বইকথা : একাত্তরের কার্টুন : মো. রেজাউল করিম

জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম অর্জন ‘১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ’। মুক্তিযুদ্ধের দালিলিক ইতিহাস গ্রন্থাকারে লিপিবদ্ধ হয়েছে। এ ছাড়া ’৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ সাহিত্য, নাটক, চলচ্চিত্র, চিত্রকলা, কার্টুন, সংগীত, পালাগান সহ বিভিন্ন মাধ্যমে উঠে এসেছে। সংবাদপত্রের সম্পাদকীয় কার্টুনের যাত্রা শুরু ১৮৪১ সালে যুক্তরাজ্যে। বিশ্বখ্যাত চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি-ও কার্টুন এঁকেছেন। সংবাদমাধ্যম বিস্তরণের সাথে সাথে তা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বব্যাপী। আমরা জানি কার্টুন শুধুমাত্র রঙ্গরসের উপাদান নয়, সময়ের প্রতিচ্ছবিও বটে। কার্টুন এমন এক গণমাধ্যম যা বিশেষ কোনো ঘটনাকে একটি মাত্র ব্যাঙ্গাত্মক চিত্রের সাহায্যে প্রকাশ ব্যাপক অর্থবহ করে তুলতে পারে এবং তা মানুষের হৃদয়ে সবিশেষ আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারে। কার্টুন শিশু থেকে বয়ষ্ক সকল মানুষকে উদ্বুদ্ধকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ’৯০-এর দশকে ‘মীনা’ কার্টুন সামাজিক পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
১৯৭১ সালে ভিন দেশী সংবাদপত্রে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নিয়মিত কার্টুন প্রকাশ সে-সময়ে পশ্চিমবঙ্গে অবস্থানরত প্রবাসী স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার, মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশি শরণার্থী, এমনকি ভারতীয় বাঙালিদের মধ্যেও সবিশেষ অনুরণন তুলতে সমর্থ হয়। কার্টুনগুলো অধুনালুপ্ত কলকাতার দৈনিক যুগান্তরের প্রথম পৃষ্ঠায়, সম্পাদকীয় পৃষ্ঠায় ও বিদেশি সংবাদের পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হতো। সে-সময়ে দৈনিক যুগান্তর পশ্চিম বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় সংবাদপত্র ছিল। এর বার্তা সম্পাদক ছিলেন দক্ষিণারঞ্জন বসু। তাঁর জন্মভিটা বিক্রমপুর তথা মুন্সীগঞ্জে। তাঁর একান্ত আগ্রহে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে কলকাতার সংবাদপত্রসমূহের মধ্যে দৈনিক যুগান্তর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সপক্ষে ছিল সবচেয়ে বেশি সোচ্চার। এমনকি কলকাতার অন্যান্য সংবাদপত্রসমূহ যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার সপক্ষে সোচ্চার ভূমিকা পালনে দ্বিধাগ্রস্ত ছিল, যুগান্তর তখন ছিল দ্বিধাহীন। ১৯৭২ সালের ১৫ জানুয়ারি দৈনিক যুগান্তরে লেখা হয়:
ঢাকা, ১৫ জানুয়ারি- যুগান্তর’ই পশ্চিমবঙ্গে প্রথম বঙ্গবন্ধুকে বিজয়ের অভিনন্দন জানিয়ে একটি কবিতা প্রকাশ করেছিল। ওপার বাঙলার বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক শ্রী দক্ষিণারঞ্জন বসুর সদ্য প্রকাশিত কবিতা সংকলন ‘পদ্মা আমার গঙ্গা আমার’ বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম (বর্তমান বঙ্গবন্ধু মন্ত্রিসভার যিনি শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী) ও শিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক ইউসুফ আলিকে