জিলাপি ও বেতঅলা : জয়দীপ দে

বিশেষ গল্পসংখ্যা ২০২২ : বাংলাদেশের গল্প
পাহাড় থেকে নেমে আসা একটা রাস্তা সোজা চলে গেছে রেলস্টেশনের দিকে। মধ্যে আমাদের বাক্স বাক্স বাড়ি। দুপাশে রহস্যের বাদাবন। হাজারও চমক সেখানে অপেক্ষা করত আমাদের জন্য। বিচিত্র বিচিত্র মানুষ আসত দুদিক থেকে। আসত পেজিগঅলা। কালো কালো এক ধরনের গুঁড়ো কাগজে মুড়িয়ে বিক্রি করত। এক পুরিয়া দশ পয়সা। জন্মের টক। ছিল কটকটিঅলা। চিটাগুড়ের কটকটিগুলোর স্বাদ এখনও মুখে লেগে আছে। লোহালক্কড়ের বিনিময়ে কটকটি। ইগলো আইসক্রিম বিক্রি করত এক লোক। প্যাডেল মেরে এসে সুর ধরে ডাকত। এত দামের আইসক্রিম কেনার সামর্থ্য আমাদের ছিল না। সামর্থ্য ছিল আইসক্রিমঅলার রিকশা-ভ্যানের পেছন পেছন ছুটবার। সেটা করতাম পরমনিষ্ঠায়। রাতে আসত এক আচারঅলা। কাচের ভ্যানের ভেতরটা ছিল সাদা। আর তাতে জ¦লত হ্যাজাক লাইট। তার ভেতরে শোভা পেত নানা রঙের আচারের রেকাবি। লোডশেডিংয়ের রাতে ভ্যানটা মনে হতো ভিনগ্রহ থেকে আসা কোনো এক সসার। আর আসত এক বেতঅলা। লোকে বেতঅলা কেন বলত জানি না। বেতের কোনও কারবার ছিল না। সে কাঁধে করে নিয়ে আসত একটা ছোট লোহার চেয়ার। তাতে প্লাস্টিকের ফিতে দিয়ে বোনা আসন। আরেক কাঁধে বিশাল এক বোঁচকা। তাতে প্লাস্টিকের লম্বা লম্বা ফিতে। সেসবকে লোকে অবশ্য বেত বলত। হয়তো তাই সে বেতঅলা। দুই কাঁধে দুই বিশাল বোঝা নিয়ে দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে হাঁক দিত ‘মোড়া ঠিক করাইবেননি, চেয়ার সোফা…’। আমরা সানন্দে তাঁর পেছন পেছন ছুটতাম। যেন কী আনন্দযজ্ঞে যুক্ত হলাম। কারও মোড়া কিংবা চেয়ার ঠিক করার কাজ পেলে সে একটা কড়ই কিংবা শিরীষ গাছের নিচে দুই পা ছড়িয়ে বসত। এক অদ্ভুত ধরনের কোট পরত সে। কালো কোট কিন্তু হাতা নেই। আঁটানো গোল গলা। অনেক পরে এই কোটের নাম জেনেছি। সে পরম মমতায় সেই কোট ছোট চেয়ারটার পিঠে রেখে বসত মাটিতে। রাজ্যের সব গল্প করে করে প্লাস্টিকের ফিতেগুলো বুনত।
কত গল্প তার পেটে! একসময় ঢাকার রাস্তায় রাস্তায় বেতের মোড়া ঠিক করে বেড়াত। মগবাজার মোহাম্মদপুর মিরপুর মির কাদিম ধানমণ্ডি চকবাজার―এসবের গল্পই সে বলত ঘুরে ঘুরে। মোহাম্মদপুরের বিহারিরা তাকে নাকি ধরে নিয়ে গিয়েছিল একবার। জবাই করবে বলে। লম্বা একটা ছোরা বের করে তার মুখের উপর ঘোরাতে লাগে। দুজন খুব শক্তভাবে তাকে চেপে ধরে। একজন চুলের মুঠি। ভয়ে আমাদের অন্তরাত্মা শুকিয়ে আসে। কী হতে যাচ্ছে ? বেতঅলা কি তবে মারা যাবে! যদি মারাই যায়, তাহলে এখানে এল কী করে―এই সামান্য বিষয় তখন আমাদের মাথায় আসত না। বেতঅলা একটা হুংকার দিয়ে বলে ওঠে, অ্যাতনা সোজা! হামারা উর্দু শুনেই তো ও লোগ বেকুব বন গিয়া!
