সাদিয়া সুলতানা
নিজেকে লুকিয়ে রাখার মতো ইচ্ছেটাও লুকিয়ে রাখে সুদর্শন দাশ।
এতক্ষণ রোদ মাথায় নিয়ে ঝিম ধরে বসেছিল সে। এখন আর বসে থাকার উপায় নেই। গুড়ুম গুড়ুম বাজ পড়ছে। নিমিষেই উধাও হয়েছে রোদ। অথচ একটু আগেও সোনালি তরলের মতো গড়িয়ে পড়ছিল সূর্যের উত্তাপ। তাপের প্রকোপে পিঙ্গলরঙা জমিনে বসে থাকা সুদর্শনের মগজও গলে পড়ছিল। দুই হাঁটুর ভেতরে মাথা ঢুকিয়েও মাথা বাঁচানো যাচ্ছিল না। মাটির দিকে নুয়ে পড়ে শেষ চেষ্টা করতেই বজ্রপাত হলো। সাদা আকাশ ছিন্ন করে বেরিয়ে আসা স্ফুলিঙ্গ কোথায় গিয়ে কাকে ছুঁয়ে দিলো কে জানে। এমন এক বজ্রপাতের দিনে সুদেব মারা গিয়েছিল। সুদেবের মৃত্যুশোক নিতে পারেনি মা। বাংলা চলচ্চিত্রের চিরায়ত শোকদৃশ্যের মতো একই দিনে মা-ও মারা গিয়েছিল। যেন বা ইচ্ছেমৃত্যু ঘটেছিল মায়ের।
বুকের ভেতরে গভীর গোপন এক ইচ্ছে সঞ্চারিত হলেও এখনই মরে যাওয়ার কোনও ইচ্ছে নেই সুদর্শনের। মা আর সুদেব মরে যাবার দিন সকালেও সুদর্শনের মন্দীভূত ইচ্ছেটা মনে মনে দোল দোল দুলছিল। মা ওকে দেখে ছুটে এসেছিল, ‘তোর সনদ দিছে বাবা ?’ রাতের ট্রেনে ঢাকা থেকে ফিরেছিল সুদর্শন। মাথার ভেতরে ঝিকঝিক গাড়ি দৌড়াচ্ছিল, একই জবাব আর দিতে ইচ্ছে হয়নি মাকে। নিজের ঘরে ঢুকে দরজায় খিল দিয়ে শুয়েছিল সারাদিন। পরে বাবার গলা পেয়ে দরজা খুলেছিল বিকালে। বাবা আর সুদর্শনকে সেই বিকালে সুদেবের লাশ আনতে যেতে হয়েছিল।
কোর্স শেষ হবার পরেও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশের সনদ হলো না দুই ভাইয়ের। একদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে গেল, কালো কালিতে ঢেকে দেওয়া হলো ধানমণ্ডি ক্যাম্পাসের সাইনবোর্ড। সেদিন মেসে ফিরেই সুদেব দাদাকে জানিয়েছিল ও আত্মহত্যা করবে। সুদর্শন ভাইকে শান্ত করে বাড়ি ফিরিয়ে এনেছিল। ঋণগ্রস্ত বাবার কাছ থেকে ধাপে ধাপে টাকা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ধাপ পেরোতে না পেরেও সুদর্শন আত্মহত্যার কথা ভাবেনি। উদ্বেলিত ইচ্ছের আকর্ষণে ওর বেঁচে থাকার ইচ্ছেও দপদপ করে জ্বলছিল। বাড়ি ফিরে সুদেবেরও মন ফিরেছিল, তবু দিনক্ষণ না জানিয়েই মৃত্যু ওকে ঠিকই নিয়ে গেল। বাবা, বলে, মৃত্যুতে মুক্তি।
