

এই সময়ে এরকম একটা উপন্যাস লেখা হয়েছে, তাও আবার বাস্তব অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে আমি আবু বকর না পড়লে আমার হয়তো অজানাই থেকে যেত। বিশেষ করে গ্রন্থটির প্রকাশকালকে স্মরণ করে বিস্মিত হয়েছি, জানুয়ারি ২০২৪-এ প্রকাশিত হয়েছে এ বইটি। এবং এ পর্যন্ত ১১তম মুদ্রণ হয়েছে। এটা থেকেই বোঝা যায় যে, বইটির পাঠক চাহিদার ব্যাপকতা।
প্রথম পুরুষে লেখা এই উপন্যাসটি পড়তে পড়তে আলবেয়ার কামুর দি আউটসাইডারের কথা মনে পড়েছে। ‘মাসরো’ আউটসাইডারের কেন্দ্রীয় চরিত্র। উত্তম পুরুষের জবানিতে লেখা এই উপন্যাসে লেখক মাসরোর মাধ্যমে চারপাশের জগৎ এবং তার গতিময়তা দেখিয়েছেন। মাসরোর আশপাশের প্রতিটি দৃশ্যের খুঁটিনাটি বর্ণনা বইটিকে বুঝতে আরও সহজ করেছে। মাসরো একটি নির্লিপ্ত, উদাসীন চরিত্র যে কি না ভান করতে জানে না। সমাজে টিকে থাকতে এই ভান করতে না পারাই তার জীবনের কাল হয়ে দাঁড়ায়। উপন্যাসের শুরু হয় মাসরোর মায়ের মৃত্যুর খবরের মধ্য দিয়ে। শুরুর লাইন কটি ছিল এমন―‘মা আজ মারা গেছেন, হয়তো গতকালই; ঠিক ধরতে পারছি না।’
একজন ঘোরগ্রস্ত মানুষ, বিনাদোষে যাকে অপরাধী হতে হয়। এই পৃথিবী হলো এমন একটা জায়গা, যেখানে মানুষ অকারণে অপরাধী হয়, মার খায়। আমি আবু বকর উপন্যাসে আবু বকর চরিত্রটিও আশপাশের সমস্ত কিছুই পর্যবেক্ষণ করে। শেষমেশ সকল ভাণভনিতা থেকে মুক্ত হয়ে স্বরূপে প্রকাশিত হয়। লেখক আসিফ নজরুল এ কথাটা জোর দিয়েই বলেছেন, মারো নইলে মরো, এটাই ছাত্ররাজনীতির মূলকথা। শুধু ছাত্র রাজনীতি নয়, হয়তো এটা এখন সমস্ত পৃথিবীর কথা, মারো নইলে মরো, মাঝামাঝি আর কোনও পথ নেই।
আমি আবু বকর উপন্যাসটি পড়তে গিয়ে মনে পড়েছে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর চাঁদের অমাবস্যার কথা। যুবক শিক্ষক আরেফ আলির কথা।
মানবচরিত্র রহস্যময়। নিজের অস্তিত্বরক্ষায় সে সদা তৎপর, অতিমাত্রায় সচেতন। যুবক শিক্ষক আরেফ আলির চরিত্রে আমরা তার প্রতিফলন দেখি। নিজের অস্তিত্বকে হুমকির মধ্যে না ফেলায় সে যেন নিজের সঙ্গেই নিজে অন্তর্দ্বন্দ্বে ব্যাপৃত হয়। তার ভেতরে তৈরি হওয়া এই মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব ও আলোড়নই মূলত এই উপন্যাসকে প্রাণ দিয়েছে, দিয়েছে দারুণ এক গতিময়তা। শেষ পর্যন্ত এই অস্তিত্ব সংকট, মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব ও পরাবাস্তব ঘোর উপন্যাসটিকে আলাদা একটা জায়গায় নিয়ে যায়।
লেখক আসিফ নজরুলের আবু বকর আরেফ আলির মতোই অবসেশনের ভেতর দিয়ে নিজে দেখে বা পাঠককে দেখান। এবং নিজের অস্তিত্বকে হুমকির মধ্যে না ফেলার জন্য কতকিছুই না সে করে! নিজের মনের বিরুদ্ধে গিয়ে কত ঘটনা-দুর্ঘটনার মাঝ দিয়েই না তাকে যেতে হয়।
আসিফ নজরুলের উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র আবু বকর স্বাধীনতাবিরোধী ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে বেদম পিটুনির শিকার হয়। নির্যাতিত হয় তারই সহপাঠী এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ক্ষত নিয়ে আবু বকর নিজের অস্তিত্ব রক্ষার্থে তাকে নির্যাতন করা ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনে যোগ দেয়। যে অন্যায় তার সঙ্গে ঘটেছিল বলে একসময় তার পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল, এমনকি জীবন হুমকির মুখে পড়েছিল সেই একই সংগঠনে আবু বকর যোগদান করে। উপর মহলের নির্দেশে নিরীহ শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করা, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি ও স্বাধীনতাবিরোধী ছাত্রসংঠনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশে দেওয়া, সরকারবিরোধী ছাত্র সংগঠনের ওপর হামলা করে নিজ দলের ওপর মহলের কাছে নিজের আনুগত্য তুলে ধরা, আয় নেই তবু বাইক নিয়ে সচ্ছল জীবনযাপন করা, পকেটে পিস্তল নিয়ে ঘুরাঘুরি করা হয়ে উঠে তার নিত্যকর্ম। এভাবে ছাত্ররাজনীতির কলুষতার কবলে পড়ে বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে, মা-বাবার প্রত্যাশা পূরণে মফস্সল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা আবু বকরের কাছে পড়ালেখা বাদে উপরে উল্লেখিত কর্মকাণ্ড মুখ্য হয়ে উঠে।
আমি আবু বকর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান গুরুতর ও ভয়াবহ অসুখের দিকে আমাদের নজর খুলে দিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম আবাসিক হলগুলোতে হলো ছাত্র নির্যাতন। উপন্যাসের কথক আবু বকর, তার বন্ধু নাহিদসহ অন্যান্যরা অস্তিত্ব রক্ষার দৌড়ে আপাত দৃষ্টিতে সফল হলেও মিনহাজ নামের একজন ছাত্রকে জীবন দিতে হয় উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে এসে। মিনহাজের ওপর করা অন্যায় অত্যচার ও পরিণতিতে তার মৃত্যু আমাদের বাস্তব জীবনের আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের কথা মনে করিয়ে দেয়। আবরার ছিল বুয়েটের ছাত্র। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলগুলো গদি রক্ষার ঢাল হিসেবে বরাবরই শিক্ষার্থীদেরকে ব্যবহার করে। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শ্রেণি বিভাজন তৈরি হয়। সাধারণ, অসাধারণ এবং বিরোধীয় দলের সমর্থক শিক্ষার্থী এই তিন শ্রেণিতে বিভক্ত হয়ে পড়ে তারা। ছাত্ররাজনীতির বর্তমান চিত্র লেখক তুলে ধরেছেন ছাত্রনেতা নাহিদের বয়ানে। নাহিদের কাছে রাজনীতি মানে হলো, ‘জীবনটাই এমন, বুঝেছ ? মার দেবে না হলে মার খাবে। এটাই পলিটিক্স।’
আমি আবু বকর চরিত্রটি আমাদের সামনে উন্মোচিত করেছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে ছাত্র রাজনীতির নামে তরুণ সমাজকে পিছিয়ে দেওয়া হয়। এবং ক্ষমতায় টিকে থাকার লোভের রাজনীতিতে কীভাবে ছাত্রসমাজকে ব্যবহার করা হয়।
যেকোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন সংকট অন্যতম সমস্যা। শিক্ষার্থীদের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকতে হয়। এতে পড়ালেখার পরিবেশ একেবারে নেই। তার উপর ছাত্ররাজনীতির আগ্রাসন। গণরুমে অবস্থানরত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক দলের আজ্ঞাবহ হতে হয়। ছাত্র নেতাদের ইচ্ছায় মিটিং, মিছিল, মারামারিতে বাধ্য করা হয়। আসন সংকট ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশহীনতার কথা লেখক খোলাখোলিভাবে পাঠকের কাছে তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে দেশের উচ্চশিক্ষার হালচাল বুঝার জন্য এই উপন্যাস পাঠ করা দরকারি বলে মনে করি।
যদিও আমরা জানি যে প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একই চিত্র। পাওয়ার পলিটিক্স করার কারণ হলো দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা। আরামে থাকা আর ফ্রি খাওয়া। খাবারের দোকানে বাকির খাতা খোলা থাকে, ওই বাকি আর পরিশোধ না করলেও চলে। টেন্ডার-চাদাবাজি করে কুইক মানি উপার্জন করা। এবং রাজনৈতিক দলগুলি শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের সন্তানদের মগজ ধোলাই করে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করে নেয়।