দেওয়া হলে উভয়েই তার উল্লেখ করে আনন্দ প্রকাশ করেন। বঙ্গবন্ধুর উদ্দেশ্যে লিখিত দু’টি কবিতা এই সংকলনে স্থান পেয়েছে। অধ্যাপক ইউসুফ আলি বলেছেন, দক্ষিণাবাবু দুই বাংলারই একজন কৃতী সন্তান। আমি সরকারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞচিত্তে এই উপহার গ্রহণ করছি। তিনি দক্ষিণাবাবুকে স্বাধীন বাংলায় সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরীও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে দৈনিক যুগান্তরের ভূমিকা সম্পর্কে সম্যক অবহিত ছিলেন। যুগান্তর পরিবারের সাথেই তাঁর সখ্য ছিল। ১৯৭২ সালের মধ্য জানুয়ারিতে রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে অভিষেক উপলক্ষে যুগান্তর সম্পাদক শ্রী সুকমলকান্তি ঘোষের কাছ থেকে শুভেচ্ছা বার্তা পেয়ে তাঁকেও তিনি একটি পত্র দিয়েছিলেন; যেখানে তিনি লেখেন:
শ্রদ্ধাস্পদেষু,
আপনার শুভেচ্ছা আমাকে এই গুরু দায়িত্বভার পরিচালনায় অনুপ্রাণিত করবে। আমিও বিশ্বাস করি যে, আমাদের দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করবে। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে আপনাদের ত্যাগ ও সাহায্য আমাদের গভীরভাবে উৎসাহিত করেছে। আপনারা বাংলাদেশের প্রকৃত তথ্য বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছেন এবং সাংবাদিকতার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। …
ইতি-
ভবদীয়
আবু সাঈদ চৌধুরী
কার্টুন গ্রন্থের শুরুতেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সম্পর্কে দৈনিক যুগান্তর-এর ভূমিকা সম্পর্কে বাংলা ও ইংরেজিতে আলোকপাত করা হয়েছে। কার্টুনগুলো সংকলিত করেছেন লেখক জয়দীপ দে, অ্যালবাম আকৃতির সংকলনে মোট ৮৪টি কার্টুন রয়েছে। কোনো কোনো কার্টুনে একটি, কোনোটিতে একাধিক ক্যাপশন রয়েছে। আবার কোনো কোনো কার্টুনে দেখা যায় একই বক্সের মধ্যে দুই বা ততোধিক কার্টুনচিত্রের সমন্বয়ে কোনো ঘটনার ধারাবাহিকতা দেখানো হয়েছে। প্রতিটি কার্টুনেই প্রকাশের তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে। কার্টুনগ্রন্থে প্রতিটি কার্টুনের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, যা নবীন প্রজন্মের জন্য খুবই সহায়ক। বাংলার সাথে সাথে নির্ভুল ইংরেজি অনুবাদ কার্টুন গ্রন্থটিকে বৈশ্বিক পরিসরে গ্রহণযোগ্যতা এনে দিয়েছে। ইংরেজি অনুবাদ করেছেন, মুহাম্মদ রায়হানুল হক।
প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, যেহেতু কার্টুনগুলো লিড নিউজ, সম্পাদকীয় ও বৈদেশিক সংবাদের পাতায় সংশ্লিষ্ট খবরের সাথে প্রকাশিত হয়েছে, সেহেতু এগুলো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাক্রমের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে বিজড়িত। কার্টুনগুলো বিভিন্ন যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের সাফল্য, পাকিস্তান সরকারের অদূরদর্শী পদক্ষেপ, মুক্তিযুদ্ধে রুশ, চৈনিক ও মার্কিন ভূমিকা; এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সাথে ভারতের অভ্যন্তরস্থ ঘটনাক্রমের সম্পর্কও অত্যন্ত শক্তিশালী বার্তা নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে।
