আর্কাইভভাষা গবেষণা

ভাষা-গবেষণা ধারাবাহিক : শব্দবিন্দু আনন্দসিন্ধু : মানবর্দ্ধন পাল

ষোলোতম পর্ব

[প্রাচীন ভারতীয় আলঙ্কারিকরা শব্দকে ‘ব্রহ্ম’ জ্ঞান করেছেন―শব্দ যেন ঈশ্বরতুল্য। পাশ্চাত্যের মালার্মেসহ নন্দনতাত্ত্বিক কাব্য-সমালোচকদেরও বিশ্বাস, শব্দই কবিতা। শব্দের মাহাত্ম্য বহুবর্ণিল ও বহুমাত্রিক। বাংলা ভাষার বৃহদায়তন অভিধানগুলোর পাতায় দৃষ্টি দিলেই তা প্রতিভাত হয়। আগুনের যেমন আছে অসংখ্য গুণ, তেমনই ভাষার প্রায় প্রতিটি শব্দেরও আছে অজস্র অর্থের সম্ভার। কালস্রোতে ও জীবনের প্রয়োজনে জীবন্ত ভাষায় আসে নতুন শব্দ, তা বিবর্তিতও হয়। পুরনো শব্দ অচল মুদ্রার মতো ব্যবহার-অযোগ্য হয়ে মণি-কাঞ্চনরূপে ঠাঁই নেয় অভিধানের সিন্দুকে।

বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডার সমুদ্রসম―মধুসূদনের ভাষায় : ‘ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন’। বৈঠকি মেজাজে, সরস আড্ডার ভঙ্গিতে লেখা এই ‘শব্দবিন্দু আনন্দসিন্ধু’। ব্যক্তিক ও নৈর্ব্যক্তিক―সবকিছু মিলিয়ে শব্দের ভেতর ও বাইরের সৌন্দর্য-সৌগন্ধ এবং অন্তর্গত আনন্দধারার ছিটেফোঁটা ভাষিক রূপ এই ‘শব্দবিন্দু আনন্দসিন্ধু’ ধারাবাহিক।]

ভদ্র

ভদ্র মোরা, শান্ত বড়ো,

পোষ-মানা এ প্রাণ

বোতাম-আঁটা জামার নীচে

শান্তিতে শয়ান।

দেখা হলেই মিষ্ট অতি

মুখের ভাব শিষ্ট অতি,

অলস দেহ ক্লিষ্টগতি―

গৃহের প্রতি টান।

            ―দুরন্ত আশা, রবীন্দ্রনাথ

এই কাব্যমঞ্জরিতে রবীন্দ্রনাথ অল্পকথায় ‘ভদ্র’ শব্দের চমৎকার বর্ণনা দিয়েছেন। ভদ্ররা আচরণে খুব শান্ত, ব্যবহারে শিষ্ট, কথায় মিষ্টভাষী, ধীরস্থির ভাবাপন্ন এবং তাদের থাকে ঘরের প্রতি প্রবল টান। এক কথায় ঘরমুখো স্বভাবের তারা। আর ভদ্ররা সর্বদা পোষ-মানা স্বভাবের হয়―কোনও কিছুতেই তারা দ্বিমত করে না, প্রতিবাদ করে না, বিদ্রোহ করে না। বিনা ভিন্নমতে ভদ্ররা সবকিছু মেনে নেয়। নজরুলের কবিতার পঙ্ক্তির মতো তারা সগর্বে বলে না : ‘থাকব নাকো বদ্ধ ঘরে, দেখব এবার জগৎটাকে / কেমন করে ঘুরছে মানুষ যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে।’ বোঝা গেল, ভদ্ররা বহির্মুখী ব্যক্তিত্বের নয়, অন্তর্মুখী স্বভাবের।

‘ভদ্র’ বিশেষণ পদ-এর বিশেষ্য ‘ভদ্রতা’। এই বিশেষণটি কেবল উন্নত প্রাণি মানুষের জন্যই প্রযুক্ত হয়। কোনও ইতর প্রাণি বা পশুপাখির প্রতি প্রয়োগযোগ্য নয়। কোনও পশুপাখি ‘শান্ত’ হতে পারে, ‘নিরীহ’ হতে পারে কিন্তু কোনওমতেই তারা ‘ভদ্র  বা সভ্য’ বিশেষণের যোগ্য নয়। ‘ভদ্র’ শব্দটির বুৎপত্তি সন্ধান করতে গিয়ে আমরা পাই এটি কৃদন্ত বা কৃৎ প্রত্যয়জাত পদ। ‘ভন্দ্’ (কল্যাণ) ধাতুর সঙ্গে ‘র’ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে (ভন্দ্ + র) ‘ভদ্র’ শব্দের উৎপত্তি। এটি তৎসম বা সংস্কৃত। ভদ্রের স্ত্রীলিঙ্গ ‘ভদ্রা’ এবং একবচন ও সম্বোধনে ‘ভদ্রে’।