বাবা বেশি জোরে হাঁটতে পারে না। কষ্টেসৃষ্টে শরীরের ভারসাম্য রেখে রেলগাড়ির লক্করঝক্কর বগির মতো দুলে দুলে এগোয়। সুদর্শনের গতির সঙ্গে তাল মিলাতে না পেরে সেদিন বাবা ঘন ঘন শ্বাস টানছিল। একটু পর পর রেলগাড়ির হুঁইসেলের মতো সুরে সুরে বলছিল, ‘ওরে আমারে নিয়ে যা, ওই লাইনের ধারে খুব শেয়াল জানিস, ঝড়বাদলায়ও পিছলা হইয়া থাকে। সুদেবরে পাবো নাকি রে, শিয়ালে লাশ টাইনা নেয় নাই তো ?’ সুদর্শন দুপা পিছিয়ে এলে বাবা ওর বাহু ধরে দৌড়ানোর চেষ্টা করতে করতে বলেছিল, ‘এতক্ষণে বাজ-পড়া লাশ চুরিও হইতে পারে। কবর থেইকা না মনিরের লাশ চুরি হইল। এত লোকে পাহারা দিয়াও লাভ হইল না।’ হন্তদন্ত হয়ে ঘটনাস্থলে গেলেও সুদেবের লাশ অক্ষত পেয়েছিল ওরা। বজ্রপাতের মড়া বলে লাশ গায়েবও করে দেয়নি কেউ। মুগ্ধ হয়ে সুদর্শন দেখেছিল, শিশুসুলভ কমনীয়তা নিয়ে সুদেব ন্যাড়া-জাগা মাঠে শুয়ে আছে। ওরা ভ্যান ঠিক করে লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরলে ‘বাবা সুদেব আসলি, সনদ পাইছোস বাবা’ বলতে বলতে চৌকাঠে ঢলে পড়েছিল মা।
সুদেব আর মায়ের মৃত্যুর দিন থেকে সুদর্শনের ইচ্ছেপূরণের তাড়না অপেক্ষাকৃত তেজী হচ্ছে। যার লাগাম টানতে গিয়ে ও আরও গুটিয়ে যাচ্ছে নিজের ভেতরে। এখন এই ইচ্ছেকে তাড়াতে তাড়াতে প্রতিদিন ভোরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সুদর্শন বারুইপাড়ায় রেললাইনের ধারে যায়। তারপর অনেক ঘুর পথ পেরিয়ে এসে একসময় বাড়িতে পৌঁছায়। বাড়ি ফিরলে বাবা নির্বিকার চোখেমুখে দরজা খোলে। জানায়, শুক্লা এসেছিল। আজও বাড়িতে পা দিতেই বাবা নিরুত্তাপ কণ্ঠে জানিয়েছে, শুক্লা এসেছিল। কিছু বলে যায়নি। এমন অসময়ে আসে শুক্লা, সুদর্শন বাড়িতেই থাকে না। মাঝেমাঝে ওর মনে হয় শুক্লা আসলে ওর সঙ্গে দেখাই করতে চায় না। তাই অসময়ে এসে ওর খোঁজ করে। তবু শুক্লার নাম শুনে সুদর্শনের চেহারা থেকে জ্বরার চিহ্ন মুছে যায়। মনের অঙ্কুরিত ইচ্ছেটা কচি পাতা ঝাঁকিয়ে জানান দেয়, এখনও সম্ভব। শুক্লাকে ফেসবুক লাইভে দেখতে দেখতে কত কী ভাবে ও। ওর ইচ্ছের অঙ্কুর ও চারা থেকে শাখা প্রশাখায় প্রসারিত হয়ে বিশাল বৃক্ষ হয়ে যায়।
