বাংলাভাষার ৭১ গল্পের মেলবন্ধন

দীর্ঘদিনের আশা পূরণ হচ্ছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের সাহিত্যপ্রেমীদের মধ্যে একটা মধুর মেলবন্ধন গড়ে উঠুক, এক মলাটে তাঁরা বন্দি হোক- এমন একটি পরিকল্পনা ও জোরালো ইচ্ছা লুকিয়ে ছিল মনে। সেই চাওয়ার তাগিদে ৭১ গল্প উপহার দিতে পারছি। বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরার কথাশিল্পীদের ৭১ গল্পের ডালি সাজাতে গিয়ে মুগ্ধ আমরা। এঁদের সবাই নিজ নিজ দেশ এবং রাজ্যে ইতিমধ্যেই সাহিত্যে প্রতিশ্রুতিশীল গল্পকার হিসেবে নিজেদের উজ্জ্বল উপস্থিতির প্রমাণ রেখেছেন।
তরুণ-বয়সসীমা কত?
এ যাবৎকাল ৪০ বছর পর্যন্ত সীমা নির্ধারিত ছিল। তবে শব্দঘর এ সীমা ৫০ বছর পর্যন্ত বাড়াতে চায়। আর সেই সুবাদে ৫০ বছরই সই। কয়েকজনের বয়স পঞ্চাশ ছাড়িয়ে গেলেও তাঁদের গল্পের সাহিত্যমূল্যকে বরণ করে নিয়েছি আমরা। তবে সবার গল্প যে নিতে পেরেছি তাও নয়। নানাকারণে কারও কারও গল্প অন্তর্ভুক্ত হয়নি। বার বার তাগিদ দেওয়ার পরও কেউ কেউ সাড়া দেননি। প্রথম দুটি সংকলন- ‘বাংলাদেশের তরুণদের ৩০ গল্প: বড়দের তরুণবেলার ৩০ গল্প (বিদ্যাপ্রকাশ ২০১৮)’ এবং ‘বাংলাদেশের এ সময়ের তরুণদের ৩৫ গল্প: প্রতিষ্ঠিত ৩৫ কথাসাহিত্যিকের প্রথমগল্প (বিদ্যাপ্রকাশ ২০১৯)’ গ্রন্থে অনেকেই উপস্থিত। এবার তাঁদের গল্প চাওয়া হয়নি। অনেকে আড়ালে থেকে গেছেন। নিশ্চয় তাঁরা জেগে উঠবেন।
এ সংকলনে তরুণ কথাশিল্পীদের নাম সংগ্রহে ভারত থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ভাষা-গবেষক, প্রাবন্ধিক ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য পবিত্র সরকার। আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্যের গল্পকারদের অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করেছেন কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন। আর শব্দঘর-এর উপদেষ্টা জাতীয় অধ্যাপক বাংলাদেশের শিক্ষক আনিসুজ্জামান ‘বাংলাদেশ ও ভারতের তরুণদের ৭১ গল্প’ নিয়ে এ সংখ্যার আয়োজনকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
আমরা আশা করছি অমর একুশে গ্রন্থমেলায় (২০২০) মোহিত কামালের সম্পাদনায় এবারের সংকলনটি বই আকারে প্রকাশিত হবে বিদ্যাপ্রকাশ থেকে। সকল গল্পকারকে অগ্রিম অভিনন্দন জানাচ্ছি।