সংস্কৃত ‘ভদ্র’ শব্দটি বহুরৈখিক, বহুমাত্রিক এবং বিচিত্রবিধ এর রং-রূপ, অর্থ-অর্থান্তর। এর আছে পৌরাণিকতা, আছে ঐতিহাসিকতা এবং আধুনিকতাও। বিভিন্ন বৃহদায়তন অভিধানের আশ্রয় নিলে ভদ্রের অর্থবৈচিত্র্য ও ব্যাপকতার ঐশ্বর্যে আমাদের চোখ ধাঁধিয়ে যায় এবং মন চমৎকৃত হয়। ‘ভদ্র’ রংধনুর মতো কেবল সাতরঙা শব্দ নয়, তাতে শতরঙের বর্ণালি বিদ্যমান। অভিধানকার নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ির পুরাণকোষ-এর চতুর্থ খণ্ডে ‘ভদ্র’ শব্দটির এগারোটি ভুক্তি আছে। তা সংক্ষেপে ও সহজ ভাষায় নিম্নরূপ :

১) কশ্যপ প্রজাপতির ঔরসে দক্ষকন্যা দনুর গর্ভজাত অন্যতম দানবের নাম ভদ্র। (ব্রহ্মাণ্ড পুরাণ)।

২) যজ্ঞ দেবতার ঔরসে রুচি প্রজাপতির কন্যা দক্ষিণার গর্ভজাত বারোজন পুত্রের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ভদ্র। (ভাগবত পুরাণ)।

৩) যদু বৃষ্ণিবংশীয় বসুদেবের ঔরসে পৌরবী রোহিণীর গর্ভজাত অন্যতম পুত্র ভদ্র। (ভাগবত পুরাণ)

৪) যদু বৃষ্ণিবংশীয় বসুদেবের ঔরসে দেবকীর গর্ভজাত পুত্রদের অন্যতম। কংশ দেবকীর এই পুত্রকেও হত্যা করেছিলেন। (ভাগবত পুরাণ)।

৫) ভাগবত পুরাণমতে, কৃষ্ণের ঔরসে কালিন্দীর গর্ভজাত অন্যতম পুত্র ভদ্র। মৎস্য পুরাণে কৃষ্ণের পুত্র ভদ্রকে রু´িণীর গর্ভজাত বলা হয়েছে। বায়ু ও ব্রহ্মাণ্ড পুরাণে ভদ্র জাম্ববতীর পুত্র বলে বর্ণিত। (ভাগবত, মৎস্য, বায়ু ও ব্রহ্মাণ্ড পুরাণ)।

৬) তৃতীয় মন্বন্তরে উত্তম মনু যখন মন্বন্তরের অধিপতি ছিলেন তখন দেবতারা যেসব গণে বিভক্ত ছিলেন তার মধ্যে ভদ্র অন্যতম একটি গণ। (ভাগবত পুরাণ)।

৭) ভারতবর্ষের উত্তরে অবস্থিত একটি জনপদ বা জনজাতির নাম ভদ্র। (ব্রহ্মাণ্ড পুরাণ)।

৮) পুলহ প্রজাপতির ঔরসে ক্রোধবশার কন্যা শ্বেতার গর্ভজাত একটি হাতির নাম ভদ্র। তাকে বরুণ দেবতার বাহন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। (বায়ু ও ব্রহ্মাণ্ড পুরাণ)।

৯) অযোধ্যায় রামচন্দ্রের রাজসভার অন্যতম সভাসদ ভদ্র। তিনি রাবণ কর্তৃক সীতাহরণের পর সীতার চারিত্রিক কলঙ্কের কথা রাজসভায় বর্ণনা করে সীতাকে পরিত্যাগের পরামর্শ দিয়েছিলেন। (রামায়ণ)।

১০) অন্ধকেশের নিকটবর্তী এক নগরের রাজা। তিনি শিবের কাছ থেকে একটি পতাকা পেয়েছিলেন। (শিব পুরাণ)।

১১) শুঙ্গবংশীয় রাজাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি বসুমিত্রের পুত্র। (ব্রহ্মাণ্ড পুরাণ)।