ফেসবুক লাইভে এত সুন্দর দেখায় শুক্লাকে! ওর মেছতা পড়া গাল, পুড়ে যাওয়া কপাল উধাও হয়ে ত্বকে দুধের সর ভাসে। ‘লেজার হোয়াইটেনিং স্কিন কেয়ার ক্রিমের কম্বোটা নেন আপুরা, দেখেন কী জাদুকরী ফল’ বলতে বলতে শুক্লা যখন ক্রিম দিয়ে ওর গাল ঘষে তখন বনলতা নামের আইডি থেকে সুদর্শন মন্তব্য করে, ‘তুমি খুব সুন্দর। তুমি আর ফর্সা হয়ো না শুক।’ বনলতার মন্তব্য এড়িয়ে শুক্লা ওপরে নিচের মন্তব্যগুলো পড়তে পড়তে দ্রুতগতিতে জবাব দিতে থাকে, ‘হেনাপু আপনার পার্সেল পাঠিয়ে দিয়েছি, পেয়ে যাবেন আপু, পদ্ম আপু মুখের কালো তিলের জন্য আমাদের ইস্পিশাল ব্লাক স্পট রিমুভাল ক্রিমটা নিতে পারেন আপু, এটা একেবারে ইন্স্ট্যান্ট কাজ করবে, অনেক ধন্যবাদ আপুরা, লাইভটা বেশি বেশি শেয়ার করবেন, সবচেয়ে বেশিবার যেই আপু শেয়ার করবেন তার জন্য থাকবে আকর্ষণীয় এক উপহার।’
শুক্লাকে আজ লাইভে আরও সাদা লাগছে। কালো রঙের কামিজের খোলে ওর সাদা শরীরী কাঠামোটা ভৌতিক দেখাচ্ছে। কণ্ঠার হাড়ে মেকাপ ঘষা হয়নি, একটা আঁচড়ের দাগ ফুটে আছে। একটা স্ক্রিনশট নিয়ে দাগটা কাছ থেকে দেখে বোঝার চেষ্টা করে সুদর্শন। বনলতা আইডিতে লগ ইন করাই ছিল ওর। ‘মণি ফ্যাশন অ্যান্ড কসমেটিকস’ পেইজে গতকালই জানিয়েছিল শুক্লা আজ লাইভে আসবে। মণি শুক্লার মেয়ে। মায়ের কাছাকাছি বসে কাঁদছে মেয়েটা। হঠাৎ হঠাৎ বিক্রেতার ভঙ্গি বদলে ফেলে শুক্লা কাউকে ইশারা করে কণ্ঠ নামিয়ে বলছে, ‘মণিরে সরা… সরা আর ওরে বল এখনই পঞ্চাশটা কমেন্ট দিতে।’ নেপথ্য থেকে অপারগ একটি নারীকণ্ঠ বলছে, ‘বেশি কান্দুনি হইছে তোর মাইয়া।’
শুক্লার মেয়েকে একদিন দেখেছিল সুদর্শন। ওর বাবার মতো কৃষ্ণবর্ণ ত্বক। রেললাইনের স্লিপারের ওপর দিয়ে মায়ের পাশাপাশি একটা ছোট পুঁটলির মতো হেঁটে আসছিল তিন-চার বছরের মণি। এখানে বারুইপাড়া বাজারে শুক্লার স্বামীর একটা ছোট ডিপার্টমেন্টাল স্টোর আছে। বাজারের সঙ্গেই একটা লেভেলক্রসিং আছে। বাজার থেকে ফিরছিল শুক্লা। সোজা রাস্তা ছেড়ে জঙ্গলের ধারে কেন চলে এসেছে তা জানতে চায়নি সুদর্শন। যেন আসবেই জানা ছিল।
শুক্লা এগিয়ে আসছিল আর স্ফূর্তির মেঘ নাচছিল আকাশে। নৃত্যরত মেঘ দেখতে প্রসারিত হচ্ছিল গাছের শাখা-প্রশাখা। সুদর্শনের পায়ের কাছে এসে থেমেছিল শুক্লা। লাইভে তীব্রভাবে লাইভ থাকা সাদা ফর্সা শুক্লার গালে মেছতার চওড়া দাগ দেখে অবাক হয়নি সুদর্শন। নিজের চোখে পোকা পড়েছে বলতে বলতে মণির গাল ছুঁয়ে বলেছিল, ‘কেমন আছো মামা?’ আদর পেয়ে গাঢ় নিস্তব্ধতা ছিন্ন করে চিৎকার করে কেঁদে উঠেছিল মণি। শুক্লা সঙ্গে সঙ্গে গালে সপাটে চড় কষাতেই চুপ হয়ে গিয়েছিল মেয়েটা। মেয়েকে এক টানে ঘুরিয়ে হাঁটতে শুরু করার আগে শুক্লা বলেছিল, ‘মাল ডেলিভারি দিতে আর কমেন্ট দিতে একজন লোক দরকার। বেশি বেতন দিতে পারমু না, পার্সেল প্রতি কমিশন।’ চোখ-মুখের শীর্ণতা সরে মুহূর্তের মধ্যে সুদর্শন সত্যিই সুদর্শন হয়ে উঠেছিল। উত্তরের অপেক্ষা না করেই মেয়েকে তাড়াতে তাড়াতে হাঁটতে শুরু করেছিল শুক্লা। একবার ফিরেও তাকায়নি।
বাবা এসে যখন দরজায় টোকা দিলো শুক্লার লাইভটা তখনও দেখা শেষ হয়নি সুদর্শনের। ব্যাংক থেকে লাল নোটিশ এসেছে, মুরগির খামার করার জন্য নেয়া ঋণ শোধ করতে পারেনি সুদর্শন। শুক্লা বলেছিল খামারের ব্যবসা রমরমা চলে। ব্রয়লার, লেয়ার মুরগি আর ডিম ছাড়া একদিনও চলে না মানুষের। উঠতে-বসতে চিকেন ফ্রাই খায় বড়লোকের গাবদাগোবদা ছেলেমেয়েরা। আর গরিবের খাসি হলো ব্রয়লার মুরগি, টেনেটুনে চললেও সপ্তায় একদিন মাংসের কষা ঝোল খাওয়া চাই। কদিন পর মাল সাপ্লাই করে কুলাতে পারবে না সুদর্শন। তাই হয়েছিল। ইচ্ছেগাছের মতো তরতর করে বেড়ে উঠছিল ওর ব্যবসাটা। মাসকাবারি বেতনে একটা ছেলেকে নিয়োগও দিয়েছিল খামারের সহকারি হিসেবে। কেবল শুক্লাদের বাড়িতে চাহিদামতো ডিম আর মুরগি নিজে গিয়ে দিয়ে আসত সুদর্শন।
সুদর্শনের খামারটা আর নেই। একদিন সকালে খামারে গিয়ে ও অদ্ভুত এক দৃশ্য দেখেছিল। সারি সারি মুরগি শক্ত হয়ে মরে পড়ে ছিল ঘরের ভেতরে। একরাতের মধ্যে যুক্তি করে ওরা সকলে একযোগে পৃথিবী ছেড়েছিল। নির্বিকার সুদর্শন ওদের জড়ো করে একাই ভাগাড়ে নিয়ে ফেলেছিল। ফিরতে ফিরতে ওর মনের নড়বড়ে ইচ্ছেটা জানান দিয়েছিল, শুক্লাদের বাড়িতে যাবার শেষ সুযোগটাও হাতছাড়া হয়ে গেল।
ব্যাংকের লাল নোটিশ পেয়েও খামারের মুরগিগুলোর মৃত্যুর দিনের মতো সারাদিন বাড়িতে নির্বিকার বসে থাকলে সুদর্শন। শুক্লাদের বাড়িতে যাবার এ এক জুতসই কারণ কিনা ভাবতে ভাবতে একবার শুধু ওর শরীরে গুরু গুরু কম্পন জাগল। জানাবে শুক্লাকে, পার্সেল প্রতি কমিশন পেলেই ওর চলবে।