বেতঅলার সাফল্যে আমাদের মুখগুলো উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। কী দারুণ উর্দু বলে সে! এখন বুঝি তার আধখ্যাচড়া উর্দু- হিন্দি, উর্দু কিংবা বাংলা কোনও ভাষারই পদবাচ্য নয়। তিনটি গুলিয়ে একটা সহজিয়া বাঙালি রূপ।
তারপর চেয়ারের ওপরে রাখা সেই হাতকাটা কোটের বালি ঝেড়ে আবার কাজে মন দেয়।
আমরা দেখি তার হাতের জাদু। কী ক্ষিপ্রতায় ফোকলা দাঁতের মাড়ির মতো চেয়ার বা মোড়াগুলো ভরিয়ে দেয় নানা রঙের ফিতার নকশায়। দেখতে দেখতেই আঁকা হয়ে যায় ফুল লতা কিংবা অন্য কিছু।
আমাদের বিস্ময় দেখে সলজ্জ হাসি দিয়ে বলে, গুইন্যা গুইন্যা বয়ানো লাগে।
আমাদের দলের নেতা ছিল মামুন ভাই। আমার চেয়ে বছর তিনেকের বড়। তখন এইটে পড়ত। সে খুব সমঝদার শ্রোতা ছিল বেতঅলার। মন দিয়ে তার কথা শুনত।
নকশার হিসেব বেতঅলা কোনও দিন বলেনি অবশ্য। বলেছে আরেক গল্প।
শেখ সাহেবের বাড়ির সামনে বয়াইছে বাংকার। ইতনা লম্ফা লম্ফা নলা ভি…
শেখ সাহেব কে ? মামুন ভাই সবিস্ময়ে প্রশ্ন করে।
বঙ্গবন্ধু আরকি।
অদ্ভুত নামটা শুনে আমরা চমকে যাই। বঙ্গবন্ধু! এমন নাম কী মানুষের হতে পারে! আগে তো কখনও শুনিনি।
বাসায় ফিরে মাকে প্রশ্ন করি। মা উদ্বিগ্ন হয়ে জানতে চায়, কে বলেছে এ নাম ?
বেতঅলা।
তিনি আমাদের সবচেয়ে বড় নেতা। কিন্তু তার নাম আর তুমি কাউকে বোলো না। সমস্যা হবে। মা চাপা গলায় বলে।
কিন্তু বেতঅলার সেই ভয়-ডর নেই। সে বলে যায় তারা সিংয়ের গল্প।
দেশ স্বাধীন হইয়া গেছে। রেসকোর্স থেকে দলে দলে লোক ছুটে আসতেছে ধানমন্ডির দিকে। ১৮ নম্বর রোডের ৬১৩ নম্বর বাড়িত তখন বেগম মুজিব তার বাইচ্চা কাইচ্চা নিয়া বন্দি। তাদের উদ্ধার করতে হইব। আমিও ছুটলাম বেবাগের লগে। বাড়ির কাছে আসতেই বৃষ্টির মতন গুলি… এজিদের গুষ্টি খ্যাপছে… আমি দিলাম দৌড় ঝিগাতলার দিকে…
বেতঅলা মোড়ার গদি বুনার সঙ্গে সঙ্গে গল্পের গাঁথুনি বসায়।
… এমন সময় দেহি একটা সবুজ জিপ। ইন্ডিয়ান আর্মির এক মেজর সাব আর ডেরাইভার। বাংকার থেকে খান হালারা হাঁক মারে। গুলি মারার পোজ নেয়। মেজর সাহব হনহনাইয়া বাংকারের সামনে গিয়ে খাড়ায়।
মামুন ভাই উৎকণ্ঠিত হয়ে ওঠে, গুলি মারল না ?
অ্যাতনা সোজা!
তারপর ? আমরা অসহিষ্ণু হয়ে উঠি।
কী যেন কথা হয় অনেকক্ষণ। তারপর মেজর সাব গেল বাড়ির ভেতরে। কিছুক্ষণ পরই বাইর হইয়া আইল। সেই কী আনন্দ লোকজনের! বেবাগে তারে কান্ধে নিয়ে নাচে। তারা সিং জিন্দাবাদ কইয়া চিক্কুর পারে। এজিদের গুষ্টির সাহস হয় নাই শেখের বাড়িত গুল্লি মারার। মাইরা যাইব কই ?