কার্টুনের কালপর্ব বিশ্লেষণে দেখা যায়, শুরু হয়েছে ১৭ মার্চ এবং শেষ হয়েছে ৩০ ডিসেম্বর ১৯৭১। প্রথম কার্টুনটি প্রকাশিত হয় ১৭ মার্চ ১৯৭১ সালে, যেদিন ঢাকায় পাকিস্তানের তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ও সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনকারী দলের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের মধ্যে প্রথম দিনের মতো আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের মধ্যে আলোচনাই সেদিন দৈনিক যুগান্তরের লিড নিউজ ছিল, সাথে ছিল একটি কার্টুন। কার্টুনটিতে দেখানো হয়েছে, বঙ্গবন্ধু দাঁড়িয়ে আছেনÑ বিশাল তাঁর অবয়ব। তাঁর সামনে কামানের নল, নলের মুখে ইয়াহিয়ার মুখচ্ছবি। ইয়াহিয়া বিশাল অবয়বের বঙ্গবন্ধুকে দেখে হতবাক। ৩০ ডিসেম্বর ১৯৭১-এ সর্বশেষ কার্টুনে দেখা যাচ্ছে, পানির মধ্যে কুমির অর্ধেক শরীর উঁচিয়ে রয়েছে। ক্যাপশনটি এমনÑ ‘আমার পূর্ব পাকিস্তানের ভ্রাতৃগণ, আমাদের কাছ থেকে কেউ তোমাদের ছিনিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না।’ এই কার্টুনে পাকিস্তানের সদ্য ক্ষমতা গ্রহণকারী প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলি ভুট্টোকে কুমির হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। বিষয়টিকে কুম্ভীরাশ্রুর সাথে তুলনা করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের গোড়ার দিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে বেরিয়ে আসা বাঙালি রেজিমেন্ট ইপিআর, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সমন্বয়ে যশোরে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলে। বেশ কয়েক জায়গায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়। এমনি সময় ১১ এপ্রিল যে কার্টুনটি প্রকাশিত হয়, তাতে দেখা য়ায়Ñ মুক্তিযোদ্ধারা যশোরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে বিশালাকৃতির সাঁড়াশী দিয়ে চেপে ধরেছে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে বিশ্ব জনমত গড়ে তোলার লক্ষ্যে ভারতের প্রচেষ্টা বেশ কয়েকটি কার্টুনে প্রকাশিত হয়েছে। ২৫ মে-তে এক কার্টুনে দেখা যায়, একটি পর্বতের পাদদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী হতাশচিত্তে দাঁড়িয়ে আছেন। একের পর এক কূটনৈতিক প্রয়াসেও বাংলাদেশ সমস্যা সমাধানে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী যখন অন্যান্য দেশ থেকে কোনো সাড়া পাচ্ছেন না তখন এই কার্টুনটি প্রকাশিত হয়। ১০ জুনে প্রকাশিত কার্টুনে দেখা যায়Ñ ভারতের বিদেশমন্ত্রী স্মরণ সিংকে একজন রাশিয়ান ইনজেকশন পুশ করছেন। তার পাশে অপর একজন রাশিয়ান। ভারতের বিদেশমন্ত্রী স্মরণ সিং সোভিয়েত রাশিয়া সফরে গেলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সোভিয়েত রাশিয়ার সমর্থন পান। ব্যাপারটি ছিল সে-সময়ে ভারতের জন্য প্রতিষেধকের মতো। সে-কারণেই এই কার্টুন। বিপরীত চিত্র দেখা যায় ৩ জুলাই-এর কার্টুনে। এখানে দেখা যায়, পাকিস্তানের একজন সামরিক অধিকর্তা মানুষের কর্তিত মুণ্ডু ও দুটি হাড্ডি অঙ্কিত পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে আছেন। চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র হাতে দৌড়ে আসছে তাকে (পাকিস্তান সরকারকে) সাহায্য করার জন্য।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে পশ্চিমবঙ্গে কম্যুনিস্টদের সশস্ত্র ‘নকশাল’ আন্দোলন তুঙ্গে ছিল। নকশাল আন্দোলনকারীরা চীনের চেয়ারম্যান মাও সে-তুংকে নিজেদের চেয়ারম্যান মনে করত। এদিকে চীন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে পাকিস্তানকে সহায়তা করতে থাকে। ২১ এপ্রিলের কার্টুনে এই ত্রিমুখী অবস্থানকে দেখানো হয়েছে।