ভারতবর্ষের পৌরাণিক দৃষ্টিতে ‘ভদ্র’ শব্দটির এই হলো সংক্ষিপ্ত পরিচয়। শব্দটি মূলত বিশেষণ হলেও সেখানে তা নামপদ বা বিশেষ্য হিসেবেই ব্যবহৃত।

দুই

এখন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের যথাশব্দ ও অশোক মুখোপাধ্যায়ের সমার্থশব্দকোষ থেকে ভদ্রের প্রতিশব্দ বা সমার্থ শব্দগুলোর সন্ধান নেওয়া যাক। তা এরকম : বিনয়ী, নম্র, বিনম্র, বিনীতচিত্ত, শান্ত, শিষ্ট, সুবিনীত, সংযত, সনম্র, কোমল, সুজন, অমায়িক, নিরহংকার, অনহংকার, বিনীত,  নিরভিমান, অগর্বী, অনহংকৃত, অনহংকারী, অগর্বিত, গর্বহীন, গর্বশূন্য, নির্মৎসর, মৃদুস্বভাব, কোমলস্বভাব, ঠান্ডামেজাজ, বিনয়াবনত, বিনীতচিত্ত, বিনয়নম্র, বিনমিত, বিনয়ান্বিত, বিনত, আনত, সন্নত, বিনয়হৃদয়, বিনয়াত্মা, অনুদ্ধত, বিনয়শীল, নমনীয়, সুকুমারমতি ইত্যাদি। এসব শব্দের ভাবানুষঙ্গে ‘ভদ্র’ সম্পর্কে বিস্তৃত ধারণা লাভ করা যায়। তবে এখানেই শেষ নয়। বাংলা ভাষার বৃহদায়তন অভিধানগুলোতে ভদ্রের আরও বহুমাত্রিক অর্থ-ঐশ্বর্যের সন্ধান পাওয়া যায়।

জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাসের অভিধান থেকে সংগৃহীত অর্থমালঞ্চের প্রথমে আছে বৈদিক নিরুক্তে প্রদত্ত অর্থ : ১) গৃহ, প্রজা, পশু, বিত্ত, শিব, কাঞ্চন, করিজাতিবিশেষ ইত্যাদি। ২) বলরাম, বলভদ্র। ৩) রামানুচর। ৪) দিগ্ গজ। ৫) খঞ্জন পাখি। ৬) কৃষ্ণের লীলাকানন, বৃন্দাবনের ভদ্রবন। ৭) বৃষভ, ষাঁড়। ৮) ভদ্র সন্তান, সাধু। ৯) সৌভাগ্য। ১০) শুভ, মঙ্গল। ১১) ক্ষৌর। ১২) জাতীয় পদবি। ১৩) দেউল। ১৪) সাধু। ১৫) হিতকর, মঙ্গলদায়ক। ১৬) প্রধান, শ্রেষ্ঠ। ১৭) শিষ্ট, সভ্য, মার্জিত রুচিবিশিষ্ট, সম্ভ্রান্ত। তাছাড়া জানা যায়, আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে ‘ভদ্র’ শব্দের ভিন্নতর এগারোটি অর্থ আছে। সেগুলো হলো : সুবর্ণ, লৌহ, নীলপদ্ম, চন্দন, কদম্ব, স্নুহীগাছ, মুস্তক, নাগরমুখা, ইন্দ্রধব, দেবদারু, সরল দেবদারু।

এসব ছাড়াও হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বঙ্গীয় শব্দকোষ অভিধানে ‘ভদ্র’ শব্দের আলাদা কয়েকটি অর্থ পাওয়া যায়, যা অন্য অভিধানে নেই। সেগুলো হলো : ১) কুশল, নিপুণ। ২) প্রশস্ত। ৩) প্রিয়, মিত্রভাবাপন্ন। ৪) মনোজ্ঞ, কান্ত, সুরূপবান। ৫) কল্যাণাচারে যার পাপ প্রচ্ছন্ন অর্থাৎ যে গোপনে পাপ করে ও বাইরে সদাচারে তা প্রচ্ছন্ন রেখে পরধন গ্রহণ করে, তেমন ব্যক্তি। তবে প্রাকৃত বা লৌকিক বাংলায় ভদ্র (ভদ্দর) শব্দের অর্থ―শিষ্ট, সভ্য, মার্জিত রুচিবিশিষ্ট ও সম্ভ্রান্ত। এই অর্থেই শব্দটি বর্তমানে বহুল প্রচলিত।