এই তারা সিংয়ের গল্প বেতঅলা ঘুরেফিরে বলত বারবার। এটা ছিল তার খুব প্রিয় প্রসঙ্গ।
বেতঅলার গল্প বাসায় বললে মা ভয়ে সিঁটিয়ে যেত। বলত, এসব কথা আর কাউকে বলবে না। দেশের পরিস্থিতি খুব খারাপ।
বেতঅলার ছোট চেয়ারটায় একদিন অধিকারবোধ নিয়ে বসে পড়ে মামুন ভাই। চেয়ারটা তো খালিই পড়ে থাকে, বসতে ক্ষতি কী! সেদিন বেতঅলার কী রাগ! উন্মাদের মতো চিৎকার করতে করতে আমাদের ধাওয়া করেছিল।
বছরে সে একবার ঠোঙাভরা জিলাপি নিয়ে আসত। একটা করে জিলাপির বিনিময়ে তাকে গোল করে ঘিরে দাঁড়াতে হতো। তারপর সে হাত তুলে অবোধ্য ভাষায় প্রার্থনা করত। এতকিছু বোঝার বয়স তখনও হয়নি। আমরা শুধু অনুকরণ করে যেতাম।
এরকম একদিন জিলাপির প্যাকেট হাতে সে শুনালো তার চেয়ারের গল্প।
শেখ সাহেবকে দেখতে নাকি সে একবার তাঁর বাড়ির দুয়ারে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল। তার মতো সামান্য এক লোক প্রেসিডেন্টের বাড়ির ভেতরে যাবে কী করে ? শেখ সাহেব সকালে ঘুম থেকে উঠে ছাদে হাঁটতেন, দূর থেকে সেটাই দেখার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু কী সৌভাগ্য, বাড়ির এক লোক এসে ঢেকে নিল পুরনো চেয়ারের গদি ঠিক করাতে। বেতঅলা সেই বাড়ির গল্প খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বলত। শেখ সাহেবের ছোট ছেলে তার সামনে এসে দাঁড়িয়ে থাকত আমাদের মতো করে। শেখ সাহেব নামের সে রাজার সাধারণ জীবনযাপন শুনে আমরা বিস্মিত হই। আটটার নিউজ জুড়ে তখন ফার্স্ট লেডি আর তার সন্তানের গল্প।
ততদিনে শেখ সাহেব আমাদের কাছে জীবন্ত এক চরিত্র। তিনি লক্ষ লক্ষ মানুষের সমুদ্রের সামনে এসে হাত নাড়ান। তাতে প্রবল ঢেউ ওঠে। তাঁর কথায় সারা বাংলাদেশ চলে। তাঁর মতো বড় নেতা এদেশে আর আগে কখনও আসেনি।
শেখ সাহেবকে দেখনি ? আমাদের বড় জানতে ইচ্ছে করে।
দেখমু না কেন ? অবশ্যই দেখছি। আমার সামনে দিয়া গাড়ি নিয়া কত আসছেন গেছেন। সালাম দিছি। বাঘের থাবার মতো একটা হাত তুইল্যা সালাম নিছেন।
বেতঅলার পাশে সেই ছোট্ট চেয়ারটা শূন্য পড়ে থাকে। শিরীষ বা কড়ইগাছে পাখিরা কিচিরমিচির করে। আমরা একান্ত মনোযোগে বেতঅলার বুনন দেখি।
এজিদের গুষ্টি যা করতে পারল না, সেটাই বাঙালি জল্লাদরা কইরা ফালাইল।
আমরা সকৌতুকে তাকাই তার দিকে।
শেখ সাহেবরে মাইরা ফালাইল।
তুমি কই ছিলা ?
বিয়ানবেলা খবর পাইয়া আমি তো বিশ^াসই করি না। অ্যাতনা সোজা! ছুইট্যা গেছিলাম। ততক্ষণে শেখ সাহেবের লাশ হেলিকাপ্টারে। রাস্তাঘাটে মানুষ নাই। আমি কলাবাগান দিয়া আগাই, মিলিটারি দিল ধাওয়া। এক ধাওয়ায় আজিমপুর। খান মিলিটারিও নাই তারা সিংও নাই, শিয়ালে টানে বাঘের লাশ।
আফসোস ঝরে পড়ে বেতঅলার কণ্ঠ থেকে।
এরপর আর শান্তি নাই। হে মারে ওরে, ও মারে হেরে। আজ হে আনন্দে নাচে, কাইল সে। পালোয়ানগোরে তো কিছু করতে পারে না, পুলিশে আমার মতো বেতঅলারে বিছরায়। পলাইয়া আইলাম চট্টগেরাম।
আর পিঠে করে এই চেয়ার ?