শুধু ছাত্র রাজনীতির অন্ধকার দিকগুলির উপরেই লেখক আলো ফেলেছেন, এমন নয়। এ উপন্যাসে আছে প্রেম বা ভালবাসার বা দৈহিক চাহিদার মতো প্রাকৃতিক ও প্রয়োজনীয় বিষয়ও। এ কারণেই হয়তো শত প্রতিকূলতার মাঝেও আবু বকর বার বার প্রেমে পড়ে। এবং অন্য সবকিছুতে ভেজালের মতো প্রেমও এখন আর একরৈখিক নয় বা লয়ালিটির প্রশ্ন যেখানে শূন্য। শুধু প্রয়োজন আর ভোগবাদিতার জোয়ারে ভেসে যাওয়া আধুনিক জীবনের প্রণয়ের বাস্তব ছবিও পাওয়া যায় এ উপন্যাসে। উপন্যাসের চরিত্র নিম্মির নানা সময়ে আবু বকরকে ব্যবহার করা এবং নির্বিকার থাকা, বা আবু বকরের বোন ফাহিমার অন্ধকার জীবন বেছে নেয়ার মাঝেও এসবই বুঝতে পারে পাঠক।
তবে এত যে রুদ্ধশ্বাস দৌড়ের মতো মানুষের জীবন, কে কাকে দলিত করে, ল্যাং মেরে নিজের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার কৌশলরত মানুষ, সেখানেও লেখক মানবিকতার জয়গান করেছেন। মিনহাজের মৃতদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় আবু বকরের চিন্তাভাবনা বড় মর্মস্পর্শী মনে হয়েছে। মৃতদেহে হাত রেখে আবু বকর বার বার ভাবতে চাইছে, এটা তো লাশ না ভাই, মিনহাজ।
এখানেও আবু বকরের স্ট্রিম অব কনশাসনেসের দেখা পাওয়া যায়।
এমনকী মৃতদেহের সমান্তরালে নিজেকে শুইয়ে রেখে আবু বকরের ভাবনা, আমি আর মিনহাজ একসময় একই সংগে থাকতাম। একই বিছানায় ঘুমাতাম। এরকম দৃশ্যকল্পের নির্মাণ আমাদের অবাক করে বৈকি।
আসিফ নজরুল তাঁর উপন্যাসে প্রকৃতিকে ব্যবহার করেছেন অত্যন্ত নিপুণভাবে।
কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন জেনেবুঝে মাপজোক করে প্রকৃতিকে মিলিয়ে দিয়েছেন তার গল্প বা উপন্যাসের চরিত্রগুলির সংগে। এ উপন্যাসে প্রকৃতি কম এসেছে কিন্তু যখন এসেছে তখন সেসব আর আরোপিত মনে হয়নি।
আমি আবু বকর উপন্যাস থেকে :
‘বৃষ্টি যেদিন থামে পুরোপুরি, হাঁটতে হাঁটতে নদীর পারে চলে আসি। ফুলেফেঁপে ওঠা নদীটাকে দেখে সদ্য সন্তানের জন্ম দেয়া মায়ের মতো পরিতৃপ্ত মনে হয়। আমাকে দেখে তার মায়া লাগে হয়তো। তার বুক থেকে আসা শীতল বাতাস এসে স্নেহের স্পর্শ বুলিয়ে দেয়। আধবোজা চোখে দেখি, রোদ পড়ে নদীটার পানিতে শত শত কাচের ঝিলিক খেলা করছে। একটু দূরে কতগুলো কলাগাছ জড়াজড়ি করে দাঁড়িয়ে আছে। তার অনেক ওপরে আকাশ জুড়ে স্বচ্ছ মেঘের খেলা।’
(পৃষ্ঠা নাম্বার ৩৯)
আরেকটি জায়গা থেকে উদ্ধৃতি দিচ্ছি। ‘আবু বকরকে যখন নিম্মি বলে, তুমি হচ্ছো রিজার্ভ প্লেয়ার। আসল প্লেয়ার বাদ পড়লে আবার তোমাকে ডাকা হবে’, ‘নিম্মির কথা ভেবেই কিনা জানি না, গলা জ্বালানো ঢেঁকুর বের হয় আমার শুকনো মুখ দিয়ে। সারাদিন না খেয়ে আছি, ঢেঁকুর কোথা থেকে এল বুঝতে পারি না। হয়তো এটা দুঃখের ঢেঁকুর, খিদের না। যদিও আমি শিওর না, দুঃখে আসলেই কোন ঢেঁকুরের জন্ম হয় কি না।’
(পৃষ্ঠা নাম্বার ১২৩)
আবু বকরের জীবন দেখতে দেখতে মিথ অব সিসিফাস মনে পড়ে।
সে যতই মুক্ত হতে চাক না কেন, যতই পরিশ্রম করুক না কেন দিবস অন্তে পাথরটা গড়িয়ে পড়বে। পড়বেই। আর সমস্ত শ্রম পণ্ডশ্রম হয়ে উঠবে। ফের পাথর ঠেলে উঠানোর জীবন। ফের পণ্ডশ্রম।
ছাত্র রাজনীতির অন্ধকারের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ এই উপন্যাস। টিকে থাকার জন্য, বাঁচার জন্য কত কীইনা করে মানুষ!