বাংলা ভাষার সেরা অভিধানকারদের মধ্যে একালে অন্যতম মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ও অশোক মুখোপাধ্যায় এবং সেকালে হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস। এই নমস্য চতুষ্টয় বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডার বহুলাংশে সংরক্ষণ করেছেন। জানা-অজানা-অল্পজানা লক্ষাধিক শব্দের বহুমাত্রিক অর্থ, বুৎপত্তি এবং ব্যাকরণগত প্রকারান্তর তাঁরা বর্ণনা করেছন। তাতে আছে অনেক মৃতপ্রায়, মুমূর্ষু ও একাল-অচল শব্দ। কোমায় চলে-যাওয়া সেসব শব্দ সমৃদ্ধ বাংলা ভাষার রূপৈশ্বর্যই সপ্রমাণ করে। সমকাল-সচল আটপৌরে  শব্দ আমাদের প্রতিদিনের প্রয়োজন মেটায় কিন্তু মৃতপ্রায় সমকাল-অচল শব্দ জাতির ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক। তাই ‘ভদ্র’ শব্দটির অধিকাংশ অর্থ একালে অচল হলেও হিরের বহুরৈখিক জ্যোতির মতো বাংলা ভাষার বহুমাত্রিক ভাবপ্রকাশের ধারক।

কিন্তু কাল-অচল সকল শব্দ সর্বদা অভিধানের পাতায় বন্দি থাকে না। খ্যাতিমান লেখকদের জাদুকরী কলমের গুণে অভিধানের আইসিইউতে থাকা অনেক মুমূর্ষু শব্দ তারুণ্যদীপ্ত ও সজীব হয়ে ওঠে। তা লক্ষ করা যায় আবদুল মান্নান সৈয়দ ও হায়াৎ মামুদের প্রবন্ধের ভাষায়। তাঁরা তেমন অনেক শব্দ ব্যবহার করে কাল-সচল করার চেষ্টা করেছেন। তাঁদের লেখায় এমন কয়েকটি নবরূপায়িত শব-শব্দের উদাহরণ : অপিচ (আরো, অধিকন্তু), তত্রাচ (তবু), সংক্রাম (গমন করা, পর্যটন), জনিতা (যা জন্মানো হয়েছে, উৎপাদিত), চবুতরা (চত্বর, দালান), চংক্রম (বারংবার গমন, পায়চারি), সংকাশ (দীপ্তিপ্রাপ্ত), বৈহাসিক (হাসায় যে, ভাঁড়, সঙ), সীবন (সেলাই, সূচিকর্ম), নির্মোক (সাপের খোলস, আকাশ, মুক্তি) ইত্যাদি।

তিন

এবার মধ্য ও আধুনিক যুগের খ্যাতিমান কবি-লেখকদের রচনা থেকে বহুমাত্রিক অর্থে ‘ভদ্র’ শব্দ প্রয়োগের কয়েকটি  প্রয়োগ :

ভদ্র কর, ছাড় এই মলিন বসন। (ক্ষৌরকর্ম অর্থে, চৈতন্য চরিতামৃত)।

ভদ্রকুলে জন্ম লই ভদ্র নই নিজে। (সম্ভ্রান্ত বংশ অর্থে, ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত)।

…শ্রীযুত রামমোহন রায় ভদ্রবোধ করিতেছেন। (স্বস্তি অর্থে, সমাচার দর্পণ পত্রিকা)।

আমরাও কহি যে এই বিবেচনা ভদ্র বটে। (উত্তম অর্থে, ঐ)।

তুমি বড় ভদ্র। (সভ্য অর্থে, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর)।

ভালোবাসে ভদ্রসভায় ভদ্র পোশাক পরতে অঙ্গে। (রুচিশীল অর্থে, রবীন্দ্রনাথ)।

একটি খাসা ভদ্দরনুক। (শিষ্ট ব্যক্তি অর্থে, কাজী নজরুল ইসলাম)।

আদিকাল থেকে ‘ভদ্র’ শব্দের অর্থের ব্যাপ্তি, বিস্তার ও বৈচিত্র্যময়তার দিকে তাকালে একালে আমাদের বিস্ময়ের অন্ত থাকে না। অর্থের এমন প্রয়োগ-বৈচিত্র্য আধুনিককালে না-থাকলেও তা নিশ্চয়ই ভাষার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অঙ্গীভূত হয়ে আছে। ভদ্রের নির্বিরোধ রূপ যেমন আছে তেমনই এর দ্বান্দ্বিক রূপও আছে। তা আছে বলেই ভদ্র থাকার অবমাননা আছে, আবার অতি ভদ্রতার বিরূপতাও আছে, নইলে ‘লোকটি ভদ্রবেশী শয়তান’―এই বাক্যবন্ধ বাংলা ভাষায় সুপ্রচলিত হতো না।

[চলবে]

সচিত্রকরণ : ধ্রুব এষ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button