ধরা পড়ে যাওয়ার আসামির মতো হেসে ওঠে বেতঅলা, শেখ সাহেবের বাড়ির স্মৃতি। রাসেল মিয়া নাকি এইটায় বইয়া রইদ পোহাইত। ফালাইয়া দিছিল ওরা, নিয়া আইছি।
বেতঅলার কাছ থেকেই আমাদের প্রথম রাজনীতির পাঠ।
সময় গড়ায়। একদিন রেল স্টেশনে এসে দাঁড়িয়েছে নাজিরহাটের ট্রেন। একদল লোক ট্রেন থেকে নেমে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে মুখরিত করে তোলে চারদিক। অদ্ভুত শোনাচ্ছিল স্লোগানটা। অজানা একটা শিহরণ খেলে যাচ্ছিল শরীরে। তারপর হুড়োহুড়ি। ছোটাছুটি। গুলির আওয়াজ। আমাদের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এরশাদের পতন হলো। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু হলো। কত উত্থান পতন। একদিন বেতঅলার মতো করে মামুন ভাই এক প্যাকেট জিলাপি নিয়ে হাজির হলো স্কুলের গেটে। অল্প সময়ের মধ্যে জিলাপি শেষ হয়ে যায়। মামুন ভাই অপরাধীর হাসি দিয়ে বলে, আমার কাছে তো বেশি টাকা নাই তাই বেশি কিনতে পারিনি। চাকরি পেলে তোদের সবাইকে খাওয়াব। আয় দুই হাত তুলে বঙ্গবন্ধুর জন্য মোনাজাত করি।
পরের দিন অবশ্য চাঁদাবাজির মামলা হয় মামুন ভাইয়ের নামে। তিন দিন পর অস্ত্রসহ ধরা পড়ার খবর ছাপা হয় পত্রিকায়।
বেতঅলার মধ্যে কখন ম্যাজিকের মতো হারিয়ে গেলো মনে নেই। তার কাঁধে করে নিয়ে বেড়ানো ছোট্ট চেয়ারটার কী হয়েছে তা জানা নেই। তার হাতকাটা কালো কোট, পরে যার নাম শুনেছি মুজিব কোট, সেটারই বা কী হলো―তাও।
কিন্তু অনেক বছর পর ভিন্ন একটা ঘটনায় সেই বেতঅলাকে মনে পড়ে গেল। একটা ছোটখাটো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করি। মধ্যপর্যায়ের কর্মকর্তা। এখানে শ্রমিক সংগঠন আছে। প্রচণ্ড প্রভাবশালী এরা। পাঁচ ছয়টা লোক সিবিএর পদ দখল করে আছে বছরের পর বছর। পর্দার আড়াল থেকে এরাই অফিস চালায়। চেয়ারম্যানও তাদের তোষণ করে চলে। সরকার পাল্টালে ওরা দল পাল্টায়। তাই চেয়ার থেকে সরতে হয় না। বেতঅলার মতো একেকজন একেকটা চেয়ার যেন সারা জীবন বয়ে বেড়াচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর প্রয়াণ দিবস হিসেবে সিবিএ থেকে বড় অনুষ্ঠান হবে। সবার থেকে চাঁদা নেয়া হচ্ছে। আমিও দিলাম দুই শত টাকা।
অফিসের সামনে বিশাল প্যান্ডেল বানিয়ে কাঙালি ভোজের আয়োজন। চারতলার সেমিনার রুমে শোক দিবসের অনুষ্ঠান। আমি দ্বিতীয় সারির চেয়ারে বসে অনুষ্ঠান শুনি। কত জ্ঞানগর্ভ আলোচনা। কতকিছু জানে লোকজনে। কত আবেগ। কত বিশাল মানুষ ছিলেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শব্দটা ছেলেবেলায় বলা ছিল অপরাধ। কারও মুখে শুনিনি। কেবল এক বেতঅলার মুখে। এসব মানুষ তখন কই ছিল ? ভাবি কিন্তু হিসাব মেলে না। উদাস হয়ে তাকিয়ে থাকি জানালার দিকে। একটা ছোট্ট জটলা। অনেকগুলো বাচ্চা আনন্দ করে একজন থেকে কী যেন নিচ্ছে। দূর থেকে সেই বেতঅলা মনে হলো। তার দুই কাঁধে ভারী দুটো বোঁচকা।
আমি হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে ছুটে যাই। নিচে এসে দেখি কিছু টোকাই জিলাপি খাচ্ছে। জিলাপি খেতে খেতে তারা কাঙালি ভোজের লাইনে দাঁড়াতে ব্যস্ত। সে বোঁচকাঅলাকে পেলাম না। এ কি সে-ই বেতঅলা। কিন্তু এত বছর পরে তো তার এই অবয়ব থাকার কথা নয়। তাহলে কি মামুন ভাই ? সে-ই বা হবে কী করে, ও তো পার্টি বদলে ফেলেছে। অন্যদলে গিয়ে অনেক বড় চেয়ার পেয়েছে। বেতঅলার সেই ছোট্ট চেয়ারে বসার এখন আর কোনও আগ্রহ নেই তার। তাহলে কী আমাদের অজান্তেই এখনও অনেক বেতঅলা পাড়ায় পাড়ায় চেয়ার পিঠে ঘুরে বেড়ায় ? পনের আগস্ট এলে চুপিচুপি জিলাপি বিলিয়ে যায় ? এরাই হয়তো এ হতভাগ্য জাতিকে তার স্থপতির নাম ভুলতে দেয়নি।
ঢাকা থেকে
সচিত্রকরণ : নাজিব তারেক