এত সব পঙ্কিলতার মাঝেও যে মানবিক বোধে তাড়িত আবু বকর, সে বোধ হয়তো লেখকের একান্ত বোধ। একজন লেখক নানাভাবে, নানারূপে বিরাজিত থাকেন তার লেখায়, সে যেমন ধর্মেও থাকে, তেমনি জিরাফেও থাকে।
উপন্যাসের শেষে যে আশার কথা বলে আবু বকর তা দেখে পাঠকও আশান্বিত হয়। আমরা আশা করি এই দেশ একদিন ছাত্র রাজনীতির কলুষমুক্ত হবে। শুধু মাত্র ক্ষমতায় থাকার লোভে কেউ যেন ছাত্রদের আর ব্যবহার না করে। দেশের রাষ্ট্র কাঠামো ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিটি ছাত্র যেন স্কুল-কলেজ থেকেই শিক্ষালাভ করে। কিন্তু প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে সে যেন যুক্ত না হয়। আমাদের সন্তানেরা যেন নির্বিঘ্নে তাদের শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারে।
এই উপন্যাসটি পড়তে পড়তে মনে হয়েছে, এই আবু বকরই হয়তো আবু সাঈদ। কিংবা মুগ্ধ। কিংবা ফারহান। কিংবা এই আবু বকর আমি নিজে। আমিই যেন সেই অভিশপ্ত সিসিফাস। কিংবা এই আবু বকর যেন আমার অতি চেনা। বহুকাল ধরেই আমি দেখছি এই আবু বকরকে মার খেতে, বিপথে যেতে। দেখেছি নিম্মি, মিথিলার কাছে প্রতারিত হতে।
কী ভয়ানক জীবনের মাঝ দিয়ে দৌড়ে চলেছে আমাদের তরুণ সমাজ।
‘হলের বাইরে বৃষ্টি নেমেছে। এই বৃষ্টিতে ঘুমপাড়ানো গান থাকে। কতদিন ঠিক মতো ঘুমাই না আমি। বাড়িতে ফিরে এবার মন ভরে ঘুমাব। ঝুম বৃষ্টিতে ঘুম ঘুম চোখে দেখব, আমার পাশে শুয়ে আছে সে। তার বুকে মুখ রেখে ঘুম দেব। এই সেøাগান, ধাওয়া, রক্তারক্তি আর মিথ্যের শহরকে ভুলে থাকব কয়েকটা দিন।
আমি জানি না এসব সত্যি হবে কি না। কিন্তু এখন এসবই ভাবি। ভেবে শান্তি পাই। একটু শান্তির জন্য কত রকম অশান্তিতে থাকতে হয় আমার মতো সস্তা জীবনের ছেলেদের!’
এটা ছিল আমি আবু বকর উপন্যাসের শেষ পৃষ্ঠা।
সুবিধাবঞ্চিত পরিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা ছেলেমেয়েদের জীবন এমন সস্তা বৈকি। এজন্যই অকাতরে ঝরে পড়ে, প্রাণও দেয় ওরাই।
ছাত্র রাজনীতির নামে ক্ষমতায় টিকে থাকার সমস্ত কুৎসিত কৌশল ও অজানা দিকগুলি পাঠকের সামনে হাজির করার জন্য আমি আবু বকর উপন্যাসের লেখক আসিফ নজরুলকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।
লেখক : কথাশিল্পী