আমি যদি তোকে ফোন করে বলি, ‘ড্যাগার’ নাসের প্রেগন্যান্ট, জমজ বিয়োবে, তুই সে কথা লিখে দিবি? ক্রসচেক করে দেখবি না? আরে! পণ্ডিত কি চোখ দেখায় নাই একবার? স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প বসেছিল। ঢাকা থেকে ডাক্তাররা এসে চোখ পরীক্ষা করে দিয়ে গেছে। প্লাস মাইনাস দুটোই সমস্যা পণ্ডিতের। চশমা নিতে হবে।Ñসত্য যে চশমা পণ্ডিত এখনও নেয় নাই। লেন্সের দাম হাজার বারশ টাকা, ফ্রেমের দাম আটশ টাকার মতো, পণ্ডিত শুনেছে ঢাকায় দেড় দুইশ টাকায় ফ্রেম পাওয়া যায়, চ্যাংগা বললে চ্যাংগা পাঠাবে না। কথা বলে আবার। এছাড়া চোখে কি কম দেখে পণ্ডিত? স্কুলে তার রুম থেকে মাঠঘাট দেখা যায়। সবুজ আর সবুজ। যতদূর পারে দেখে। সবাই জানে গাছের সবুজ চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারি। চশমা কিনবে না পণ্ডিত কখনও বলে নাই।

মুশকিল হলো জরিপে কাজ হয় নাই।

মান্না বাবু চ্যাংগাকে বলেছে, পণ্ডিত কাঁচাবাজারে যায় সন্ধ্যায়। বাসি শাক, পাকা কাচকলা, বুড়া পটল সস্তায় কিনে নিয়ে আসে। পচাধচা গুড়া-গাড়া মাছ সস্তায় কিনে নিয়ে আসে। ড্যাগার নাসেরের মাছের ব্যবসা। কাঁচাবাজারে দোকান আছে। ড্যাগার নাসের সেই দোকানের কর্মচারীদের বলে রেখেছে, সন্ধ্যা পর্যন্ত দেখে পচা মাছ ভাগাড়ে ফেলতে। সন্ধ্যার মধ্যে পণ্ডিত যদি দুইদশ টাকার মাছ কিনে নিয়ে যায় লাভ।Ñমান্না বাবু, তুষার বাবুদের টাকা আছে, তারা রুই মাছ, চিতল মাছ খায়। মাসে একবার পাঁঠার মাংস খায়। খা। পণ্ডিত এ নিয়ে কিছু কখনও বলেছে?

সন্ধ্যায় কাঁচাবাজারে যায় কেন পণ্ডিত? স্কুল থেকে ফিরে চারটায়। হাত মুখ ধুয়ে দুটা ভাত খায়। ভাতঘুম দেয়। দেড় দুই ঘণ্টা ঘুমায় নিপাটে। উঠে যখন সন্ধ্যা হয়ে যায়। তাহলে? তাদের কথামতো ভাতঘুম না দিয়ে কাঁচা বাজারে যেতে হবে নাকি? বাসি শাক, পাকা কাঁচকলা, বুড়া পটলের কথা বলেছে মান্না বাবু, পণ্ডিতনি সাক্ষাৎ অন্নপূর্ণা, কী দিয়ে কী ব্যাঞ্জন রাঁধতে পারে মান্না বাবুর কোনও ধারণাই নাই। গুড়াগাড়া মাছ ব্রেইন শার্প রাখে মান্না বাবুর এই ধারণাও নাই।

চ্যাংগা তখন কল দিয়েছিল পণ্ডিতকে। মান্না বাবুর বয়ান শুনে সে একটা গল্প লিখে ফেলেছেÑ ‘কাঁচাবাজারে বগা পণ্ডিত।’ গল্প ছাপা হলে জানাবে। জানালে কী? পত্রিকা কিনে তার গল্প পড়বে পণ্ডিত? দৈনিক পত্রিকার দাম বারো টাকা এখন। মান্না বাবু অবশ্য চ্যাংগার যাবতীয় গল্প ফেসবুকে শেয়ার দেয়। এই গল্পও নিশ্চয় দেবে। অনেকে পড়বে। মান্না বাবুর প্রাইভেট ছাত্রছাত্রী প্রচুর। তারা পড়বে।Ñমর্মাহত পণ্ডিত এতদিনে জরিপ পুনর্বিবেচনার কথা ভাবল। তার ঘরে এখন শুয়ে আছে সে। পণ্ডিতনি সন্ধ্যাবাতি ও উলুধ্বনি দিয়েছে। ছেলে মেয়ে পড়তে বসে গেছে। পণ্ডিতের মাথায় সন্ধ্যাবাতি ঢুকল। তেল ছাড়া সন্ধ্যাবাতি দেওয়া যায় না? আগের দিনের মানুষ কী এক গাছের কষ দিয়ে সন্ধ্যাবাতি জ্বালাত। কী গাছ গুগলে খুঁজে দেখতে হবে।

পণ্ডিতের ফোন বাজল। তুষার বাবু। ওয়েক আপ কল। হাঁটতে বের হবে এখন তারা তিনজন। তুষার বাবু, মান্না বাবু ও পণ্ডিত। রোজ এই সময় তারা হাঁটে। চ্যাংগা বলে, তিন মাস্কেটিয়ার। কেন বলে? পণ্ডিত কল ধরে অত্যন্ত নিষ্প্রভ গলায় বলল, ‘হ্যাঁ।’

তুষার বাবু বলল, ‘বের হও, ভাই।’

‘বের হবো?’

