কবিতা : রবিউল হুসাইন

কবিতা
রবিউল হুসাইন
ষোলোটি দুই পঙ্ ক্তির পদাবলী
এক। একটু ভালোবাসার কথা বললে চোখে জলে ভরে যায়
আমাকে কেউ কোনোদিন ভালোবাসেনি তো তাই
দুই। যে কোনো সুন্দর বড্ডো একা একা থাকে
তাহলে নিঃসঙ্গতা কী সৌন্দর্যকে ধরে রাখে
তিন। ওই যে ওইখানে দেখা যায় একটি চেয়ার
আচ্ছা ওটা বসে না দাঁড়িয়ে বুঝি না কী ব্যাপার
চার। আমাকে দূরে ছুড়ে ফেলে দিলে সমূলে
প্রতিফলিত আর আলোকিত হই বিপরীত দেয়ালে
পাঁচ। পিচ্ছিল পথে যেতে যেতে আমি হঠাৎ থেমে যাই
সেই থেকে আছি ঠায় দাঁড়িয়ে অসহায় নিরুপায়
ছয়। ভয়কে তাড়িয়ে দেয়া হবে নাতো ঠিক
সে যদি চলে যায় কীভাবে জয়ী হবো জয়েরও অধিক
সাত। প্রেম বিয়ে সব সামাজিক বাণিজ্যের লোকজ-কুটির শিল্প
অর্থ-সম্পদ দৃশ্যমান না হলে এগুলো নাটক-নভেলের গল্প
আট। কেউ কেউ খারাপ ব্যবহার করে মেজাজ দেখায়
এটা নাকি তাদের ব্যক্তিত্বের প্রকাশ তা কী বলা যায়
নয়। প্যারিস শহরে দাঁড়িয়ে ওই উঁচু আইফেল স্তম্ভ
এটা কি লালন ফকিরের এক একতারা অবাক আমি হতভম্ব
দশ। এত বছর পরে আজও বুঝলাম না আমি কি আমার
নাকি অন্য কারো জীবন কী নির্লিপ্ত আসর
এগারো। দুঃখ কষ্ট হাসি কান্না অস্তিত্বেরই অংশ
এসব ছাড়া কিছুই হয় না মানুষই সর্বাংশ
বারো। নদী পাহাড় সমুদ্র বন জঙ্গল জমি
তারা ও মানুষের আত্মার আত্মীয় ভূস্বর্গ ভূমি
তেরো। পথটি এখন কোথায় যায় আমি তো স্থির
পথের ধারে গাছের সারি সহগামী নতশির
চৌদ্দ। শূন্যতা ভেসে যায় অদৃশ্যের বায়ু শিল্পকলায়
এর মাঝে দেখা যায় নিসর্গের সুন্দরতা স্বকার বেলায়
পনেরো। এখন ঘুমুতে গেলে লাগে না ভয় জাগি না দুঃস্বপ্নে
জানি ঘুম হলো মানুষের মরণ-মহড়া জীবিত জীবনে
ষোলো। মেঘে মেঘে যুদ্ধ হলে ঝরে শান্তির বৃষ্টি
দেশে দেশে বাঁধলে যুদ্ধ ধ্বংস মানব-সৃষ্টি