বেশ কিছু ছবি বা কার্টুনের সমন্বয়ে একটি অ্যালবাম তৈরি হয়। অন্যান্য অ্যালবামের সাথে একাত্তরের কার্টুন অ্যালবামের মৌলিক পার্থক্য হচ্ছে, কার্টুনগুলো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাথে সম্পর্কিত। ফলে অ্যালবামটি যেন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ ঘটনাপ্রবাহের ইতিহাসে ধারাবাহিক চিত্র হয়ে উঠেছে। একই সাথে এ কথাও বলার অপেক্ষা রাখে না যে, কার্টুনগুলো যেহেতু বিশেষ বিশেষ ঘটনা উপলক্ষে প্রকাশিত সেহেতু প্রতিটি কার্টুনই স্বকীয় সত্তা ধারণ করে। তবুও ৮৪টি কার্টুনের মধ্যে একটি কার্টুন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জনককে যেভাবে প্রতিবিম্বিত করেছে তা অনন্য বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। ১৩ আগস্ট-এ একটি কার্টুন প্রকাশিত হয়। ঐদিন শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন। কার্টুনে দেখা যায়, ঝড়-বৃষ্টির রাতে নদী ডিঙিয়ে এক নবজাতককে নিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। নবজাতকের গায়ে লেখা বাংলাদেশে। বাসুদেব যেভাবে শ্রীকৃষ্ণকে তার জন্মের দিনে রাজা কংসের কারাগার থেকে নদী পেরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন গোকুলে। ঠিক তেমনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বাংলাদেশকে ইয়াহিয়ার কারাগার থেকে নিয়ে যাচ্ছেন মুক্তির স্বর্ণোদ্যানে। মধ্য আগস্ট মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বিশেষ এক মাস। আগস্টে ভারত থেকে দলে দলে প্রশিক্ষিত মুক্তিযোদ্ধারা দেশে প্রবেশ করে পাকিস্তানি সৈন্যদের সংগঠিত আক্রমণ করে তাদের বেহাল দশায় ঠেলে দিচ্ছে। আন্তর্জাতিকভাবে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দেওয়ার আওয়াজ শক্তিশালী হচ্ছে। অপরদিকে ভারতীয় ধর্ম ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ শ্রীকৃষ্ণের জন্ম তিথির সাথে সঙ্গতি রেখে তৈরি এই কার্টুনটি সবিশেষ ব্যঞ্জনাময় হয়ে উঠেছে।
গোটা অ্যালবামই বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বহুমাত্রিক পটভূমি ও পরিমণ্ডল কার্টুনের মাধ্যমে দৃশ্যমান।
সে-সময়ে কার্টুন হাতে আঁকা হতো। পঞ্চাশ বছর পূর্বের খবরের কাগজ সংগ্রহ, সেগুলো ধারাবাহিক বিন্যাস ও সেখান থেকে হাতে আঁকা ৮৪টি কার্টুন নিউজপ্রিন্টের কাগজ থেকে স্ক্যান করে গ্রন্থাকারে মুদ্রণ নিঃসন্দেহে শ্রমসাধ্য এক কর্ম। এই শ্রমসাধ্য কর্ম সম্পাদনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কার্টুনসমৃদ্ধ অ্যালবামে তুলে এনেছেন কথাসাহিত্যিক জয়দীপ দে এবং কবি ও সম্পাদক নাহিদা আশরাফী। তাঁরা অবশ্যই ধন্যবাদার্হ। বইটির ভেতরে ১৫০ গ্রাম গ্লোসি আর্ট পেপার, রঙিন হার্ডকাভারে দৃষ্টিনন্দন প্রচ্ছদ আকর্ষণীয়।