‘আরে! মান্না বাবু কল দিসে দুইবার।’

এই রে! মান্না বাবুর ভাতিজার ঘরের নাতির জন্মদিন আজ। মান্না বাবু বলে রেখেছিল কাল। মনেই নাই। ভাতিজার ঘরের হোক, নাতির জন্মদিন। গেলে কিছু একটা গিফট দিতে তো হবেই। না হলে টাকা। হাজার খানেক। কিন্তু পণ্ডিত ঘরে টাকা রাখে না। এত টাকা ঘরে নাই তার। পঞ্চাশ-ষাট টাকা মতো আছে ড্রয়ারে। পণ্ডিতনির হ্যান্ড ব্যাগে বিশ চল্লিশ টাকা থাকতে পারে। ভালো কোনও গিফট ওতে হবে না। কীভাবে তাহলে? পণ্ডিত বলল, আমি তো বাসায় নাই। পূর্ব বারুংকায়।’

‘পূর্ব বারুংকায় মানে? কখন গেলি তুই?’

‘এই তো বিকালে। ফিরতে রাত হবে।’

‘তা তো বুঝলাম। কিন্তু এইটা কী করলি তুই?’

‘আরে! ঝামেলা হয়ে গেছে হঠাৎ।’

‘নয়টার মধ্যে ফিরে আসতে পারবি না?’

‘নয়টা! সালিশ এখনও শুরুই হয় নাই?’

‘সালিশ! কীসের? তোরে কি তারা হাতে নাতে ধরছে?’

তুষার বাবু কল কেটে দিল।

পণ্ডিত ফোন অফ করে দিল।

পণ্ডিতনি বলল, ‘কী সালিশের কথা বললা গো?’

পণ্ডিত বলল, ‘আর বলো কেন? তুষার বাবুরে নিয়া সালিশ।’

‘তুষারদারে নিয়া? কেন? আবার কী করছেগো তুষারদা?’

‘আর কী, যা করে বারবার ধরা খায়।’

‘এই বয়সে! ছি! লাভলী বৌদির অশান্তির শেষ নাই আর। ঠাকুর! ঠাকুর!’

ধর্মে কর্মে ইদানীং বেশ মতি দেখা যাচ্ছে পণ্ডিতনির। কথায় কথায় ‘ঠাকুর! ঠাকুর!’ করে। শংকিত হলো পণ্ডিত। কোনদিন আবার কোন গুরুর দীক্ষা নিয়ে বসে পণ্ডিতনি। গুরুসেবার খরচপাতি ম্যালা, সেটা মাথায় আছে তো মহিলার?

‘তুমি কি দীক্ষা নিবা নাকি?’ পণ্ডিত বলল।

‘আরে না! দীক্ষা নিব কেন? আমার ঠাকুররে আমি নিজের মতো ডাকি। গুরু ধরে ঠাকুর ডাকতে হবে নাকি? গুরু ধরতে এখন টাকা লাগে জানো? গুরু দক্ষিণা দিতে হয়, গুরু সেবা দিতে হয়। খরচান্ত ব্যাপার।’

আনন্দে আপ্লুত হলো পণ্ডিত। কাপলস আর মেইড ইন হ্যাভেন। আর একটু রাত যদি হতো। শরীরের বাঁধুনি এখনও অটুট পণ্ডিতনির।

মান্না বাবুর বাসা বেশি দূরে না। রাত দশটায় মান্না বাবু নাতির জন্মদিনের কেক ও খাবারের প্যাকেট পাঠাল। গার্লস স্কুলের পিয়ন প্রমোদ দিয়ে গেল।

কেকটা অতি চমৎকার হয়েছে।

পলান্ন অতি চমৎকার হয়েছে।

রুই মাছ ভাজা অতি চমৎকার হয়েছে।

পাঁঠার ঝোল অতি চমৎকার হয়েছে।

দই অতি চমৎকার হয়েছে।

পণ্ডিত অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ক্ষমা করে দিল মান্না বাবুকে। দ্বিতীয়বার জরিপের চিন্তা স্থগিত করল।

মান্না বাবু, তুষার বাবু এদিকে যৌথ প্রযোজনায় জরিপ দিয়েছে ফেসবুকে। তাদের জরিপের বয়ান এরকম :

সুরি ভদ্রর আগে

উলা মোক্তার

সুরি ভদ্রর পরে

কে টাউনের?

কে? কে? কে?

সুরি ভদ্র ও উলা মোক্তারÑকিংবদন্তিতুল্য দুই কৃপণ টাউনের।

এরা গত হয়েছেন বহুকাল।

বর্তমান সুরি ভদ্র কে টাউনের?

বা বর্তমান উলা মোক্তার?

পণ্ডিত কি এই জরিপে তার নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করতে যাবে?

পাবলিক কী বলে আগে দেখা যাক।

সচিত্রকরণ : রজত

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button