ও বাড়িতে গিয়ে শুক্লাকে পায় না সুদর্শন। সেই কোন সকালে কুরিয়ার সার্ভিসের দোকানে মাল নিয়ে গেছে শুক্লা, দুপুর গড়ালেও ফেরেনি। শুক্লার স্বামী ব্যবসায় মার খেয়েছে। নগদ টাকা চাইছে শ্বশুরের কাছে। সুদর্শনকে সেসব কথা বলতে বলতে শুকনো গলায় কয়েকবার ঢোঁক গিলতে চেষ্টা করে শুক্লার বাবা। শুক্লার মা এসে বড় একটা থালার ওপরে এক গ্লাস জল আর দুটো নাড়ু এনে দেয়। একটা নাড়ু হাতে তুলতে তুলতে আরেকটা নাড়ু মাটিতে গড়িয়ে পড়ে ওর। গ্লাসের সবটুকু জল এক চুমুকে পান করেও অপ্রস্তুত সুদর্শনের ইচ্ছেপূরণের তৃষ্ণা মেটে না। ‘কাকা, কাল আবার আসবো’ বলে ফিরে এলেও পরের দিন আর ঐ বাড়িতে যাওয়া হয় না ওর। শুক্লাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটতে হয়। হাসপাতালের বারান্দায় দাঁড়িয়েই সুদর্শন ফেসবুকের দেয়ালে ঘুরতে থাকা ভিডিওটা দেখে। গতিময় চিত্রটি চোখের জলে ঝাপসা হয়ে এলেও বিবস্ত্র শুক্লার মেছতা পড়া মুখটা চিনতে ভুল হয় না ওর।
হাসপাতাল থেকে যে রাতে বাড়ি ফেরে সে রাতেই চিতা জ্বলে শুক্লার।
ওদের বাড়ি থেকে খুব বেশি দূরে নয় কালীমাতার মন্দির ও মহাশ্মশান ঘাট। এর পরেই একটা সরু নদী। এই তো উত্তরে পনেরো মিনিট পায়ে হেঁটে গেলেই দেখা যাবে দুপুরেও চিতা জ্বলেছে। ভাঙ্গা কলসি, সৎকারে ব্যবহৃত কলা, পোড়া কাঠ, মৃতের বস্ত্র, ভস্ম, খুঁটি, মাচা ইত্যাদি পড়ে আছে। শুক্লার বাবা মহাশ্মশান কমিটির সম্পাদক। তবু বাড়িতেই চিতা জ্বলেছিল শুক্লার। মণির পোড়া শরীরটাও ছিল মায়ের কাছাকাছি। পোড়া মাংসের ঘ্রাণ সুদর্শনের নাকেও পৌঁছেছিল। তখন অনেক রাত। ঘুম আসছিল না সুদর্শনের। এমন অনেক অনেক রাত ও জেগে থাকে। অন্ধকার আকাশের প্রিজমে অনার্স পাশের সনদ খোঁজে। সে-রাতেও খুঁজছিল। হঠাৎ কলরব শুনে বাইরে বেরিয়ে দেখে সব পুড়ে গেছে।
শুক্লার মৃত্যুর ঠিক পরের দিন সুদর্শন হারিয়ে গেল। কেউ কেউ বলল কোন এক ট্রেন ধরে ও চলে গেছে। কেউ বলল অপঘাতে শুক্লার মৃত্যু হওয়া সহ্য হয়নি বেকার সুদর্শনের। ওর সুদর্শন দেহটা রেলগাড়ির চাকায় থেঁতলে যেতে যেতে ওর ইচ্ছেটাও তাই নিষ্পেষিত হয়ে গেছে। কেউ বলল, দুঃখে বিবাগী হয়েছে, দুদিন পরই ফিরে আসবে।
ফিরে আসেনি সুদর্শন। কেউ আর কোনওদিন জানতেও পারেনি ওর ইচ্ছেটা ঠিক কী ছিল।
সচিত্রকরণ : শতাব্দী জাহিদ